অভিযোগ হলদিয়ায়
ভোটের ফলে ‘উচ্ছ্বাস’, হামলা
পুরভোট -পর্ব মিটলেও হলদিয়ায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসে’র অভিযোগ উঠছেই। বার সদ্যসমাপ্ত পুর -নির্বাচনের ফল টিভিতে দেখে ‘উচ্ছ্বাস’ প্রকাশ করায় এক ব্যক্তি উপরে ছুরি নিয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে। হলদিয়ার পেট্রোকেমিক্যাল লিঙ্ক রোডের সিটিসেন্টারে ছোটখাট একটি ভাতের দোকানের মালিক রঞ্জন রাউত নামে সেই ব্যক্তি স্থানীয় দুই তৃণমূল কর্মীর নামে ভবানীপুর থানায় হামলা ভয় দেখানোর লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন। তবে কেউ গ্রেফতার হয়নি। এসডিপিও (হলদিয়া ) অমিতাভ মাইতি বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
রঞ্জনবাবু বলেন, “হলদিয়া পুরভোটের ফলপ্রকাশের দিন সিপিএম জিতছে দেখে আমি উচ্ছ্বাস দেখিয়েছি এমনটাই দাবি করে ওরা আমার উপরে হামলা করেছে। কিন্তু আমি কোনও রাজনীতি করি না। সে দিন অনেকেই হোটেলে ছিলেন। টিভি চলছিল। ফল দেখে সবাই মিলে আলোচনা করছিলাম মাত্র।” অভিযোগ, রাত দু’টো নাগাদ স্থানীয় তৃণমূলকর্মী রাজু পাল তাপস দাস দলবল নিয়ে ওই হোটেলে চড়াও হন। দোকান ভাঙচুর করা হয়। হোটেলে ব্যবহৃত একটি ছুরি নিয়েই রঞ্জনের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। অল্পবিস্তর জখম হন রঞ্জন। অভিযুক্ত দুই তৃণমূল কর্মী অবশ্য দাবি করেন, “রঞ্জন সে দিন সিপিএম নেতাদের সঙ্গে হোটেলে গল্প করছিলেন। আমরা আইএনটিটিইউসি করি। তাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে নিজেই দোকানে ভাঙচুর করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।” রঞ্জনবাবুর পাল্টা দাবি, “আমার দোকানের পাশেই রাজুর দাদা রাম পালের হোটেল। সেখানে মদ বিক্রি হয়। তা নিয়ে আমি প্রতিবাদও করেছিলাম। হামলার পিছনে সেটাও একটা কারণ।” তবে রাজু বলেছেন, “দাদার দোকানে মদ বিক্রি হয় না।” সিপিএমের হলদিয়া জোনাল কমিটির সম্পাদক সুদর্শন মান্না বলেন, “পুরভোটে হার মানতে না পেরেই তৃণমূল এই সব করছে।” তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক মামুদ হোসেন অবশ্য ‘অভিযোগ ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.