নসিপুর রাজবাড়ি। নিজস্ব চিত্র। |
মুর্শিদাবাদ জেলার অন্যতম ঐতিহাসিক নিদর্শন নসিপুর রাজবাড়ি বর্তমানে অবহেলিত ও ভগ্নস্তুপে পরিণত হয়েছে। যে রাজবাড়ির ঝুলনযাত্রা ও রথযাত্রাকে ঘিরে মুর্শিদাবাদ এবং আশপাশের জেলার সংস্কৃতির পাশাপাশি সামাজিক মেলবন্ধন তৈরি হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের এরকম একটি ঐতিহাসিক রাজবাড়ি অবহেলার শিকার। অবিলম্বে ওই পুরাকীর্তির সংস্কার করার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
ছোটন গোস্বামী, জিয়াগঞ্জ
|
কান্দি শহর লাগোয়া বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে ধানকল, হিমঘর ও অন্য মিল। এর ফলে এক দিকে যেমন শব্দদূষণ হচ্ছে, অন্য দিকে তেমনই ওই ধানকল থেকে নির্গত ছাই পরিবেশ দূষণ ঘটাচ্ছে। তার প্রভাব পড়ছে কান্দি শহরেও। সব থেকে বেশি অসুবিধার সম্মুখীন হন কারখানা লাগোয়া স্থানীয় বাসিন্দারা। আগে হাতে গোনা কয়েকটি কারখানা থাকায় সমস্যা বড় আকার নেয়নি। কিন্তু এখন ধানকল-হিমঘরের সংখ্যা মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় দূষণের সমস্যা প্রকট হয়ে উঠেছে। ওই কারখানা গড়ে তোলার আগে সাধারণ বাসিন্দাদের কোনও রকম সুবিধা-অসুবিধার কথা ভাবা হয়নি। ফলে কারখানা থেকে নির্গত ছাই নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে প্রতিনিয়ত মানুষের শরীরে ঢুকছে। এতে শরীরে জটিল অসুখ দেবে। বর্তমানে কারখানা লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে হাঁচি-কাশির প্রবণতা আগের তুলনায় বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ ব্যাপারে মিল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ না করায় ওই সব মিল-এর বর্জ্য পদার্থ রাস্তার দু-পাশে খোলা আকাশের নীচে ফেলে রাখা হচ্ছে এবং তা উড়ে গিয়ে বাতাস দূষিত করছে। ঝড়ের সময়ে ওই সমস্যা ভয়াবহ আকার নেয়। তখন ওই ছাই গোটা এলাকায় উড়ে বেড়ায়। আকাশ অন্ধকারে ডুবে যায়। কিন্তু মিল কর্তৃপক্ষ থেকে প্রশাসন কারও কোনও হেলদোল নেই। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের অনুরোধ জানাচ্ছি।
অময় চক্রবর্তী, কান্দি
|
কৃষ্ণনগর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত অন্যান্য রাস্তার মধ্যে বর্ণপরিচয় ভবন থেকে হোলি ফ্যামিলি স্কুল পর্যন্ত কলেজ স্ট্রিট রাস্তাটি অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা। এই গুরূত্বপূর্ণ রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের গত এক বছরে শহরের অন্যান্য রাস্তায় পিচ পড়লেও কলেজ স্ট্রিট রাস্তা সংস্কার হয়নি। একই ভাবে শহরে বিভিন্ন নিকাশি নালা তৈরি হলেও ওই রাস্তা সংলগ্ন নিকাশি নালা তৈরির ব্যাপারেও অনীহা রয়েছে। অথচ জেলার বিভিন্ন সরকারি দফতরের আধিকারিক থেকে স্কুলের খুদে পড়ুয়ারা ওই রাস্তা দিয়েই প্রতি দিন যাতায়াত করে থাকে। রাস্তার সংস্কারের পাশাপাশি রাস্তা লাগোয়া নিকাশি নালা তৈরি না হওয়ায় প্রতি বছরের মত এবছরও বর্ষায় হাঁটুজল সঙ্গী করে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে বাসিন্দাদের। বিষয়টি পুরসভার ভেবে দেখার সময় এসেছে।
সমরকুমার মৌলিক, ধুবুলিয়া |