|
|
|
|
|
|
|
আপনার সাহায্যে... |
|
এই গরমে সানস্ক্রিন লাগবেই
রোদে ঘুরুন বা ঘরে থাকুন সুজাতা মুখোপাধ্যায়কে
জানালেন ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. ইমরান ওয়ালি |
|
|
রোদে ঘুরে ঘুরে কাজ। চামড়ার দফারফা।
ছাতা-সানগ্লাস নিলে আর ভাল করে সানস্ক্রিন মাখলে তো হওয়ার কথা নয়।
সানস্ক্রিন মাখলেই তো মুখে র্যাশ।
তৈলাক্ত ত্বকে অয়েল বেসড সানস্ক্রিন মাখলে তো হবেই।
ওয়াটার বেসড মাখব?
অবশ্যই। আর ত্বক বেশি স্পর্শকাতর হলে এক বার ডাক্তার দেখিয়ে নেবেন।
সে না হয় দেখাব। কিন্তু ঘামের চোটে সানস্ক্রিন আর থাকে কতক্ষণ!
তখন পরিষ্কার জলে ধুয়ে-মুছে আরেক বার লাগাবেন।
রাস্তায় এ সব সম্ভব!
সম্ভব না হলে চামড়া পুড়বে, র্যাশ বেরোতে পারে, মেচেতা হবে, অকালে বলিরেখা পড়বে, সে সব মেনে নিন।
সানস্ক্রিন না লাগালে বলিরেখা পড়ে?
কম বয়সে বলিরেখা পড়ার এটাই তো সবচেয়ে বড় কারণ।
অ্যান্টি-রিংকল ক্রিম বা কোনও ওষুধে কিছু হবে না?
গোড়া কেটে গেলে আগায় জল দেবেন! বলিরেখা মসৃণ করার নানা পন্থা আছে ঠিকই, তা বলে তাকে ঠেকানোর কথা ভাববেন না?
অর্থাৎ গরমে রোদে ঘুরলে সানস্ক্রিন লাগবেই।
বারো মাস লাগবে। রোদে ঘুরলে দু’ ঘণ্টা বাদে বাদে লাগবে। ঘরে থাকলেও লাগবে। সে আপনি রান্না করুন কী কম্পিউটারে বসে থাকুন।
তাই না কী!
হ্যাঁ, সকাল সাড়ে সাতটা আটটা থেকে প্রতি তিন ঘণ্টায়। বাইরে বেরোনোর ১৫-২০ মিনিট আগে মেখে নেবেন।
আর গরমে যে র্যাশ বেরোচ্ছে, তার কী করব?
ঠান্ডা পরিষ্কার জলে ভাল করে মুখ ধুয়ে ক্যালামাইন লোশন লাগান। ক’ দিন চড়া রোদে না গেলেই ভাল। সম্ভব না হলে সানস্ক্রিন-ছাতা-সানগ্লাসের সুরক্ষা যেন থাকে।
গরমের মেকআপ?
বিয়ে-অনুষ্ঠানের তো কমতি নেই।
অয়েল বেসড মেকআপ ব্যবহার না করাই ভাল। ওয়াটার বেসড মেকআপ লাগান, তাও যতটা কম লাগানো সম্ভব। কাজ মেটা মাত্র মেকআপ তুলে ঠান্ডা জলের ঝাপটায় মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার বা ক্যালামাইন লাগাবেন।
গরম কালে মাসে কত বার ফেসিয়াল করানো উচিত?
গরমে ত্বক ভাল রাখার যে ১০ টি টিপসের কথা বলেছি, তা মেনে চললে এবং ত্বক যদি মোটের উপর ভাল থাকে, নিয়মিত ফেসিয়াল না করলেও চলে। তবে যত্ন নিতে না পারলে বা ত্বক যদি রুক্ষ হয়ে যায়, জেল্লা কমে আসে, তাহলে মাসে এক-আধ বার করাতে পারেন।
তবে সাবধান, যেখানে-সেখানে করিয়ে আবার রোগ বাধিয়ে বসবেন না যেন!
মানে?
কী জিনিস দিয়ে ফেসিয়াল করছে তা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, কী পদ্ধতিতে করছে সেটাও সমান গুরুত্বের। এমন জিনিস ব্যবহার করল যে সারা মুখে র্যাশ বেরিয়ে গেল বা নিয়মিত ভুল ভাবে ম্যাসাজ করায় বলিরেখা পড়ল বা চামড়া ঝুলে গেল।
এ রকম হলে তো খুবই বিপদ!
পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখলেও নানা রকম চর্মরোগ হতে পারে। নোংরা টাওয়েল ব্যবহার করে হয়তো দাদ হল। কী সংক্রামক আঁচিল হতে শুরু করল এখানে-সেখানে!
ভাল জায়গায় করালে তো আর এ সব সমস্যা থাকে না।
তা থাকে না। তবে মুখের চামড়ায় বেশি কিছু না লাগানোই ভাল। প্রচুর কিছু লাগালে হঠাৎ এক দিন দেখবেন, যা মাখছেন তাতেই র্যাশ বেরোচ্ছে। কাজেই শুধু গরম বলে নয়, সারা বছরই ত্বককে তার নিজের মতো থাকতে দিন। নেহাত প্রয়োজন না পড়লে ঘাঁটাবেন না।
|
গরমে ত্বক ভাল রাখার ১০টি টিপস |
১ |
ভোরের খোলা হাওয়ায় যোগা বা মনির্র্ং ওয়াক করুন। |
২ |
নিয়মিত জিম করলেও ত্বক ভাল থাকে। |
৩ |
গরমে সাঁতারও ভাল। তবে জলের ক্লোরিন থেকে সমস্যা হচ্ছে কিনা দেখে নিন। শাওয়ার ক্যাপে মাথা ঢেকে ভাল কোম্পানির সানস্ক্রিন মেখে জলে নামবেন। পুকুরে সাঁতার না কাটাই ভাল। র্যাশ হতে পারে। |
৪ |
দিনের খানিকটা সময় অন্তত এসি-র বাইরে থাকুন। |
৫ |
মুখের মাস্লের কিছু ব্যায়াম করুন। প্রচুর হাসাহাসি করলে ভাল ব্যায়াম হয়। আর দাঁত-মুখ খিঁচিয়ে ঝগড়া করলে তাড়াতাড়ি বলিরেখা পড়ে। |
৬ |
যত গরমই পড়ুক, ত্বক যত তেলতেলেই হোক, সাবান বা ফেশ ওয়াশে বারবার মুখ ধোবেন না। দিনে দু’বার বড় জোর তিন বারই যথেষ্ট। |
৭ |
সকালে খালি পেটে জল খান। লেবু-জল খাওয়ার অভ্যেস থাকলে ভালই। চিনির শখ থাকলে চিনির বদলে খান টাটকা মধু। |
৮ |
কয়েকটি খাবারে চামড়া ভাল থাকে। যেমন- রঙিন শাক-সব্জি, টাটকা মরসুমি ফল, বিশেষ করে আমলকী, পেয়ারা, সবেদা, আপেল, তৈলাক্ত মাছ, অ্যালমন্ড, আখরোট, পেস্তা, বিভিন্ন ডাল, ছোলা, রাজমা, ভুট্টা, সয়াবিন, দুধ, দই, ডিম ইত্যাদি। সব কিছু মিলিয়ে মিশিয়ে খান। |
৯ |
ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুড ছাড়াও যে কোনও প্রসেসড ফুডের বদলে ঘরে বানানো খাবার ভাল। যেমন পাঁউরুটির বদলে যদি ঘরে বানানো রুটি খান, কর্নফ্লেক্স-পরিজের বদলে খিচুড়ি, ইনস্ট্যান্ট নুডলসের বদলে সাধারণ নুডলস। |
১০ |
গরমে মেজাজ খারাপ থাকে, ঘুম আসে না। তার হাত ধরে শুরু হয় পেটের গোলমালও। এদের চেয়ে বড় শত্রু আর ত্বকের কেউ নেই। |
|
যোগাযোগ- ৯৮৩১১০৪৬০৪ |
|
|
|
|
|