গোড়ায় গলদ
র্থিক বৃদ্ধির সঙ্গে পা মিলিয়ে আরও বাড়বে কাজ জানা যোগ্য কর্মীর চাহিদা। কিন্তু তথ্য বলছে তাল মিলিয়ে জোগান বাড়বে না। কারণ প্রশিক্ষণ পরিকাঠামোর অভাব। আর এখানেই লুকিয়ে আছে সমস্যার মূল।

ভয় পাইয়ে দেয় যে ছবিটা
বিদেশে ভারতের মেধা সম্পদের কদর কতটা, সে নিয়ে বিস্তর লেখালিখি হয়। এ দেশের উচ্চশিক্ষিতদের বিশ্বের দূরবর্তী প্রান্তে ছড়িয়ে পড়াটাও এখন চোখ এড়ায় না। কিন্তু এই ছবিটা বাস্তব না কি নেহাত ব্যতিক্রম, সেই প্রশ্নটাই এ বার তুলে দিয়েছে উচ্চশিক্ষা নিয়ে হওয়া সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা।
কর্মী সরবরাহকারী সংস্থা টিমলিজ সার্ভিসেস-এর ‘লেবার রিপোর্ট ২০১২’ (মাসিফায়িং হায়ার এডুকেশন; দ্য অ্যাকসেস অ্যান্ড এমপ্লয়বিলিটি কেস ফর কমিউনিটি কলেজেস)-এ উঠে আসা ভারতের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার ‘ট্র্যাজেডি’গুলি দেখিয়ে দিচ্ছে আসলে ঠিক কোনখানে দাঁড়িয়ে আছি আমরা। সমীক্ষা বলছে:
১) খুব কম পড়ুয়াই পা রাখে কলেজের চৌহদ্দিতে। ১৯৪৭-এ সংখ্যাটা ছিল ২ লক্ষ। ২০১২-তে বেড়ে মাত্র ১.৬ কোটি। ভর্তির গড় অনুপাত ১১%। বিশ্বের গড় অনুপাতের অর্ধেক ও উন্নত দুনিয়ার ৫৪% গড় অনুপাতের তুলনায় বহু যোজন পেছনে।
২) প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এতটাই কম যে, উচ্চশিক্ষার সুযোগই পায় না অনেকে। বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজগুলি সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে অসম ভাবে ছড়িয়ে।
৩) বেশির ভাগ কলেজই স্রেফ ‘ডিগ্রি’ হাসিলে জোর দেয়। এড়িয়ে যায় পড়ুয়াদের দক্ষতা বৃদ্ধি বা শিল্পের চাহিদা মেনে কর্মযোগ্য করে তোলার শর্তটিকে। যা প্রশ্ন তুলে দেয় শিক্ষার উদ্দেশ্য নিয়েই।
রিপোর্ট অনুযায়ী, কাজের নিত্য নতুন দুনিয়ায় পা রাখার উপযোগী পাঠ্যক্রম বা শিক্ষার পরিকাঠামো, সবেতেই দৈন্যদশা স্পষ্ট। বহু ক্ষেত্রেই উচ্চশিক্ষার মানকে টেনে নামাচ্ছে শিক্ষা প্রদানের মাধ্যম হিসেবে প্রায় প্রাগৈতিহাসিক যুগের সামগ্রীর ব্যবহার, যোগ্য শিক্ষকের অভাব, অপ্রতুল পুঁজি এবং স্বাধীন ও পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার মতো প্রতিষ্ঠানের ঘাটতি। ফলে উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে শিক্ষা ও শিল্পের দূরত্ব। শিক্ষার মান, পড়ুয়াদের কর্মযোগ্যতা ও কর্মসংস্থান বাড়াতে শিক্ষা ক্ষেত্রের সঙ্গে শিল্পের যোগসূত্রও রয়ে যাচ্ছে অনেকটাই আল্গা।
শুধরে নেওয়ার সুযোগ আছে
সব মিলিয়ে যে বার্তাটি স্পষ্ট, উচ্চশিক্ষার সেই আপৎকালীন পরিস্থিতি সম্পর্কেই সতর্ক করেছে সমীক্ষা।
টিমলিজের চেয়ারম্যান মণীশ সাভারওয়াল-এর দাবি, সঙ্কট থেকে বেরনোর অন্যতম পথ প্রয়োগমুখি শিক্ষায় উৎসাহ দেওয়া ও দেশে কমিউনিটি কলেজের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ানো। প্রতিষ্ঠান হিসেবে যেগুলি আংশিক কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আংশিক কলেজ ও খানিকটা এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের কাজ করে। কর্মযোগ্যতা বাড়াতে এগুলি আঞ্চলিক ভিত্তিতে বৃত্তিমূলক শিক্ষা দেয় সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশ-সহ সব স্তরের ছেলেমেয়েকে। এবং প্রথাগত শিক্ষার বাইরে বেরিয়ে সার্টিফিকেট বা ডিপ্লোমা কোর্সকে ডিগ্রির সমগোত্রীয় হিসেবে মর্যাদা দেয়।
এই ব্যবস্থায় এক দিকে, ছোট ছোট শিক্ষা কেন্দ্র, বড় ক্যাম্পাস, দূরশিক্ষা, অনলাইন বা স্যাটেলাইট শিক্ষার মতো বিভিন্ন মাধ্যমকে ব্যবহার করে অপ্রতুল প্রতিষ্ঠানের সঙ্কট কাটানো যায়। পৌঁছনো যায় সমাজের সব অংশে। অন্য দিকে, পাঠ্যসূচি তৈরি, প্রশিক্ষণ প্রদান বা সার্টিফিকেশন ব্যবস্থায় নিয়োগকারী সংস্থাগুলিকে যুক্ত করে ঘোচানো যায় শিক্ষা-শিল্পের দূরত্ব।

আগ্রহ বাড়াতে হবে
সামাজিক-অর্থনৈতিক বদল ছাড়াও উচ্চশিক্ষার হার বাড়াতে সমাজের সব স্তরে উৎসাহ জোগানোটা খুব জরুরি বলে মনে করছেন বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-র এডুকেশন টাস্ক ফোর্স কমিটির চেয়ারপার্সন আর পি বন্দ্যোপাধ্যায়। সে ক্ষেত্রে তাঁর মত:
• শিক্ষার মাধ্যমে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে কাজের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান বা দক্ষতা বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দিতে হবে
• পাঠ্যক্রম তৈরির ক্ষেত্রে পড়ুয়াদেরও সামিল করলে কাজ দেবে
• উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণের ফাঁস আলগা করতে হবে
• উৎসাহবর্ধক ও প্রয়োজন-ভিত্তিক পাঠ্যক্রমে নজর দিতে হবে।

যৌথ উদ্যোগ চাই
উচ্চশিক্ষার মান ও কর্মযোগ্যতা বৃদ্ধি এবং প্রসারে বেসরকারি পুঁজিকেই বাজি করার পক্ষে সওয়াল করছে শিল্পমহল। বণিকসভা ফিকি-র ডিরেক্টর মৌসুমি ঘোষের দাবি, বিভিন্ন রাজ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা ‘পিপিপি’ মডেল অর্থাৎ সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ পুঁজি টানার পথ হতে পারে। উচ্চশিক্ষার সুযোগ, মান এবং সমাজের সব স্তরে তার বিস্তার, শিক্ষা ব্যবস্থার এই তিনটি স্তম্ভই উপকৃত হবে এতে।
বস্তুত, শিক্ষায় পিপিপি মডেলে ভর করে স্বচ্ছ কাঠামো তৈরি ও কমিউনিটি কলেজের সংখ্যা বাড়ানোয় জোর দিয়েছেন টাটা গোষ্ঠীর মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান সতীশ প্রধানও।
বেঙ্গল চেম্বারের আর পি বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, যে সব রাজ্যে বেশি সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ আছে, তারা আসলে বেসরকারি ক্ষেত্রকে শিক্ষায় প্রবেশের সুযোগ দিয়েই এই লক্ষ্যে পৌঁছেছে। এর সমাধান হিসেবে তিনটি পথে এগোবার পরামর্শ তাঁর-
• পুরোপুরি সরকারি উদ্যোগ
• সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ
• বেসরকারি উদ্যোগকে কাজ করার স্বাধীনতা প্রদান।
অ-সরকারি মান নির্ণায়ক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিয়মিত উচ্চশিক্ষা প্রসারের এই তিনটি স্তরেরই মান ও কার্যকারিতা যাচাইয়ের পরিকাঠামো তৈরির উপরও জোর দিয়েছেন তিনি।
ফিকির তরফে মৌসুমিদেবী মেনে নিয়েছেন শিল্প-শিক্ষার দূরত্ব ঘুচিয়ে কর্মযোগ্যতা বাড়ানোর দায় শিল্পেরও আছে। যে কারণে শিল্পের চাহিদা মাফিক পড়ুয়াদের দক্ষতা বাড়ানোর কর্মযজ্ঞে ফিকি-র নেমে পড়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, সরকারের ২০২২ সালের মধ্যে ৫০ কোটি পড়ুয়াকে দক্ষতা বাড়ানোর প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বণিকসভাটি ‘ন্যাশনাল নলেজ ফাংকশনাল হাব’ তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে। এর আওতায় শিল্পের যে সমস্ত ক্ষেত্রে মানব সম্পদ বা দক্ষতার অভাব রয়েছে, সেগুলিতে নজর দেবে তারা।
অবস্থা পাল্টাতে সমীক্ষার সুপারিশ
• স্কুল স্তরের শিক্ষার মানে নজর
• স্বচ্ছ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা
• উচ্চশিক্ষায় সংস্কার
• তাকে নিয়ন্ত্রণ মুক্ত করা
• প্রশিক্ষণ কেন্দ্র-ভিত্তিক পড়াশোনার পরিকাঠামোয় জোর
• উচ্চশিক্ষায় আরও বেশি বেসরকারি লগ্নির দরজা খুলে দেওয়া
• সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি
• দূরশিক্ষাকে আরও স্বীকৃতি
• স্বল্পমেয়াদি সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা কোর্সকে আরও মর্যাদা ও বৈধতা দেওয়া
• দক্ষতা বৃদ্ধিতে নজর
• দক্ষতা ও কর্মসংস্থানের সমতা রক্ষা
বৃত্তিমূলক শিক্ষা জরুরি
টিমলিজের সমীক্ষা জানিয়েছে, আগামী ২০ বছর ধরে প্রতি মাসে ১০ লক্ষ ছেলেমেয়ে চাকরির বাজারে ঢুকবেন। কিন্তু যথাযথ তৈরি থাকবেন না তাঁদের বেশির ভাগই। আর এখানেই প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে কমিউনিটি কলেজের মতো প্রতিষ্ঠান। যেখান থেকে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ নিয়ে রীতিমতো তৈরি হয়েই শ্রম বাজারে পা রাখার সুযোগ পাবেন ছোট শহর, অসংগঠিত কর্মী ও সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের থেকে আসা ছেলেমেয়েদের এক বড় অংশ।
মৌসুমিদেবীর কথায়, “প্রথাগত শিক্ষাকে বরাবরই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় এ দেশে। কিন্তু সেই ব্যবস্থাতেই যখন খামতি রয়েছে, তখন বর্তমান পরিস্থিতির বিচারে প্রথাগত শিক্ষার সঙ্গেই চাকরিমুখি বা বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে মিশিয়ে দেওয়া হোক। কারণ সমাজের সব স্তরের উন্নয়নে ও আর্থিক বৃদ্ধি ত্বরাণ্বিত করতে এই শিক্ষার ভূমিকা অত্যন্ত বেশি।”
প্রথাগত শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার ঝোঁক থেকে বেরোতে উঁচু মানের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের বেশি বেতন দেওয়ার পক্ষেও সওয়াল করেছেন আইসিআইসিআই প্রুডেনশিয়াল-এর মানব সম্পদ বিভাগের কর্তা যুধাযিৎ দাস।

পাঠ্যক্রমের সংস্কার
পাঠ্যক্রমের সংস্কার নিয়ে বিতর্ক নতুন কিছু নয়। তবে উচ্চশিক্ষার মান বাড়াতে ও তাকে প্রয়োগমুখি করতে এই মুহূর্তে পাঠ্যক্রমের আমূল সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে দ্বিধাহীন ভাবে সরব শিল্পমহল। যার অন্যতম শরিক সতীশ।
প্রতিভা ও আর্থিক সম্পদের অপচয় রুখতে ও সমাজের ভিত পোক্ত করতে পাঠ্যক্রমের সংস্কার ও সেটিকে শিল্পের চাহিদা অনুযায়ী সাজানোর সুর প্রযুক্তি সংস্থা থ্রি-এম ইন্ডিয়ার মানব সম্পদ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট নাথানিয়েল অ্যান্টনি শশিকর-এর গলাতেও। বিভিন্ন ধরনের শিল্পের প্রয়োজন খতিয়ে দেখার পরই সেই মাফিক পাঠ্যসূচি তৈরিতে জোর দিয়েছেন তিনি।
বস্তুত, এই লক্ষ্যেই স্নাতক উত্তীর্ণদের তাঁরা নিজেরাই প্রশিক্ষণ দিয়ে নেন বলে জানিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা জেনপ্যাক্ট-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অঞ্জু তলোয়ার। তাঁর দাবি, “বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কথোপকথনে সমস্যা থাকে। সেটাই মেরামত করে প্রার্থীদের কর্মযোগ্য করে তৈরি করে নিই। না হলে বহুজাতিকে কাজ করাই মুশকিল হবে।”

নজর যখন পশ্চিমবঙ্গে
উচ্চশিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও চাকরির বাজারে ঢোকার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতায় ঘাটতি থেকে যাওয়ার সমস্যা জাঁকিয়ে বসে পশ্চিমবঙ্গেও, জানাচ্ছে কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া বা সি আই আই-র একটি সমীক্ষা। বণিকসভাটির পূর্বাঞ্চলীয় ডিরেক্টর সৌগত মুখোপাধ্যায় তাই বিভিন্ন ধরনের শিল্পে কাজ করার জন্য বিশেষ দক্ষতা অর্জনে জোর দেওয়ার পক্ষপাতী।
সৌগতবাবুর কথায়, “পড়ুয়াদের কর্মযোগ্যতা বাড়াতে শিল্প ও শিক্ষার পারস্পরিক সহযোগিতা ছাড়া গতি নেই। উচ্চশিক্ষা জরুরি। কিন্তু তা পুঁথিগত তত্ত্ব হলে কাজে লাগবে না। বরং হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের সুযোগ দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে শিল্পমহলের চাহিদা মাফিক সাজাতে হবে পাঠ্যসূচি। পাঠ্যক্রম হতে হবে ‘কেস-স্টাডি’ ভিত্তিক।” রাজ্যে শিক্ষার মান বাড়াতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শিক্ষক বিনিময়ের গুরুত্বের উপরও জোর দেন তিনি। তাঁর আর্জি এ রাজ্যে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে যথার্থ নীতি তৈরি করা হোক।
তবে ফিকির দাবি, এ রাজ্যে ছাত্রছাত্রীদের দক্ষতা বাড়াতে পশ্চিমবঙ্গে সরকার এখন বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে হাত মিলিয়েই কাজ করছে। কারণ পরিষেবা হোক বা উৎপাদন শিল্প, উন্নয়নের স্বার্থে যোগ্য কর্মীর চাহিদা ও জোগানের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনাটা যে একান্ত জরুরি, তা অনুভব করতে শুরু করেছে সব পক্ষই।
খেয়াল রাখুন
তথ্য সংকলন: কৌলিক ঘোষ
ভর্তি চলছে স্নাতক স্তরে
বর‌্ধমান সাইবার রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে বিবিএ, বিসিএ ও বায়োটেকনোলজির (সাম্মানিক) ডিগ্রি পাঠ্যক্রমে ভর্তি চলছে। বর্ধমানের তিনকোনিয়ায় অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠান বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত। কর্তৃপক্ষের দাবি, শহরের অন্যতম পুরনো এই কলেজটি ছাত্রছাত্রীদের দক্ষ পেশাদার হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করে। যোগাযোগের নম্বর: (০৩৪২) ২৫৬৮৯০৯/২৫৬৮৮৯৬।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং
রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন মধ্যমগ্রামের ইনস্টিটিউট অফ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, মাইক্রোবায়োলজি, মলিকিউলার বায়োলজি এবং বায়োটেকনোলজি-র সাম্মানিক স্নাতক পাঠ্যক্রমে ভর্তি শুরু হল। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের দাবি, আগে এলে আগে ভর্তির সুযোগ পাওয়া যাবে। ফোন নম্বর: ২৫২৬-০০৫১/৫২/৫৩।

অনলাইনে অ্যাকাউন্ট্যান্সি
অনলাইনে অ্যাকাউন্টিং ও কর- সংক্রান্ত কোর্স চালু করল বিটিসি। বাণিজ্য বা আইনে স্নাতকরা ভর্তি হতে পারবেন। পাঠ্যক্রমটি শুরু হবে মে মাসের শেষে। আরও তথ্যের জন্য ফোন করুন ৯৮৩৬২-৬২৭৩৩ নম্বরে।

আইন পড়তে চান যাঁরা
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ন’টি আইন কলেজে ভর্তির জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষাটি হবে আগামী ২০ মে। যে কোনও বিষয়ে ১০+২ উত্তীর্ণরা এই পরীক্ষায় বসতে পারবেন। তবে ১০+২-এ ৪৫% নম্বর থাকা জরুরি। আবেদনপত্র জমার শেষ দিন ১৮ মে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেল্স কাউন্টারে (কলেজ স্ট্রিট) আবেদনপত্র পাওয়া যাচ্ছে।

আপনার প্রশ্ন
বিশেষজ্ঞের উত্তর

প্রশ্ন: ইংরেজিতে স্নাতক। স্কুল সার্ভিস দিয়ে একটি স্কুলে পড়াই। এখন বিএড করতে চাইছি। রাজ্যে ক’টি বিএড কলেজ আছে? পৈলান বিএড কলেজটি কি স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান?

উত্তর: রাজ্যে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন বা এনসিটিই-র স্বীকৃত বিএড কলেজ রয়েছে ১৩৯টি (এনসিটিই-এর সূত্র অনুযায়ী)। দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাবে জানাই যে, পৈলান বিএড কলেজ এনসিটিই ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃত। তাই এখানে ভর্তির ক্ষেত্রে ঝুঁকির কোনও প্রশ্ন নেই। তবে সব সময় এনসিটিই-র www.ercncte.org ওয়েবসাইটের দিকে নজর রাখবেন। কারণ কাউন্সিল কখন, কোন প্রতিষ্ঠানকে সায় দিচ্ছে তা জানা যায় ওয়েবসাইটটি থেকেই।


Content on this page requires a newer version of Adobe Flash Player.

Get Adobe Flash player


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.