|
|
|
|
পুকুরে তল্লাশি, উদ্ধার ১০০ কাঠের বল্লা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রাস্তার পাশেই দু’টি পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে ১০০টি কাঠের বল্লা উদ্ধার করল বন দফতর। এর মধ্যে প্রায় ৮০টি শাল কাঠের। ২০টি ইউক্যালিপটাসের। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের সাঁকরাইল থানার কুলটিকরিতে। খড়্গপুরের ডিএফও মিলনকান্তি মণ্ডল বলেন, “নির্দিষ্ট সূত্রের খবরের ভিত্তিতেই তল্লাশি চালানো হয়েছিল। কে বা কারা এই কাঠ এখানে মজুত করে রেখেছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।”
কুলটিকিরি-কেশিয়াড়ি সড়কের এক জায়গায় দু’দিকে দু’টি পুকুর রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই দু’টি পুকুরে তল্লাশি শুরু হয়। উপস্থিত ছিলেন হিজলি-র রেঞ্জার অনিন্দ্য গুহঠাকুরতা। দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চলে। শেষমেশ পুকুর থেকে প্রায় ১০০টি কাঠের বল্লা উদ্ধার হয়। বন দফতরের কাছে খবর ছিল, এই পুকুরে প্রচুর কাঠ রাখা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া কাঠের বাজারমূল্য প্রায় ৮০ হাজার টাকা বলে বন-দফতর সূত্রের খবর। একটি পুকুর কালীপদ প্রধান নামে এক ব্যক্তির। অন্যটি ৭ শরিকের। এঁরা সকলেই তৃণমূল সমর্থক বলে পরিচিত। ঘটনাটি ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়েছে। তৃণমূলের সাঁকরাইল ব্লক সভাপতি সোমনাথ মহাপাত্র অবশ্য বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই এই এলাকায় প্রচুর গাছ কাটা হয়েছে। সিপিএমের লোকজন গাছ কেটে পাচার করেছে। তখন পুলিশ-প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ করেনি।” তাঁর কথায়, “কেউ যদি গাছ কেটে পুকুরে ফেলে রেখে যায়, তাহলে কী করার আছে?” |
|
উদ্ধার হওয়া কাঠের বল্লা। নিজস্ব চিত্র। |
শুধু সাঁকরাইল, নয়াগ্রাম নয়। বছর দুয়েক আগে জেলার শালবনি, লালগড়, গোয়ালতোড় প্রভৃতি এলাকায় প্রচুর গাছ কাটা হয়েছে। সিপিএমের লোকজনই এ সব গাছ কেটে পাচার করেছে বলে অভিযোগ। জঙ্গলমহল লাগোয়া এলাকায় এখনও কাঠ-পাচার চক্র সক্রিয়। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার সুযোগ নিয়েই কাঠ পাচার চলছে। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী শাল, ইউক্যালিপটাস প্রভৃতি গাছ কেটে জঙ্গল সাফ করে দিচ্ছে। বন দফতর অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, কাঠ পাচার রুখতে নজরদারি চলে। এখন নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে।
পাশাপাশি দফতরের দাবি, এখন পরিস্থিতি পাল্টেছে। গ্রামবাসীরাই অবৈধ কাঠ পাচার রুখছেন। বন-সুরক্ষা কমিটির সদস্যরাও নজরদারি বাড়িয়েছেন। দেড়-দু’বছর আগে জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ এলাকায় সুরক্ষা কমিটির সদস্যরা কাজ করতে পারতেন না। এখন সেই পরিস্থিতি নেই। কুলটিকিরি থেকে যে সব কাঠ উদ্ধার হয়েছে, সেগুলো কোথা থেকে কাটা হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত, তদন্তে নেমে তা খতিয়ে দেখছে বন দফতর। খড়্গপুরের ডিএফও বলেন, “এ ক্ষেত্রে সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|