মহাকরণে গরম কার্যত দ্বিগুণ! আবহাওয়ার উত্তাপ আর আর্দ্রতার পীড়নের সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁঝালো কর্মী-বিক্ষোভ।
অফিসঘর ঠান্ডা রাখার দাবিতে বৃহস্পতিবার মহাকরণে বিচার বিভাগের কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। গরমে ওই বিভাগের এক মহিলা কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন। কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও বিক্ষোভে দিনভর কাজ ব্যাহত হয় ওই বিভাগে। তার উপরে যান্ত্রিক বিভ্রাটের জেরে দুপুরের পরে মহাকরণের কিছু অংশে বিদ্যুৎ উধাও হয়ে যায়। তিন নম্বর গেটের কাছে একটি ফিউজ উড়ে যাওয়ায় প্রথম দফায় মূল ভবনে প্রায় পাঁচ মিনিট বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়। নতুন ফিউজ লাগানোর পরে সেটিও বিকল হয়ে যায়। তার জেরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয় ১০ মিনিট। কর্মী-অফিসারদের কষ্ট বাড়ে।
গরম থেকে বাঁচতে এ দিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নুন-জলের শরবত খাওয়ার পরামর্শ দেন। ক্রমাগত জলপানের পরামর্শ দেন অর্থমন্ত্রী অমিত্র মিত্রও। তাঁর হাতে ছিল জলের বোতল। মহাকরণে তিনি বলেন, “এই গরমে ভাল থাকতে হলে গড়ে প্রায় পাঁচ লিটার জল খেতে হবে।” কর্মীদের ঠান্ডা জল দেওয়ার জন্য মহাকরণে চারটি ‘ওয়াটার কুলার’ লাগানোর প্রস্তাব দিয়েছেন মহাকরণের ভারপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার চন্দন মণ্ডল। মহাকরণের বারান্দায় খসখস লাগানো হচ্ছে বলে জানান কেয়ারটেকার কল্যাণকুমার সাহা।
এ দিন দুপুরে দোতলার বিচার বিভাগে ঝুম্পা লাহিড়ী নামে এক কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন অফিসঘরেই। বিভাগের এক কর্মী বলেন, “গরমে ওই মহিলা প্রায় সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। পাশে উপরওয়ালার ঘরে নিয়ে গিয়ে তাঁর শুশ্রূষা করা হয়।” বিচার বিভাগের নীচে রেস্তোরাঁর রান্নাঘর থেকেও তাপ উঠছে। কর্মীদের অভিযোগ, বিচার বিভাগের পরিবেশ অত্যন্ত বদ্ধ। আলো-বাতাস খেলার জায়গা নেই। কাজের পরিস্থিতি উন্নত করার দাবিতে দল বেঁধে কর্মীরা বারান্দায় বেরিয়ে আসেন। গরমের দাপট থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়ার আশায় মহাকরণের বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা আলো আংশিক বন্ধ করে রাখেন।
মহাকরণের একতলায় প্রাণিসম্পদ দফতরের অধীন দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তাদের আইসক্রিম বিক্রি বেড়েছে ব্যাপক ভাবে। রোজ বিকোচ্ছে প্রায় ১৫০ কাপ আইসক্রিম। চাহিদা বেড়েছে লস্যিরও। |