কাজে এত দেরি কেন, পূর্ণেন্দুকে তোপ ক্ষুব্ধ মমতার
রকারের এক বছরের কাজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামগ্রিক ভাবে ‘খুশি’ হলেও বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে তাঁর অসন্তোষের মুখে পড়লেন শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। বিষয়: সামাজিক মুক্তি কার্ড এবং এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক।
বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি শ্রমমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, ওই দু’টি প্রকল্প বাস্তবায়নে কেন এত দেরি? পূর্ণেন্দুবাবু বলেন, প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যায় কর্মসংস্থান ব্যাঙ্ক বানাতে একটু দেরি হচ্ছে। তবে সামাজিক মুক্তি কার্ড জুনেই চালু করা যাবে। মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক কত দিনে শুরু করা যাবে? শ্রমমন্ত্রীর উত্তর, আরও দু’মাস লাগবে। শুনে দৃশ্যতই অসন্তুষ্ট মমতা শ্রমমন্ত্রীকে পরিষ্কার জানিয়ে দেন, পনেরো দিনের মধ্যে প্রকল্পটি শুরু করে দিতে হবে। এটা নিশ্চিত করতে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিষয়টি দেখার নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিন মৎস্যমন্ত্রী আবু হেনা ও প্রাণিসম্পদ বিকাশমন্ত্রী নুরে আলম চৌধুরীর কাজ নিয়েও অসন্তোষ গোপন করেননি মমতা। দুই দফতর থেকেই কেন্দ্রের টাকা ফেরত যাওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, “কাজ করতে না-পারার কারণেই টাকা ফেরত গিয়েছে।” সেই টাকা ফেরানোর ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করতে বলেন মমতা। পাশাপাশি ইঙ্গিত দেন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণমন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের কাজেও তিনি বিশেষ খুশি নন।
মুখ্যমন্ত্রীর ‘ক্ষোভপ্রকাশ’ সম্পর্কে আবু হেনা মন্তব্য করতে চাননি। যদিও বলেছেন, “বাম আমলের তুলনায় গত এক বছরে মৎস্য দফতর অনেক বেশি খরচ করেছে। যেটুকু খরচ হয়নি, তার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” রাতে চেষ্টা করেও নুরে আলম চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
এ দিন মন্ত্রিসভাকে ‘ধন্যবাদ’ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কাজ বুঝতেই চার-পাঁচ মাস লেগে গিয়েছে। তার উপর আর্থিক অনটন। তবু যে ভাবে কাজ হয়েছে, তাতে আমি খুশি।” মন্ত্রীদের ভাল ভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “এখন যে সব প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, তা সময়ে পূরণ করতে হবে। বছরশেষে আমি কাজের অগ্রগতি মিলিয়ে দেখব।” প্রত্যেক মন্ত্রীকে পনেরো দিন অন্তর দফতরের সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বসার পরামর্শও দেন মমতা।
কাদের কাজে মুখ্যমন্ত্রী ‘বিশেষ ভাবে’ সন্তুষ্ট? এ ক্ষেত্রে মমতার বিশেষ নজর কেড়েছে তিনটি দফতর পঞ্চায়েত, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা। বৈঠকে নাম উল্লেখ করে তাদের প্রশংসাও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, স্বাস্থ্যের ভার মমতার নিজেরই হাতে। তবে দুই গুরুত্বপূর্ণ দফতর শিল্প ও বাণিজ্য এবং ভূমি ও ভূমিসংস্কার নিয়ে বৈঠকে একটা শব্দও তিনি খরচ করেননি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.