মেদিনীপুর শহরের বটতলাচকের এক ওষুধ ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠল মেদিনীপুর মেডিক্যালের কয়েকজন ছাত্রের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, রবিবার সকাল ৭টা নাগাদ দোকানে এসে ঘুমের ওষুধ চান দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্র। দোকানের মালিক আশিস মাইতি ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঘুমের ওষুধ দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানান তাকে। আশিসবাবু বলেন, “এরপর ওই ছাত্র নিজেকে ডাক্তার দাবি করে ওষুধ না দেওয়ার কৈফিয়ত চায়। সেই সময় ওই ছাত্র চলে গেলেও কিছুক্ষণ পর হস্টেল থেকে কয়েকজন দোকানে হামলা চালায়।” আশিসবাবুর দাদা দিলীপবাবুকে মারধর করার পাশাপাশি ওই ছাত্ররা দোকানের কাগজপত্র তছনছ করে বলে অভিযোগ। গত শুক্রবার রাতেই আশিসবাবুর অন্য একটি ওষুধ দোকানে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার ও হাউসস্টাফের বিরুদ্ধে। আশিসবাবুর বক্তব্য, “কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার গরিব মানুষকে দামি ওষুধ কিনতে বলেন। প্রতিবাদ করায় দোকানে হামলা চালানো হয়েছে।” মেডিক্যালের এক জুনিয়র ডাক্তারের অবশ্য দাবি, “ওই ওষুধ ব্যবসায়ী এক রোগীর আত্মীয়ের কাছে আমাদের সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করেছেন।” হাসপাতাল সুপার যুগল কর অবশ্য বলেন, “নির্দিষ্ট অভিযোগ এলে এ ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করা হবে।”
|
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুর শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি না হলে তার দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। না হলে স্থায়ী ক্ষতির আশঙ্কা থেকে যায়। শহরে নবম বার্ষিক শিশু চিকিৎসা সম্মেলনে অধিকাংশ চিকিৎসকের কথায় উঠে এল এই বিষয়টি। বেলেঘাটার এক বেসরকারি হাসপাতাল ও বেঙ্গল অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্স-এর যৌথ উদ্যোগে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। পেডিয়াট্রিক এন্ডোক্রিনোলজিস্ট সুব্রত দে বলেন, “সাধারণ শিশুদের অন্তত ৩ শতাংশ বৃদ্ধিজনিত সমস্যায় ভোগে। বাবা-মায়েরা হেল্থ ড্রিঙ্ক খাইয়ে তাদের বৃদ্ধি স্বাভাবিক করতে চান। তাঁদের জানা দরকার, এই সব শিশুর সুস্থ ভাবে বেড়ে ওঠার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অত্যন্ত জরুরি।”
|
রক্তে সংক্রামক জীবাণু পরীক্ষার জন্য বিশেষ যন্ত্রের উদ্বোধন হল ই এম বাইপাসের এক চক্ষু হাসপাতালে। চেয়ারম্যান এস এস বদ্রিনাথ বলেন, “এই পলিমেরাস চেন রি-অ্যাকশন প্রযুক্তিতে বহু জটিল অসুখ এমনকী লিউকেমিয়া, লিম্ফোমার মতো মারণ রোগও দ্রুত ধরা পড়ে, ফলে চিকিৎসার অনেকটাই সুযোগ থাকে।” হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, যে কোনও হাসপাতালের যে কোনও রোগী ওই চিকিৎসার সুযোগ নিতে পারবেন। |