পুরনো যান ধরা শিকেয়, উঠছে প্রশ্ন
গেকার টু-স্ট্রোক অটো কিংবা পনেরো বছরের পুরনো যানবাহন, কোনওটাই আপাতত বাতিল করছে না রাজ্য সরকার। সেগুলি বাতিলের যে প্রক্রিয়া চলছিল, তা ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও টু-স্ট্রোক অটো বাতিল করে এলপিজি অটো চালু করতে এবং পনেরো বছরের পুরনো বাস-লরি-ট্যাক্সি বাতিল করে নতুন যান পথে নামাতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে। সেই সম্পর্কে রাজ্য সরকার সচেতনও। কিন্তু রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রের বক্তব্য, বাম সরকারের আমলে ওই নির্দেশ নিয়ে অনেক ‘জটিলতা’ তৈরি হয়। সেই সব না মিটলে হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করা কঠিন। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত বদলে হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করার অনুরোধ জানিয়ে বুধবার পরিবহণমন্ত্রীকে চিঠি দেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। চিঠিতে সুভাষবাবু লিখেছেন, গত বছর মে মাসে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে পুরনো গাড়ি বাতিল করার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়ায় পুরনো দূষণকারী যানবাহন কার্যত অবাধে দূষণ ছড়িয়ে ঘুরে বেড়ানোর ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে। হাইকোর্ট গত পয়লা ফেব্রুয়ারি আবার নির্দেশ দিয়েছে, ১৫ বছরের পুরনো বাস-লরি-ট্যাক্সি এবং টু-স্ট্রোক অটো বাতিল করে নতুন অটো পথে নামাতে হবে দু’মাসের মধ্যে। সুভাষবাবুর অভিযোগ, কিন্তু রাজ্য সরকার সেই নির্দেশ মানেইনি, উল্টে নতুন অটো কেনা এবং বিক্রিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিশ্চিত ভাবেই হাইকোর্টের নির্দেশের ‘পরিপন্থী’ বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন সুভাষবাবু।
এর ফলে এখন পুরনো বাস, লরি এবং ট্যাক্সি অবাধে কলকাতার পথে চলছে। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ২০০৯ সালে যে সব যানবাহনের বয়স ১৫ বছর পেরিয়েছিল, সেগুলি বাতিল করা হয়। কিন্তু তার পর থেকে যে সমস্ত যানবাহন ১৫ বছরের বেশি পুরনো হচ্ছে, তারা অবাধে চলাচল করছে রাস্তায়। এমনকী, পুরনো নীল অটোও কাটা তেল ব্যবহার করে দিব্যি চলছে শহরতলিতে। রাজ্য সরকার তা বন্ধ করছে না কেন?
এই প্রশ্নের সরাসরি জবাব এড়িয়ে পরিবহণমন্ত্রী জানান, আগের সরকার যে ‘জটিলতা এবং দুর্নীতির মধ্যে’ পরিবহণ দফতরকে রেখে গিয়েছে, তা ঠিক না করা পর্যন্ত হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করা যাবে না। মদনবাবুর কথায়, “হাইকোর্টের নির্দেশ আমরা অবশ্যই মানব। কিন্তু আগের সরকার পুরো প্রক্রিয়াটা এতটাই জটিল করে রেখে গিয়েছে যে, সেই জটিলতা না কাটিয়ে কোনও কিছুই করা সম্ভব নয়। তবে সুভাষবাবুর সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করতে বা তাঁর পরামর্শ নিতে আমরা সব সময়েই আগ্রহী। আগেও আমরা সুভাষবাবুকে ডেকে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেছি।”
সুভাষবাবু তাঁর চিঠিতে পুরনো অটো বদলে নতুন এলপিজি অটো নেওয়ার একটা হিসেব দিয়েছেন। সেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বেলতলা, আলিপুর, বারাসত, হাওড়া, হুগলি এবং নদিয়া মিলিয়ে কলকাতা মেট্রোপলিটন এলাকায় এখনও পর্যন্ত মাত্র ২৬ হাজার ৯৫৯টি নতুন অটো রাস্তায় নেমেছে। আরও ৪ হাজার ৩০১টি নতুন অটো কেনার আবেদন পরিবহণ দফতরে আটকে। কিন্তু পরিবহণমন্ত্রী সম্প্রতি জানান, ওই সব আবেদন নতুন করে খতিয়ে দেখতে হবে। কিন্তু মন্ত্রী আগেও বলেছেন, এ দিনও বলেন, কলকাতা এবং শহরতলি মিলিয়ে প্রায় ৭০ হাজার অটো চলে। তার ৬০ শতাংশই বেআইনি। এবং সেগুলি অবশ্যই আগের সরকারের আমলে কেনা হয়েছিল।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.