টুকরো খবর
পুরসভায় বিক্ষোভ
সামনে পুর-নির্বাচন। তারই মধ্যে তৃণমূল পরিচালিত নলহাটি পুরসভার নানা দুর্নীতি নিয়ে সরব হল কংগ্রেস। বুধবার কংগ্রেস কর্মীরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে পুরসভায় বিক্ষোভ দেখান। শেষ পর্যন্ত উপপুরপ্রধান তাঁদের দাবির ব্যাপারে আশ্বস্ত করলে অবস্থান-বিক্ষোভ থেকে বিরত থাকেন কংগ্রেস কর্মীরা। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন উপপুরপ্রধান প্রকাশ প্রসাদ বলেন, “পুরসভার বিভিন্ন কাজকর্ম নিয়ে তথ্য জানার আইনে ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর আবেদন করেছি। আজ পর্যন্ত আমাদের কোনও তথ্য জানানো হয়নি। পুরপ্রধান সাত দিনের মধ্যে সমস্ত তথ্য জানানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন। এ দিন পুরসভায় এলে উপপুরপ্রধান জানান, আজ বৃহস্পতিবার তথ্য জানানো হবে।” তাঁরা যে সব তথ্য চেয়েছিলেন সেগুলি হল--বস্তি উন্নয়ন প্রকল্পে যে সমস্ত বাড়ি তৈরি হয়েছে তার উপভোক্তাদের নামের তালিকা, আশ্রয় প্রকল্পে ৬০ হাজার টাকা করে কত জনকে দেওয়া হয়েছে তার নামের তালিকা, ২০০৮-০৯, ২০০৯-১০, ২০১০-১১ আর্থিক বছরে পুরসভার দু’টি টোল আদায় কেন্দ্র থেকে কী পরিমাণ টাকা আদায় হয়েছে এবং কী কী উন্নয়নে ওই টাকা খরচ করা হয়েছে ইত্যাদি। প্রকাশবাবুর ক্ষোভ, “এই সামান্য তথ্য জানাতে এত দেরি করার কর্মীরা বিরক্ত হয়ে এ দিন পুরসভায় অবস্থান-বিক্ষোভ করেন।” পুরপ্রধান বিপ্লব ওঝা বলেন, “তথ্য জানার অধিকার আইনে আমি যদি না জানাই, তা হলে কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হতে পারবেন আবেদনকারীরা। তাঁরা আন্দোলন করে প্রচার পেতে এই কাজ করছেন।”

বাড়ি তৈরি শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ
নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও বস্তি উন্নয়ন প্রকল্পে গরিব মানুষদের জন্য ঘর নির্মাণ করতে পারল না রামপুরহাট পুরসভা। ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে দু’একটি ওয়ার্ড বাদ দিয়ে ওই প্রকল্পে গৃহনির্মাণের জন্য ৬০৩ জন উপভোক্তার নাম তালিকায় রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ১৬ হাজার টাকা করে প্রত্যেকে জমাও দিয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ৬০৩ জন উপভোক্তার ঘর হয়নি। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫২৩ জন উপভোক্তার ঘর তৈরির কাজ চলছে। তার মধ্যে ১৯২টি গৃহনির্মাণ সম্পূর্ণ হয়েছে। অথচ সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী ৩১ মার্চের মধ্যে ঘর তৈরি শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। যদিও প্রাক্তন পুরপ্রধান নির্মল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সে রকম কোনও নির্দেশ আমাদের জানা নেই।” সোমবার পুরপ্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার পরে অশ্বিনী তিওয়ারি আশ্বাস দিয়েছেন, খুব শীঘ্রই গৃহ নির্মাণের কাজ শেষ হযে যাবে। শুধু তাই নয়, পুরসভায় যে সব বেনিয়মের অভিযোগ জমা পড়েছে সেগুলিও খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। পুরপ্রধানের দাবি, “ঠিকাদারদের মাধ্যমে কাজ করা হচ্ছিল। উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় ঠিকাদাররা কাজ করতে রাজি হয়নি। তার জন্য দেরি হয়েছে।”

দুর্ঘটনায় জখম
দু’টি পৃথক দুর্ঘটনায় ২২ জন জখম হয়েছেন। বুধবার বিকেলে বোলপুর থেকে সিঙ্গিতে যাওয়ার সময়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাস উল্টে ২০ জন জখম হন। আহত যাত্রীদের মধ্যে ৬ জনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁদের বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। অন্য দিকে, এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ রাজনগর থানা এলাকার হিরাকুনি মোড়ের কাছে, রাজনগর-সিউড়ি রাস্তায় মোটরবাইকের সঙ্গে ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই বাইক আরোহী জখম হয়েছেন। তাঁদের সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

দু’টি অপমৃত্যু
কীটনাশক খেয়ে হল এক যুবক ও এক বধূর। মৃতেরা হলেন নলহাটির মেহেগ্রামের বাসিন্দা সাহেব লেট (২৭) এবং রামপুরহাটের চাকাইপুরের হিমলি সাহা (৩৪)। মঙ্গলবার রাতে রামপুরহাট হাসপাতালে মৃত্যু হয় সাহেব লেটের। সেখানেই বুধবার ভোরে মৃত্যু হয় হিমলিদেবীর। পুলিশের অনুমান, পারিবারিক কারণে দু’জনে কীটনাশক খেয়েছেন।

পুড়ে মৃত্যু বধূর
অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক বধূর। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম সেরিনা বিবি (৩০)। বাড়ি মুরারই থানার বড়ুয়া-গোপালপুরে। শুয়ে থাকার সময়ে গত ১১ এপ্রিল কুপি থেকে মশারিতে আগুন লেগে যায়। মারাত্মক জখম অবস্থায় তাঁকে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। বুধবার সকালে তিনি মারা যান।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.