কোথায় কত সরকারি চাকরি, জানতে চান বামপন্থী ছাত্র-যুবরা
রাজ্য সরকার ১১ মাসে কত বেকার যুবক-যুবতীকে চাকরি দিয়েছে, সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে তা জানানোর দাবি করলেন বামপন্থী ছাত্র-যুবরা। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বামপন্থী ১২ টি ছাত্র-যুব সংগঠন শনিবার কলেজ স্কোয়ার থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত মিছিল করে। বেকার যুবকদের চাকরির দাবিতে আসা প্রায় সাড়ে চার হাজার ছাত্র-যুবর এই মিছিল কলেজ স্কোয়ার থেকে যত এগিয়েছে, যানজট ততই বেড়েছে। প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গরমে বাসে-ট্রামে আটকে পড়া মানুষকে গলদঘর্ম হতে হয়েছে মিছিলের জেরে। বিকেল ৫ টা নাগাদ মহাত্মা গাঁধী রোডে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে পুলিশ। অবরুদ্ধ হয় এ পি সি রোড, এ জে সি রোড, সিআইটি রোড, লেনিন সরণিও। যানচলাচল স্তব্ধ হয়ে পড়ে মধ্য কলকাতার। ভোগান্তিতে পড়েন বিমান ও দূরপাল্লার ট্রেনযাত্রীরা। মৌলালির কাছে গাড়িতে আটকে পড়া সতীশ অগ্রবাল বলেন, “বিমান ধরার তাড়া রয়েছে। কী ভাবে পৌঁছব জানি না!”
মিছিল রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে গিয়ে পৌঁছনোর পরেও ওই রাস্তার একধার দিয়ে গাড়ি চালাতে হয়েছে পুলিশকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সন্ধ্যা গড়িয়ে যায়। ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক আভাস রায়চৌধুরী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী প্রতিদিনই হাজার হাজার বেকারের চাকরির কথা ঘোষণা করছেন। কিন্তু বাস্তবে চাকরি হচ্ছে না। সম্প্রতি দুর্গাপুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, চাকরি দেওয়া যাবে না। ব্যবসা করার পরামর্শ দেন। ১১ মাসে কোথায় কত চাকরি হয়েছে বিজ্ঞাপন দিয়ে রাজ্য তা জানাক।” ছাত্র যুবদের এই মিছিলের দ্বিতীয় দাবি ছিল, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ করে আভাসবাবু বলেন, “ক্ষমতায় আসার আগে মুখ্যমন্ত্রী গণতন্ত্রের বিকাশ ও দলতন্ত্রের অবসানের কথা বলেছিলেন। কিন্তু তিনি উল্টো পথে হাঁটছেন। সংবাদমাধ্যম-সহ গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করছেন।” জুনে ছ’টি পুরসভা ও আগামী পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে দলের কর্মীদের পুনরায় পথে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম।

ইমাম-ভাতা রদে আদালতে বিজেপি
রাজ্য সরকারকে দিয়ে ইমাম-ভাতার ঘোষণা প্রত্যাহার করাতে মঙ্গলবার আদালতের দ্বারস্থ হবে রাজ্য বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েক দিন আগে রাজ্যের ইমামদের ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। গত ৯ এপ্রিল সেই মর্মে রাজ্য সরকারের সংখ্যালঘু এবং মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর নির্দেশিকাও জারি করেছে। সেই প্রেক্ষিতে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ শনিবার এই তথ্য জানিয়ে বলেন, “শুধু ইমাম কেন, কোনও ধর্মের গুরুদেরই প্রতিপালনের দায়িত্ব সরকারের হতে পারে না। তাই ওই সরকারি নির্দেশিকা প্রত্যাহার করাতে আমরা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করব।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.