গঙ্গাতীরে আড়াই কিলোমিটার পথের সৌন্দর্যায়নের কাজ হয়ে গিয়েছে। দিন কয়েক আগে তার উদ্বোধনও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পরিকল্পিত বাকি ১০ কিলোমিটারের কাজ এখনও শুরু হয়নি। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এর কিছুটা অংশে প্রতিরক্ষা বিভাগের অনুমতি এখনও না মেলাতেই দেরি।
পুরসভা সূত্রে খবর, কাশীপুর থেকে তক্তাঘাট পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার অংশে সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পে বিশেষ পথ হবে। মেয়র বলেন, “রাইটস্-কে দিয়ে ফের নকশা বানানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই ওই নকশা-সহ প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য চিঠি পাঠাব। প্রয়োজনে দিল্লিও যাব।” তিনি জানান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে জানানো হবে যে, ওখানে কোনও কংক্রিটের কাজ হচ্ছে না। গঙ্গার ধারে মানুষের হাঁটার পথ বানানো হচ্ছে। মেয়রের আশা, খুব শীঘ্রই প্রতিরক্ষা বিভাগের অনুমতি পেয়ে যাবেন তাঁরা।
কলকাতায় সেনাবাহিনী সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রিন্সেপ ঘাট থেকে বজরঙ্গ ঘাট পর্যন্ত ছিল পাইলট প্রকল্প। ওই পথের সৌন্দর্যায়নের কাজ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বজরঙ্গ ঘাট থেকে বাবুঘাট পর্যন্ত ৩৫৪ মিটারে কাজের জন্য সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র চেয়ে পাঠানো হয়েছে। তা হাতে না আসা পর্যন্ত কিছু করার নেই।
ওই পথে বেশ কিছুটা অংশে বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি ছাউনি ছিল। উদ্বোধনের দিন মুখ্যমন্ত্রী জায়গাটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধও জানিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই অনুরোধ মেনে নিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ দিন পুরসভায় বৈঠকে হাজির হয়ে পোর্ট ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মণীশ জৈন মেয়রকে জানান, প্রকল্পের কাজ ত্বরান্বিত করতে তাঁরা সব রকম সহায়তা করবেন।
দিন কয়েক আগেই গঙ্গাপাড়ের সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের উদ্বোধনের সময়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে ওই পথ। নির্ভয়ে মানুষ সেখানে ঘুরে বেড়াতে পারবেন।”
মুখ্যমন্ত্রীর সেই ‘আশ্বাস’ বাস্তবায়িত করতে সোমবার পুরসভায় জরুরি বৈঠকের আয়োজন করেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। কলকাতা পুলিশ, পোর্ট ট্রাস্ট ও রেল বিভাগের পদস্থ অফিসারেরা হাজির ছিলেন ওই বৈঠকে। সেখানে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। মেয়র বলেন, ‘‘পরিবেশ-সুরক্ষার কথা ভেবে পুরসভা পুলিশকে তিনটি ব্যাটারি-চালিত গাড়ি দেবে। ওই গাড়ি চড়ে সারাক্ষণ টহল দেবে পুলিশ।” ইতিমধ্যেই সেখানে তিনটি পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে। নিরাপত্তার পাশাপাশি বাজে কদমতলা থেকে প্রিন্সেপ ঘাট, প্রায় আড়াই কিলোমিটার পথে পাঁচটি শৌচাগারও করা হচ্ছে। মেয়র জানান, এ সব কাজই দ্রুত শেষ করা হবে। |
ক্লিনিকে মার ডাক্তারকে, অভিযুক্ত দুই পুলিশকর্মী
নিজস্ব সংবাদদাতা |
চারু মার্কেট এলাকায় একটি ক্লিনিকে ঢুকে এক ডাক্তারকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে দুই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তদের নাম রবীন পাল ও প্রশান্ত পোদ্দার।
পুলিশি সূত্রের খবর, ঊর্ধ্বতন অফিসারের কানের যন্ত্র আনতে ওই দুই পুলিশকর্মী সোমবার সন্ধ্যায় একটি স্পিচ ও হিয়ারিং ক্লিনিকে যান। সেখানে কুন্তল সরকার নামে এক চিকিৎসক এবং কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। কুন্তলবাবুর অভিযোগ, দুই পুলিশকর্মী তাঁকে মারধর করেন। তার পরে তাঁরা মোটরবাইকে চেপে পালাতে যান। কুন্তলবাবু এবং তাঁর সহকর্মীরা দুই পুলিশকর্মীকে ধরে থানায় নিয়ে যান। ক্লিনিক-কর্তৃপক্ষ জানান, এক পুলিশ অফিসার কানের যন্ত্র সারাতে দিয়েছিলেন। দুই পুলিশকর্মী মদ্যপ অবস্থায় এ দিন সেটি নিতে যান। ক্লিনিকের পাশেই একটি সেন্টারে কানের যন্ত্র সারানো হয়। রবীন ও প্রশান্তকে সেখান থেকে যন্ত্রটি নিতে বলা হলে তাঁরা গোলমাল বাধান। ডিসি (সাউথ) দেবেন্দ্রপ্রকাশ সিংহ বলেন, “তদন্ত চলছে। তবে রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।” |