|
|
|
|
ক্ষতিপূরণ চেয়ে আন্দোলন |
পীযূষ সাহা • মালদহ |
জাতীয় সড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণ বাবদ ক্ষতিপূরণের টাকা বিলি নিয়ে রাজ্য ও জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষের নামে ‘খেয়ালি আচরণে’র অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নেমেছেন মালদহের বাসিন্দারা। দু’বছর আগে মালদহে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে নোটিস জারি করে জেলা প্রশাসন। মাস দুয়েক আগে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২২৬ একর জমি অধিগ্রহণ বাবদ ২২৩ কোটি টাকা দাবি করা হয়। বরাদ্দ টাকা জেলা প্রশাসন ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দুই আধিকারিকের নামে যৌথ অ্যাকাউন্টে রাখা হবে বলে জানানো হয়। একমাস আগে বরাদ্দ টাকা জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়ার সময়ে জানানো হয়, পিএল অ্যাকাউন্টে ওই টাকা জমা দিতে হবে। ফলে ক্ষতিপূরণ বিলির কাজ আরও পিছিয়ে গেল বলে আশঙ্কা বাসিন্দাদের। ক্ষতিপূরণের টাকা বিলির আগেই জাতীয় মহাসড়ক কতৃর্পক্ষ ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়ায় কাজে নেমে গিয়েছিল বেসরকারি নির্মাণ সংস্থা। বাসিন্দারা সেই কাজ আটকে দিয়েছেন। মালদহে ৭০ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ হবে। জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসনের কাছে এই কাজে প্রায় ৪০০ একর জমি চেয়েছিল। জেলাশাসক শ্রীমতী অর্চনা বলেন, “যৌথ অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণের টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশই ছিল। দিন পনের আগে রাজ্যের ভূমি রাজস্ব দফতরের কমিশনারের নির্দেশ পাঠিয়েছেন জমি অধিগ্রহণের টাকা সংশ্লিষ্ট জেলার কালেক্টরেটের পিএল অ্যাকাউন্ট জমা দিতে হবে। সেটাই এনএইচআই কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।” পুরানো নির্দেশ কেন বদল করা হল তার ব্যাখ্যায় জেলাশাসক জানান, জমি অধিগ্রহণের টাকা নিয়ে সম্প্রতি মুশির্দাবাদের জেলাশাসকের সঙ্গে গোলমাল হয়েছিল। সম্ভবত সেই কারণেই এই নির্দেশ জারি করেছেন রাজ্যের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের কমিশনার। ক্ষতিপূরণের টাকাই যেখানে বিলি করা হয়নি সেখানে তড়িঘড়ি ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হল কেন সেই প্রশ্নের জবাবে জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষের ওই আধিকারিক বলেন, “ফরাক্কা থেকে রায়গঞ্জ মোট জমির ৬০-৬৫ শতাংশ আমাদের হাতে। বাকি জমি না-মেলায় খাপছাড়া ভাবে কাজ করতে হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|