|
|
|
| |
| তৃণমূলের সমর্থনে এমসিআই বিল পাশ রাজ্যসভায় |
| নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
লোকসভার ‘ভুল বোঝাবুঝি’ শুধরে গেল রাজ্যসভায়।
দু’দিন আগে লোকসভায় মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (এমসিআই) সংশোধনী বিলে সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। আজ অবশ্য রাজ্যসভায় সেই বিলেই ধ্বনিভোটে সমর্থন জানায় তৃণমূল। তবে লোকসভার মতো রাজ্যসভাতেও তৃণমূল সাংসদরা এমসিআই নিয়ে সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করেন।
তৃণমূলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্য মন্ত্রকেরই প্রতিমন্ত্রী। আর সেই মন্ত্রকেরই বিলে শরিক তৃণমূলের সাংসদরা বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছিল কংগ্রেস। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী পবন বনশল এ বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন। মমতা জানিয়েছিলেন, এমসিআই বোর্ড ভেঙে দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তে তাঁর নীতিগত আপত্তি আছে। তবে আপাতত এমসিআই পরিচালনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বোর্ড অফ গভর্নরস-এর মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর জন্য যে বিল আনা হয়েছে, তাতে তৃণমূল রাজ্যসভায় সমর্থন জানাবে। মমতা লোকসভায় সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার নির্দেশ দেননি বলেও পবন সে দিন জানিয়েছিলেন।
আজ ফের কোনও ‘ভুল বোঝাবুঝি’ যাতে না হয়, সে বিষয়ে প্রথম থেকেই সতর্ক ছিলেন মুকুল রায়। রাজ্যসভায় অবশ্য ধ্বনিভোটেই এমসিআই বিল পাশ হয়ে যায়। সেখানে তৃণমূলও বিলে সমর্থন জানায়। তবে তার আগে বিল নিয়ে বিতর্কে তৃণমূল সাংসদ দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বোর্ড অফ গভর্নরস-এর মেয়াদ দু’বছর থেকে তিন বছর করা নিয়ে কিছুটা হলেও আপত্তি রয়েছে।” তৃণমূলের বক্তব্য, স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে জাতীয় কমিশন গঠন করে তার অধীনেই মেডিক্যাল কাউন্সিল, ডেন্টাল কাউন্সিল ও নাসির্ং কাউন্সিলের মতো সব প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে আসতে চাইছে কেন্দ্র। এর ফলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ক্ষমতা কুক্ষিগত করছে এবং রাজ্যের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। কারণ এমসিআই বোর্ডে আগে প্রতিটি রাজ্য থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকত। কিন্তু সেই বোর্ড ভেঙে দিয়ে বোর্ড অফ গভর্নরস-এর হাতে পরিচালন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। দেবব্রতবাবু বলেন, “আমরা বিকেন্দ্রীকরণ থেকে অতিরিক্ত কেন্দ্রীকরণের দিকে যাচ্ছি।”
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে একই যুক্তি বামেদেরও। আজ সিপিএম সাংসদ পি রাজীবও রাজ্যসভায় একই যুক্তি দিয়েছেন। তবে সংসদের দুই কক্ষে তৃণমূলের দু’রকম অবস্থান নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সীতারাম ইয়েচুরি। তাঁর মন্তব্য, “তৃণমূল অন্তত সংসদের দুই কক্ষের স্বাধীন চরিত্র বজায় রেখেছে! এটাই ভাল খবর।” |
|
|
 |
|
|
