এই ব্যাধির প্রকোপ ভারতে প্রবল, পশ্চিমবঙ্গে প্রবলতর। কালক্রমে সেই প্রকোপ বাড়িতেছে। নূতন নূতন এলাকায় তাহা ছড়াইতেছে। বছরের বিশেষ বিশেষ সময়ে ব্যাধির প্রাদুর্ভাব বাড়ে, তবে অন্য সময়েও যে তাহা সম্পূর্ণ উধাও হইয়া যায়, এমন কোনও নিশ্চয়তা নাই। এই ব্যাধির নিশ্চিত প্রতিষেধক এখনও অজানা। নির্দিষ্ট চিকিৎসাও অজ্ঞাত। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যাধি প্রাণঘাতীও হইতে পারে। স্বভাবতই, নিকটবর্তী অঞ্চলে এই ব্যাধি হানা দিয়াছে শুনিলে মানুষ আতঙ্কিত হইয়া পড়েন, অতীতে যেমন বর্গির উপদ্রবে আতঙ্ক সৃষ্টি হইত। কিন্তু উপায় নাই, ইহাকে সঙ্গে লইয়াই বাস করিতে হইবে, তাই অসহায় মানুষ ইহাকে মানিয়া লইয়াছেন। অধুনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা পরীক্ষানিরীক্ষার পরে জানাইয়াছেন, যাহারা এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়, তাহাদের রক্তের ক্ষুধা বাড়িয়া যায়, ফলে তাহারা আরও বেশি মানুষের রক্তপানে ব্রতী হয়, ফলে আরও বেশি মানুষ ওই ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়। অর্থাৎ, ব্যাধিটি আক্ষরিক অর্থেই, স্বতশ্চল, স্বতঃস্ফূর্ত। না, ব্যাধির নাম রাজনীতি নয়, ডেঙ্গি। |