|
|
|
|
|
|
পূর্ব কলকাতা
বিধাননগর |
সাজছে আইল্যান্ড |
কাজল গুপ্ত |
অবশেষে বিধাননগরের আইল্যান্ডগুলির সংস্কার শুরু হল। অভিযোগ, দীর্ঘ দিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অধিকাংশ আইল্যান্ডের জীর্ণ অবস্থা। বাসিন্দাদের একাংশ বহিরাগতদের সুবিধার জন্য সংস্কারের পাশাপাশি আইল্যান্ডে দিক নির্দেশিকা রাখার দাবি তুলেছেন। বিধাননগর পুরকর্তৃপক্ষ জানান, পর্যায়ক্রমে আইল্যান্ডগুলির সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নের কাজ করা হবে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরামর্শ বিবেচনা করা হবে।
|
|
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আইল্যান্ড বিধাননগরের অন্যতম পরিচয়। শুধু দিক নির্দেশই নয় আইল্যান্ডগুলি সুন্দর সাজানো ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা শান্তনু গুহ বলেন, “আশির দশকের বিধাননগরের সঙ্গে আজকের বিধাননগরের অনেক তফাৎ। বিধাননগর এখন কসমোপলিটন শহর। এ কথা মাথায় রেখে সংস্কারের কাজ করতে হবে।” বহিরাগতদের অভিযোগ, আইল্যান্ডগুলি গোলকধাঁধার মতো। গন্তব্যস্থল খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তবে বিধাননগরের প্রবীণ নাগরিকরা অবশ্য জানান, আগে প্রত্যেকটি আইল্যান্ড আলাদা করে সাজানো হত। ফলে সহজে প্রত্যেকটি আইল্যান্ড বোঝা সহজ হত। কিন্তু দীর্ঘ দিন সংস্কারের অভাবে আইল্যান্ডগুলির বেহাল দশা। কোথাও রেলিং ভেঙে পড়েছে, পাঁচিলে ফাটল ধরেছে। কোথাও আবার আইল্যান্ড জুড়ে আগাছা গজিয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, এ বার আইল্যান্ডগুলির ভোল বদলাতে চলেছে। এর মধ্যে কয়েকটি আইল্যান্ডের সংস্কার হয়েছে। বাকিগুলিরও দ্রুত সংস্কার করা হবে। |
|
তবে সৌন্দর্যায়ন নিয়ে বাসিন্দাদের একাংশ প্রশ্নও তুলেছেন। তাঁদের মতে, সম্প্রতি পরিবহণ দফতর বিধাননগরে ডবল ডেকার বাস চালু করার পরিকল্পনা করছে। আইল্যান্ডের পরিধি না কমালে ডবল ডেকার চলতে সমস্যা হতে পারে। বাসিন্দাদের সংগঠন বিধাননগর (সল্টলেক) ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কুমারশঙ্কর সাধু বলেন, “আইল্যান্ডগুলি বিধাননগরের পরিচয়। কিন্তু, আইল্যান্ডের চার দিকের ব্লকগুলি সহজে বোঝা যায় না। এ ক্ষেত্রে আইল্যান্ডগুলিতে দিক নির্দেশিকা থাকলে বাসিন্দা ও বহিরাগতদের সুবিধা হবে।”
বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, “দু’টি আইল্যান্ডের ইতিমধ্যেই সংস্কার করা হয়েছে। অর্থের জোগান অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে বাকি আইল্যান্ডের সংস্কার করা হবে। পরিকল্পনা করা হচ্ছে। প্রত্যেক ওয়ার্ডেই কাউন্সিলররা দিক নির্দেশ বসাচ্ছেন। তবে এ ক্ষেত্রে বাসিন্দাদের পরামর্শ বিবেচনা করা হবে।” |
ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য। |
|
|
|
|
|