মোদী-জোশী সংঘাত এ বার মাত্রা ছাড়াচ্ছে। এত দিন লুকিয়ে পোস্টার মারার পরে এ বার রাজকোটে নরেন্দ্র মোদীর অনুষ্ঠানের বাইরে বিক্ষোভ দেখালেন জোশীপন্থী বহু বিজেপি কর্মী সমর্থক।
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চাপে সঞ্জয় জোশীকে সরাতে বাধ্য হয়েছেন বিজেপি সভাপতি নিতিন গডকড়ী। কিন্তু তাতেও সঙ্কট কাটছে না বিজেপি নেতৃত্বের। আজ রাজকোটের একটি কলেজ ক্যাম্পাসে বিজেপি কার্যসমিতির বৈঠকে মোদী যখন কংগ্রেসকে তুলোধোনা করেছেন, সঞ্জয় জোশীর জয়ধ্বনি দেওয়া পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে চারপাশ। মোদী-বিরোধী স্লোগানে উত্তাল হয়েছে দলীয় কর্মীদের একটি অংশ। পরিস্থিতি সামলাতে কিছু বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। জোশীপন্থী পোস্টারগুলিতে লেখা ‘সঞ্জয় জোশী আগে বাড়ো, হাম তুমহারা সাথ হ্যায়’। কোনও পোস্টারে মোদীর বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণ না করে বলা হয়েছে, ‘রাজধর্ম পালন করো’। |
২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী মোদীকে রাজধর্ম পালন করার যে পরামর্শ দিয়েছিলেন, তাকেই ফের তুলে ধরতে চেয়েছেন জোশীপন্থীরা। ডিসেম্বরে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই ঘটনায় রাজ্য নেতৃত্বের মধ্যে বিভাজন রেখাটি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠল বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগেও আমদাবাদে জোশীপন্থী পোস্টার দেখা গিয়েছে। কারা এর পিছনে রয়েছে, সে ব্যাপারে দল অনুসন্ধান করছে। দু’দিন আগেই গডকড়ীকে চিঠি লিখে দল থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন জোশী। সঙ্গে সঙ্গে তা মেনে নেন সভাপতি। তবে এই ঘটনায় দলের অনেকেই অসন্তুষ্ট। ইতিমধ্যেই জোশীর পক্ষে মুখ খুলেছেন বিহারের প্রভাবশালী বিজেপি নেতা তথা উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী। নাম না করে তিনি মোদীর সমালোচনা করে বলেছেন, কোনও নেতাই দলের উপরে নন। জোশীকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করাটা ঠিক কাজ হয়নি। |