‘দখলমুক্ত’ করা হোক পার্টি অফিস,
তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ কংগ্রেসের
হুগলি জেলা পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলন উপলক্ষে রবিবার আরামবাগের রবীন্দ্রভবনে এসেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা। সম্মেলন হয়েছে আরামবাগের রবীন্দ্রভবনে। যার থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে কংগ্রেসের আরামবাগের মূল কার্যালয়টি ছিল বলে দলের নেতাদের দাবি। দোতলা ওই ভবনটি তৃণমূল দখল করে নিয়েছে বলে দীর্ঘ দিন ধরেই অভিযোগ জানিয়ে আসছেন কংগ্রেস নেতারা। জোট শরিকের যে ‘আচরণে’ উষ্মা প্রকাশ করেছেন প্রদেশ নেতৃত্বও।
সম্মেলনে কংগ্রেস নেতারা। বাঁ দিক থেকে, আবদুল মান্নান, শাকিল আহমেদ ও প্রদীপ ভট্টাচার্য।
প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রের খবর, প্রয়াত কংগ্রেস বিধায়ক শান্তিমোহন রায়ের ৭ শতক জমিতে ১৯৫৮ সাল নাগাদ তৈরি হয়েছিল কংগ্রেসের ওই অফিসটি। পরচাতেও ওই জমিতে ‘কংগ্রেস অফিস ঘর’ লেখা আছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ১৯৯৮ সালে তৃণমূল গঠনের পরে আরামবাগ কংগ্রেসের একটা বড় অংশ তৃণমূলের মিশে যায়। তারপর থেকেই ওই অফিসটির ‘দখল’ নেয় তৃণমূল। ‘আরামবাগ মহকুমা কংগ্রেস কার্যালয়’ কথাগুলি ওই ভবনের গায়ে কংক্রিট দিয়ে লেখা ছিল। অভিযোগ, তা ভাঙা হয়। নিজেদের দলের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয় তৃণমূল। এখন আরামবাগে এটিই তৃণমূলের মূল কার্যালয়।
প্রদেশ কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান জানান, রাজ্যে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরে এ বিষয়ে প্রদীপ ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে কোনও উত্তর আসেনি। হুগলি জেলা কংগ্রেসের তরফেও অফিসটি ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। সে চিঠিরও প্রাপ্তিস্বীকারটুকুও করা হয়নি বলে মান্নানের অভিযোগ। তাঁর কথায়, “ওই জমিতে কংগ্রেসের পার্টি অফিস আমাদের নামে। পরচাতেও তার উল্লেখ আছে। রাজস্বও আমরা দিচ্ছি। ভেবেছিলাম, ওরা (তৃণমূল) নিজেরাই অফিসটি ফেরত দেবে। ওদের কাছে অনুরোধ, অফিসটি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। না হলে জনতার দরবারে যেতে হবে।” এ দিন সম্মেলনে এআইসিসি নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত শাকিল আহমেদও এসেছিলেন। তাঁকে পার্টি অফিসটি বাইরে থেকে দেখান স্থানীয় নেতারা।
বিতর্কিত সেই পার্টি অফিস।
কংগ্রেস নেতাদের এই দাবির প্রেক্ষিতে তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত বলেন, “ওই অফিস আদৌ দখল হয়নি। মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।” তপনবাবু এ বিষয়ে আরও জানান, ওই অফিসে যাঁরা বসতেন, সকলেই তৃণমূলে যোগ দেন। তারপর থেকে তৃণমূলের কাজকর্ম ওখান থেকেই হচ্ছে। একে দখল বলার কোনও প্রশ্নই নেই।”

রবিবার ছবিগুলি তুলেছেন মোহন দাস।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.