ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকেই গা-ঢাকা দিয়ে আছেন সেখানকার অন্যতম ডিরেক্টর প্রীতি সুরেখা। ফেরার অবস্থাতেই ওই অভিযুক্তের আগাম জামিন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রীতিদেবী ওই হাসপাতালের অন্যতম ডিরেক্টর রাধেশ্যাম অগ্রবালের মেয়ে।
আমরির অন্য দুই অভিযুক্ত ডিরেক্টর আদিত্যবর্ধন অগ্রবাল ও রাহুল তোদিকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ওই দু’জনের মতো প্রীতিদেবীর বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল কলকাতা পুলিশ। পলাতক অবস্থাতেই আগাম জামিনের জন্য হাইকোর্টে জানান প্রীতিদেবী। আগেই দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষ হয়ে গিয়েছিল।
শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি অসীম রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ প্রীতি সুরেখার আগাম জামিন মঞ্জুুর করে বলে, আবেদনকারিণী আমরির ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নন। তিনি আমরির বোর্ড অফ ডিরেক্টর্সে ইমামি সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করছেন। নিম্ন আদালত এর আগেই আমরির ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মণি ছেত্রী ও প্রণব দাশগুপ্তের জামিন মঞ্জুর করেছে। তাই প্রীতিদেবীর আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর না-করার কোনও কারণ নেই।
গত ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ে আগুন লেগে ৯২ জনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালের বোর্ড অফ ডিরেক্টর্সের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে কলকাতা পুলিশ। সরকার মনোনীত তিন সদস্যকে অভিযোগের তালিকায় রাখা হয়নি। অভিযুক্ত ডিরেক্টরদের মধ্যে ন’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রীতি সুরেখা-সহ তিন ডিরেক্টর ফেরার হয়ে যান। ধৃত ন’জন ডিরেক্টর অবশ্য ইতিমধ্যেই জামিনে মুক্তি পেয়ে গিয়েছেন। ওই অগ্নিকাণ্ডে আমরির ভাইস প্রেসিডেন্ট (মেনটেন্যান্স) সত্যব্রত উপাধ্যায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রশাসন) পৃথা বন্দ্যোপাধ্যায়, মেনটেন্যান্স ম্যানেজার সঞ্জীব পাল এবং বিপর্যয়ের রাতে আমরির অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ের নাইট ইনচার্জ সাজিদ হোসেনকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। চার্জশিটেও ওই চার জনের নাম রয়েছে। তাঁরা জামিন পেয়েছেন। |