‘ফিক্সড ডিপোজিট’-এর সার্টিফিকেট জাল হওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল। মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে শিলিগুড়ি থানার জলপাইমোড়ের একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের শাখায়। গ্রাহকদের অভিযোগ, যে সব সার্টিফিকেট তাঁদের দেওয়া হয়েছে সেখানে কোনও টাকা জমা নেই বলে ব্যাঙ্কের কর্মীরা তাঁদের জানান। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছয় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিক্ষোভের জেরে এদিন কার্যত ব্যাঙ্কে কোনও কাজ হয়নি। ওই শাখার সিনিয়র ম্যানেজার মদনগোপাল সাহা গ্রাহকদের আশ্বস্ত করেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “টেকনিক্যাল কারণে সমস্যা তৈরি হয়েছে। আমাকে বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেছেন। আমাকে সবাইকে বলেছি ভয়ের কোনও কারণ নেই। যাদের সার্টিফিকেট আছে প্রত্যেকের টাকা সুরক্ষিত আছে।” ওই ব্যাঙ্কের গ্রাহক শক্তিগড়ের বাসিন্দা দিলীপ দে জানান, গত ১৭ মে তিনি দুটি ‘ফিক্সড ডিপোজিট’-এ ১ লক্ষ ও ৫০ হাজার টাকা জমা রাখেন। দু’দিন পরে তাঁকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। ১ লক্ষ টাকার সার্টিফিকেট তাঁর জাল বলে সন্দেহ হওয়ায় সোমবার তিনি ব্যাঙ্কে যান। ব্যাঙ্কের এক কর্মী সার্টিফিকেট দেখে জানিয়ে দেন সেখানে কোনও টাকা রাখা নেই। ওই ঘটনার পরে বিষয়টি তিনি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে জানান। তিনি বলেন, “এদিন ফের ব্যাঙ্কে যাই। আমার কাছ থেকে পুরনো সার্টিফিকেট নিয়ে নেওয়া হয়। নতুন করে একটি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। সেখানে টাকা রয়েছে বলে ব্যাঙ্ক কর্মীরা জানান। এই যদি পরিস্থিতি হয় তাহলে ওই ব্যাঙ্কে টাকা রাখব কি না ভাবতে হচ্ছে।” শুধু দিলীপবাবুই নন, এদিন ওই ব্যাঙ্কে ৫০ জনের উপরে গ্রাহক জমা হয়ে সার্টিফিকেট পরীক্ষা করান। অনেকের সার্টিফিকেটে কোনও টাকা ছিল না বলে অভিযোগ। তার পরেই বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভে যোগ দেন ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সদস্যরাও। ওই ওয়ার্ডের তৃণমূলের নেতা কৌশিক দত্ত বলেন, “সোমবার আমাদের কাছে একজন অভিযোগ জনান। এদিন আমরা বিষয়টি নিয়ে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলতে যাই। সেই সময় জানতে পারি প্রচুর গ্রাহকের এক অবস্থা। কারও সার্টিফিকেটে টাকা নেই। কেউ ৬ লক্ষ টাকা রেখেছেন, কেউ ৭ লক্ষ টাকা রেখেছেন। সকলেই হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। পরে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছেন।” ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন, সোমবার সারাদিন ‘লিঙ্ক’ না থাকায় কর্মীরা কম্পিউটারে কাজ করতে পারেননি। এদিনও বহুক্ষণ ‘লিঙ্ক’ ছিল না। সেখান থেকেই কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি হওয়ায় গ্রাহকদের একাংশের টাকা কম্পিউটার দেখায়নি। জাল সার্টিফিকেটের অভিযোগ ঠিক নয়। |