|
|
|
|
|
আরও এক সুযোগ |
কমন এন্ট্রান্স টেস্ট বা সিইটি। রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবার এই প্রবেশিকা পরীক্ষাটি নিতে শুরু করার সিদ্ধান্ত পড়ুয়াদের সামনে খুলে দিল লক্ষ্যে পৌঁছনোর আর এক দরজা। আরও একটু সময়, আরও একটু শ্রম খরচ করে বাজিমাত করার ফের এক সুযোগ। প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন জেলার ১১০টি কলেজে যে ১৫ হাজার আসন আছে, তার ন্যূনতম ৫০% ভর্তি করা হবে সিইটি নিয়ে। পড়া যাবে বিবিএ, বিসিএ, হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট, বায়োটেকনোলজি, স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট, নটিক্যাল সায়েন্স, ক্লিনিক্যাল অপ্টোমেট্রি-র মতো অজস্র পাঠ্যক্রম। |
|
|
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার প্রবেশিকা ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স শেষ। শেষ রাজ্যে বা রাজ্যের বাইরে কারিগরি ও প্রযুক্তি পড়ার জন্য ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি-র জয়েন্ট ও এ আই ট্রিপল ই। সর্বভারতীয় হোটেল ম্যানেজমেন্ট এন্ট্রান্স এগজামিনেশন অর্থাৎ ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর হোটেল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কেটারিং স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানে ভর্তির পরীক্ষাও হয়ে গিয়েছে। এমনকী গত ৬ মে মিটেছে রাজ্যে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার প্রবেশিকা জেক্সপো-ও। এর মধ্যে কিছু পরীক্ষার ফলও প্রকাশিত হয়েছে। তাই এই দফায় সিইটি-র গুরুত্ব এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়েছে। খানিকটা পরীক্ষার শেষ মুহূর্তে খাতা আঁকড়ে ধরে যতটা পারা যায় লিখে আসার মতো। অনেকেই অন্তত এই পরীক্ষাটায় সফল হওয়ার একটা প্রাণপণ চেষ্টা করছেন।
সিইটি যে পড়ুয়াদের কেরিয়ার তৈরির বাড়তি একটা সুযোগ এনে দিল, সেটা নিয়ে একমত শিক্ষা জগতের দিক্পালরা। পাশাপাশি এই ভাবে ৫০% ছাত্র ভর্তির বিষয়টি অনেক কলেজকেও সুবিধা দেবে বলে মত মধ্যমগ্রামের ইনস্টিটিউট অফ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অধিকর্তা অমিত চক্রবর্তীর। তাঁর মতে, বায়োটেকনোলজি, মাইক্রোবায়োলজি, মলিকিউলার বায়োলজি বা জেনেটিক্স-এর মতো বিষয়গুলি যে রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজে পড়ানো হয়, তা কেন্দ্রীয় ভাবে জানানোটা জরুরি ছিল। তা ছাড়া, এই বিষয়গুলির ভবিষ্যতও যথেষ্টই উজ্জ্বল। |
|
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন রাজ্যের বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিকে নিয়ে গঠিত অ্যাসোসিয়েশন অফ প্রফেশনাল অ্যাকাডেমিক ইনস্টিটিউশন-এর সভাপতি তথা জেআইএস গোষ্ঠীর কর্তা তরণজিৎ সিংহ-ও। তবে তাঁর মতে, “৫০ শতাংশের বদলে ১০০% আসনই সিইটি-র মাধ্যমে ভর্তি করলে পড়ুয়াদের মধ্যে কোনও বিভ্রান্তি ছড়াতো না। কারণ, এত দিন কলেজগুলি সরাসরি ভর্তি করেছে। আচমকা ব্যবস্থা বদলের পর বহু ছাত্র-অভিভাবকই এখন বুঝতে পারছেন না কী ভাবে ভর্তির চেষ্টা করাটা আখেরে ভাল হবে, সিইটি-র মাধ্যমে, না কি সরাসরি কলেজে গিয়ে।”
রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম সিইটি পরীক্ষার সাফল্য নিয়ে আশাবাদী। তিনি জানান, এই পরীক্ষার ‘স্কোরকার্ড’-এর মাধ্যমে কলেজগুলি ৫০% ছাত্র ভর্তি করতে বাধ্য। কোনও কলেজ যদি ‘সিইটি’-র স্কোরকার্ড ছাড়া সরাসরি ৫০ শতাংশের বেশি আসন ভরে, তা হলে বিশ্ববিদ্যালয় কঠোর ব্যবস্থা নেবে। তাঁর বক্তব্য, “দ্বাদশ পেরিয়ে এ রাজ্যের বহু পড়ুয়া অন্য রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাডি সেন্টার বা ফ্যাঞ্চাইজি-তে ভর্তি হন। এই ‘মূল্যহীন’ পাঠ্যক্রমগুলি সম্পর্কে তাঁদের সচেতন করা হচ্ছে। রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলিতে যেখানে এত কোর্স আছে, সেখানে ভিন্ রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাডি সেন্টারে ভর্তি হওয়া অর্থহীন।”
|
১০+২-এর পর সিইটি দিয়ে যে সব বিষয়ে অনার্স পড়া যাবে, সেগুলি হল তিন বছর মেয়াদের
• বিবিএ
• বিবিএম ইন হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট,
• বিএসসি ইন মিডিয়া সায়েন্স,
• বিএসসি ইন মলিকিউলার- বায়োলজি
• বিএসসি ইন বায়োটেকনোলজি
• বিএসসি ইন মাইক্রোবায়োলজি এবং চার বছর মেয়াদের
• ব্যাচেলর ইন ক্লিনিক্যাল অপ্টোমেট্রি।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে যে সব প্রতিষ্ঠানে অপ্টোমেট্রি পড়ানো হয়, সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল বিদ্যাসাগর কলেজ অফ অপ্টোমেট্রি অ্যান্ড ভিশন সায়েন্স, এন এস এইচ এম নলেজ ক্যাম্পাস (দুর্গাপুর), পৈলান কলেজ অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি, জর্জ কলেজ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সায়েন্স, এম আর সি সি কলেজ অফ টেকনিক্যাল এডুকেশন।
|
প্রতিটির জন্যই দ্বাদশে ইংরাজি থাকা বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া, বিসিএ এবং নটিক্যাল সায়েন্সে ভর্তির জন্য অঙ্ক, রাশিবিজ্ঞান, বিজনেস ম্যাথমেটিক্স, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, কম্পিউটার সায়েন্স, ইনফর্মেশন টেকনোলজির মধ্যে একটি বিষয় থাকা জরুরি। বায়োটেকনোলজি, মাইক্রোবায়োলজি, মলিকিউলার বায়োলজি এবং জেনেটিক্স-এর ক্ষেত্রে পর্দাথবিজ্ঞান, রসায়ন থাকা আবশ্যিক। সেই সঙ্গে অঙ্ক বা জীববিজ্ঞানের মধ্যে যে কোনও একটি বিষয় থাকতে হবে। বিবিএ, হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট, হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট-সহ অন্যান্য কোর্সের ক্ষেত্রে যে কোনও শাখায় ১০+২ পাশ করলেই হবে।পরীক্ষায় যা থাকবে বিসিএ বা নটিক্যাল সায়েন্সে ভর্তি হতে গেলে থাকবে ইংরাজি, অঙ্ক, সিরিজ, লজিক্যাল রিজনিং। জেনেটিক্স, বায়োটেকনোলজি, মাইক্রোবায়োলজি, মলিকিউলার বায়োলজি-তে ভর্তির ক্ষেত্রে থাকবে পদার্থবিজ্ঞান (অপটিক্স), রসায়ন, লজিক্যাল রিজিনিং, ইংরাজি, অঙ্ক বা জীববিজ্ঞান। অন্যান্য কোর্সের জন্য সাধারণ জ্ঞান, লজিক্যাল রিজিনিং, ইংরাজি এবং নিউমেরিক্যাল এবিলিটি এই চারটি বিষয়ের পরীক্ষা দিতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সিইটি-র পরীক্ষা কেন্দ্র থাকছে কলকাতা উত্তর ও দক্ষিণ, খড়্গপুর, দুর্গাপুর, বহরমপুর, কল্যাণী, শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, ভুবনেশ্বর, রাঁচি, আগরতলা, পটনা, গুয়াহাটি-তে। পরীক্ষার মেয়াদ দু’ঘণ্টা। আবেদনপত্র দেওয়া শুরু হয়েছে। চলবে ৪ জুন পর্যন্ত। পরীক্ষাটি হবে ১৭ জুন। রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলি থেকে আবেদনপত্র মিলছে। ওয়েবসাইটেও আবেদনপত্র পাওয়া যায়। দেখুন www.wbut.ac.in ওয়েবসাইট।
|
|
খেয়াল রাখুন তথ্য সংকলন: কৌলিক ঘোষ |
|
বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে পূর্ণ সময়ের স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা পাঠ্যক্রম আনল ইন্দো-জার্মান ট্রেনিং সেন্টার (আইজিটিসি)। এটি বণিকসভা ইন্দো-জার্মান চেম্বার অফ কমার্সের ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণ বিভাগ। পাঠ্যক্রমটির মেয়াদ ১৮ মাস। জার্মান দ্বৈত শিক্ষা পদ্ধতির মডেল অনুসরণ করা হবে এতে, যেখানে পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি বাণিজ্যিক সংস্থায় শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতে হবে। ফলে পাঠ্যক্রম শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণও হয়ে যাবে, মিলবে অভিজ্ঞতাও। ভর্তির সময়েই বণিকসভাটির সদস্য বিভিন্ন জার্মান ও ভারতীয় সংস্থা শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করার জন্য প্রার্থীদের বাছাই করে নেবে, দাবি কর্তৃপক্ষের। নতুন বা অভিজ্ঞ প্রার্থীরা স্নাতকে গড়ে ৫০ শতাংশের বেশি নম্বর পেলে আবেদন করতে পারেন। আইজিটিসি লিখিত পরীক্ষা, গ্রুপ ডিসকাশন ও ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে ভর্তি করা হবে। ফোন নম্বর: +৯১-৩৩-২৪৮৬ ৪১৪৪/২৪৮৬ ৬৩৯৮/ নম্বরে। দেখে নিন www.igtcindia.com ওয়েবসাইট।
|
স্কুল সার্ভিস কমিশন, ডব্লিউবিসিএস-সহ বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি প্রশিক্ষণের নয়া মরসুম শুরু হচ্ছে কলকাতার জর্জ স্কুল অফ কম্পিটিটিভ এগজামিনেশন্স (জিএসসিই)-এ। জুন থেকে শুরু হবে ক্লাস। বিস্তারিত জানার জন্য যোগাযোগ করুন ৯৮৩০২-৭৭১০০ নম্বরে। |
|
|
|
|
|