আমরি মামলা |
হুলিয়া ফের স্থগিত, ফেরার কর্তার
জামিন-শুনানি শেষ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
|
|
ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালের ফেরার কর্তা প্রীতি সুরেখা আগাম জামিন পাবেন কি না, তার জন্য আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে তাঁর আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি শেষ হয়ে গিয়েছে। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে দু’পক্ষের সওয়াল শোনার পরে বিচারপতি অসীম রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, শুনানি শেষ হলেও রায় জানানো হবে পরে। এ দিনই প্রীতি-সহ আমরির তিন ফেরার কর্তার বিরুদ্ধে জারি হওয়া হুলিয়া স্থগিত রাখার মেয়াদ বাড়িয়ে দেন আলিপুরের অতিরিক্ত জেলা এবং দায়রা বিচারক দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৫ জুন পর্যন্ত ওই হুলিয়া জারির নির্দেশ বলবৎ করা যাবে না। গত ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে আমরি হাসপাতালে আগুন লেগে ৯০ জনেরও বেশি লোক মারা যান। সেই ঘটনার পর থেকেই অন্যতম অভিযুক্ত, ওই হাসপাতালের পরিচালকমণ্ডলীর সদস্যা প্রীতি সুরেখা, রাহুল তোদি এবং আদিত্যবর্ধন অগ্রবাল গা-ঢাকা দিয়ে আছেন। অন্য ন’জন ডিরেক্টর এবং চার কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁরা প্রত্যেকেই জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
প্রীতির আইনজীবী প্রদীপ ঘোষ এ দিন হাইকোর্টে বলেন, “আমার মক্কেল হাসপাতালের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ছিলেন না। ইমামি গ্রুপের প্রতিনিধি হিসেবেই তিনি পরিচালকমণ্ডলীর সভায় যোগ দিতেন।” সুপ্রিম কোর্টে আমরি-কর্তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শীর্ষ আদালত ওই মামলা শুনতে পারে, না-ও শুনতে পারে। তার জন্য হাইকোর্টে বিচারের কোনও অসুবিধা নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। সরকার পক্ষের আইনজীবী দেবাশিস রায় আদালতে জানান, সুপ্রিম কোর্টে ওই মামলা শোনা হবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই সর্বোচ্চ আদালতের রায় পর্যন্ত হাইকোর্টের অপেক্ষা করাই শ্রেয়। গত জানুয়ারিতে ফেরার তিন আমরি-কর্তার বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করার নির্দেশ দিয়েছিল আলিপুরের মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারকের আদালত। কিন্তু এ ক্ষেত্রে হুলিয়া জারির আইনগত বৈধতা নেই বলে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন। তাঁদের আবেদনের ভিত্তিতেই পরবর্তী কালে আলিপুরের জেলা এবং দায়রা বিচারকের আদালত হুলিয়া জারির উপরে স্থগিতাদেশ দেয়। সরকারের তরফে ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য আর্জি জানানো হয়েছিল। এই পরিপ্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা এবং দায়রা বিচারককে বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে বলেন জেলা এবং দায়রা বিচারক।
ধৃত আমরি-কর্তাদের মধ্যে সব চেয়ে শেষে জামিন পেয়েছিলেন ঘটনার রাতে হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা সাজিদ হোসেন। এ দিন মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারকের আদালতে হাজির হন তিনি। তাঁকে ৩০ মে অন্য অভিযুক্তদের সঙ্গে শুনানিতে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। |