টুকরো খবর
আইসিএসই, আইএসসি-র ফল শনিবার
এ বছরের আইসিএসই এবং আইএসসি পরীক্ষার ফল শনিবার, ১৯ মে প্রকাশিত হবে। লেখা পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি। ১৯ মে বেলা ৩টেয় ফল প্রকাশ করা হবে বলে বুধবার জানান আইসিএসই বোর্ডের সচিব জেরি অ্যারাথুন। তার পরে ফল জানা যাবে এই সব ওয়েবসাইটে: http://www.cisce.indiaresults.com, http://www.cisce.ndtv.com, http: //www.cisce.examresults.net, http: //www.cisce.myschool.in.co, http: //www.cisce.topperlearning.com, http://www.cisce.timesofindia.com, http://www.cisce.navbharattimes.com। এসএসএসে ফল জানার জন্য আইসিএসই পরীক্ষার্থীরা আইসিএসই-র পরে ইনডেক্স নম্বর (মাঝের / চিহ্নটি ছাড়া) লিখে এবং আইএসসি পরীক্ষার্থীরা আইএসসি-র পরে ইনডেক্স নম্বর (মাঝের / চিহ্নটি ছাড়া) লিখে মেসেজ করবেন। যে-সব নম্বরে এসএমএস করে ফল জানা যাবে, সেগুলি হল: ৫১৮১৮, ৫৬২৬৩, ৫৮৮৮৮, ৫৬৭৬৭৫০, ৫৬৩৮৮ এবং ৫৪২৪২।

অনশনে বিধায়ক
জামশেদপুরে অনশন মঞ্চে বিধায়ক বন্না গুপ্ত। বুধবার পার্থ চক্রবর্তীর তোলা ছবি।
জল, বিদ্যুৎ-সহ জরুরি পরিষেবার দাবিতে আমৃত্যু অনশন শুরু করেছেন পশ্চিম জামশেদপুর বিধানসভা আসনের কংগ্রেস বিধায়ক বন্না গুপ্ত। জামশেদপুরের ক্ষুদিরাম চকে তৈরি হয়েছে অনশন মঞ্চ। এলাকার জরুরি নাগরিক পরিষেবার বেহাল দশায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অনশনরত বিধায়ক বলেন, “গত বছর দুয়েক ধরে সুষ্ঠু জরুরি পরিষেবা গড়ে তোলার জন্য বহু বার প্রশাসনের দরজায় ঘুরেছি। ধর্নায় বসেছি। কিন্তু মৌখিক আশ্বাস ছাড়া কিছুই মেলেনি। জল-বিদ্যুৎ-জঞ্জাল কোনও সমস্যাই মেটেনি। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই নিয়মিত ‘বিজলি-পানি-সাফাই’-এর দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছি।”

পরমাণু বিদ্যুৎ তৈরি চলবেই: প্রধানমন্ত্রী
পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করা কোনও মতেই সম্ভব নয়। সংসদে আজ এ কথা জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। বললেন, এ ভাবে একটা বিকল্প শক্তি উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া দেশের পক্ষে ক্ষতিকারক হবে। ইতিমধ্যেই ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে জাপান সরকার। ২০২২ সালের মধ্যে সমস্ত পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছে জার্মানিও। আজ লোকসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে এ প্রসঙ্গ ওঠে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র সংলগ্ন অঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপত্তার কথা অবশ্যই মাথায় রাখা হবে। নিরাপত্তার বিষয়ে মোটেই আপস করা হবে না। তিনি জানান, ২০১১-র ফুকুশিমা-বিপর্যয়ের পরেই দেশের সব ক’টি পরমাণু চুল্লির অবস্থা পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছিল সরকার। কোনও অভিযোগ আসেনি। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, জাপানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রধান ভরসাই হল পরমাণু শক্তি। ভারতের তা নয়। “বিকল্প শক্তি উৎস হিসেবে পরমাণু শক্তি ব্যবহারের পথ খোলা রাখাই বাঞ্ছনীয়”, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সেনাবাহিনীতে বেঙ্গল রেজিমেন্ট চান সুখেন্দুশেখর
ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ‘বেঙ্গল রেজিমেন্ট’ তৈরির দাবিতে সংসদে সরব হলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য সুখেন্দুশেখর রায়। আজ প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনিকে তিনি প্রশ্ন করেন, বেঙ্গল রেজিমেন্ট গড়া নিয়ে সরকার কোনও চিন্তাভাবনা করছে কি না। যার লিখিত জবাবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, কেন্দ্রের নীতি অনুযায়ী ধর্ম, জাত, সম্প্রদায় বা অঞ্চলের ভিত্তিতে নতুন রেজিমেন্ট গড়া হবে না। গোটা ভারতের প্রতিনিধিত্বমূলক সেনাবাহিনীই থাকবে। এই উত্তরে সন্তুষ্ট নন সুখেন্দুশেখর। তাঁর কথায়, “স্বাধীনতার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে নানা বিষয়ে বৈষম্য চলে আসছে। এ-ও তারই প্রতিফলন। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে জানতে চাইব যে কেন্দ্র কবে এই নীতি নিল? আর যদি নীতি থাকে, তা হলে ব্রিটিশ আমলের বৈষম্য জিইয়ে রাজস্থান, বিহার, পঞ্জাব, শিখ সব রেজিমেন্টকে অটুট রাখা হল কেন?” তাঁর বক্তব্য, কোনও রকম বৈষম্যেরই বিরোধিতা করা হয়েছে সংবিধানে। ফলে কেন্দ্রের এই অবস্থান সংবিধান বর্হিভূত।

সচিনকে নিয়ে কেন্দ্রকে নোটিস
রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে সচিন তেন্ডুলকরের শপথ নেওয়ার ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ জারি করা হবে না জানাল দিল্লি হাইকোর্ট। তবে খেলার সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যক্তিকে কী ভাবে মনোনীত করা হল, কেন্দ্রকে নোটিস পাঠিয়ে তার জবাব চেয়েছে আদালত। ৪ জুলাই এই মামলার শুনানি হবে। সচিনের রাজ্যসভার সদস্যপদ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল্লির প্রাক্তন বিধায়ক রাম গোপাল সিংহ সিসোডিয়া একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তাঁর আইনজীবী আদালতে বলেন, সংবিধানে শুধু শিল্প, বিজ্ঞান, সাহিত্য এবং সমাজ বিজ্ঞান, এই চারটি ক্ষেত্র থেকে রাজ্যসভার সদস্য মনোনয়নের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কাজেই খেলার জগৎ থেকে কাউকে মনোনীত করা অসাংবিধানিক।

মদ্যপ স্বামীকে পাথর মেরে খুন গয়ায়
মদ্যপ স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে এক মহিলা স্বামীকে পাথর দিয়ে মেরে খুন করেছেন। কাল রাতে গয়া জেলার সিভিল লাইন থানার রমনা রোডের কাছে মজারপার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ বাবলি গুপ্ত নামে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, বাবলির স্বামী মুকেশ মদ্যপ অবস্থায় এসে প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করত। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কয়েকদিন আগে তাঁর পেটে লাথি মারার ফলে সন্তানটিও নষ্ট হয়ে যায়। সেই থেকে ওই মহিলা রাগে ফুঁসছিলেন। কাল রাতে ফের মারধর করলে বাবলি পাথর তুলে মারেন স্বামী মুকেশকে (২৬)। পাথরের ঘায়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মুকেশের। আজ সকালে ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশ এসে বাবলিকে গ্রেফতার করে।

জোড়া কাটা মুণ্ড নিয়ে আত্মসমর্পণ
দুই ভাইয়ের শিরশ্ছেদ করে সেই কাটা মুণ্ড-সহ পুলিশের কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করল তাঁদের পাঁচ আত্মীয়। আজ এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে অসমের যোরহাট জেলার রাজাবাড়ির টকলাই চা-বাগান এলাকায়। নিহত দুই ভাইয়ের নাম বলু তাঁতি এবং লুইত তাঁতি। পুলিশ জানিয়েছে, ছেলেকে স্কুলে দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ওই পাঁচজন আক্রমণ করে বলুকে। ধারাল অস্ত্রে তাঁর ধড়-মুণ্ড আলাদা করে দেয়। তার পর চড়াও হয় বাগানে কর্মরত লুইতের উপর। এর পর দুই ভাইয়ের কাটা মাথা একটি বস্তায় ভরে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে। জমি সংক্রান্ত বিবাদের জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছে পুলিশ।

সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ, প্রহারে মৃত্যু বধূর
বাড়ি-জমি ভাগ করা নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া। আর শেষ পর্যন্ত তারই জেরে প্রহারে ও লাঠির ঘায়ে মৃত্যু হল এক ভাইয়ের স্ত্রীর। জখম হয়েছেন মৃতা মহিলার স্বামীও। ঘটনাটি ঘটেছে নওয়াদা জেলার হিসুয়া থানার হাসদা গ্রামের খুদহাল বিঘায়। নিহতের নাম বরসী দেবী (৪০)। পুলিশ জানিয়েছে, কাল সকালে দুই ভাই দুল্লা যাদব ও দেওশরণ যাদবের মধ্যে বাড়ি ও জমি ভাগ করা নিয়ে তুমুল ঝগড়া বাধে। এক সময় দুল্লা যাদবের স্ত্রী, ছেলে এবং জামাই সবাই মিলে দেওশরণের পরিবারের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গেলে লাঠিও চালানো হয়। জখম হন দেওশরণ ও তাঁর স্ত্রী বরসী দেবীও। তবে বরসী দেবীর আঘাতই ছিল গুরুতর। শেষ পর্যন্ত কাল রাতে তিনি মারাই যান। এই ঘটনায় দুল্লার পরিবারের চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দুল্লার বাড়ির সকলেই পলাতক।

মূক-বধিরকে গণধর্ষণ
মূক-বধির এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তিন জনের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, বছর ষোলোর ওই কিশোরী ভান্ডুপের জামিল নগরের বাসিন্দা। স্থানীয় একটি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সে। সোমবার যখন ওই কিশোরী বাড়ির সামনে খেলছিল প্রতিবেশী কাল্লু সুরেশচন্দ্র ও আরও দু’জন তাকে কাল্লুর বাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে গলায় ছুরি ঠেকিয়ে তাকে ধর্ষণ করে তারা। পরে কিশোরীর বাড়ির লোকজন কাল্লুর বাড়ি থেকে মেয়েকে উদ্ধার করেন। পুলিশ তিন অভিযুক্তকেই আটক করেছে। ২১ মে পর্যন্ত কাল্লুর পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। তবে কাল্লু ছাড়া বাকি দু’জন নাবালক হওয়ায় তাদের পাঠানো হয়েছে কিশোর অপরাধীদের জন্য নির্দিষ্ট হেফাজতে।

রাঁচির সচিবালয়ের সার্কিট বক্সে আগুন
ঝাড়খণ্ডের সচিবালয়, ‘প্রোজেক্ট বিল্ডিং’-এ আজ দুপুরে আগুন লাগে। বেলা পৌনে দুটো নাগাদ সচিবালয়ের চারতলার লিফ্টের অদূরে, দেওয়ালে বসানো বিদ্যুতের সার্কিট বক্সগুলি একের পর এক সশব্দে ফাটতে থাকে। দাউ দাউ করে সেগুলি জ্বলে ওঠে। বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পোড়ার গন্ধের সঙ্গে বের হতে থাকে কালো ধোঁয়া। আতঙ্কে কর্মীদের মধ্যে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। ভবনের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা শুরু করেন সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্মীরাই। এরই মধ্যে দু’টি ইঞ্জিন নিয়ে দমকলের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। পাশাপাশি সচিবালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ দ্রুত বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। দমকল এবং সচিবালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, আগুনে হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ছাড়া ক্ষয়ক্ষতিও তেমন হয়নি।

ছুড়ে ফেলল বাবা, মৃত্যু হল শিশুর
নিজের দেড় বছরের ছেলেকে রেগে গিয়ে ছুড়ে ফেলে দিল এক ব্যক্তি। তাতেই মৃত্যু ঘটল ওই শিশুটির। পাপ্পু দাস নামে ওই ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছেআজ সকালে মুজফফ্পুরের সদর থানার কচিপট্টি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি পেশায় গাড়িচালক। মদ খেয়ে প্রায় রোজই বাড়িতে এসে স্ত্রী নিভাকে মারধর করত। এ দিন সকালে ঝগড়া বাধলে দেড় বছরের ছেলে ঋষিরাজকে সে খাটের উপরে ছুড়ে ফেলে দেয়। খাট থেকে মাটিতে পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পায় শিশুটি। তাতেই মৃত্যু হয় তার। শিশুটির মামা শম্ভু দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পাপ্পুকে গ্রফতার করেছে।

ঘুষ নিতে গিয়ে ধৃত শিক্ষক
নিজেরই স্কুলের এক শিক্ষিকার কাছ থেকে ঘুষ নিতে গিয়ে আজ সকালে ভিজিল্যান্সের হাতে ধরা পড়ে গেলেন এক প্রধান শিক্ষক। সুরেন্দ্র রাম নামে ওই প্রধান শিক্ষক সীতামঢ়ীর হরডিহি এলাকার রাজকীয় প্রাথমিক স্কুলে কর্মরত বলে পুলিশ সূত্রের খবর।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.