|
|
|
|
লোধা-বাড়ি তৈরিতে গড়িমসির অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
লোধাদের জন্য বাড়ি তৈরির প্রকল্পে জেলা-প্রশাসন গড়িমসি করছে বলে ফের অভিযোগে সরব হল মেদিনীপুর লোধা-শবর কল্যাণ সমিতি। বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্তের কাছে এই অভিযোগ জানিয়েছে সমিতি। সমিতির বক্তব্য, খড়্গপুর-২ ব্লকে প্রথম দফায় মাত্র ১০টি বাড়ি তৈরির কথা ছিল, এখনও পর্যন্ত একটি বাড়িও তৈরি হয়নি। সামনেই বর্ষাকাল। বর্ষার আগে বাড়ি তৈরি না হলে পরিবারগুলি সমস্যায় পড়বে। সমিতির জেলা সম্পাদক বলাই নায়েক বলেন, “অনেক আগেই এলাকায় এসে ঠিকাদার সংস্থা পরিদর্শন করে গিয়েছে। কিন্তু এখনও বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হল না। আমরা বর্ষার আগেই বাড়ি তৈরির দাবি জানিয়েছি।” জেলা-প্রশাসন যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরুর আশ্বাস দিয়েছে। যদিও অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের জেলা আধিকারিক শান্তনু দাস বলেন, “মে মাসের মধ্যেই লোধাদের জন্য জেলায় অন্তত ২৭০টি বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে।”
বছর তিনেক আগেই লোধাদের জন্য বিশেষ-প্রকল্পে পশ্চিম মেদিনীপুরে এক হাজার বাড়ি তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। সেই সময় ঠিক হয়েছিল, বাড়ি তৈরির প্রয়োজনীয় অর্থ দেবে অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ বিভাগ এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর। ইতিমধ্যে জেলার কয়েকটি ব্লকে বেশ কিছু বাড়ি তৈরির কাজ হয়েওছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই প্রকল্পে সবথেকে বেশি বাড়ি তৈরি হওয়ার কথা ছিল নারায়ণগড়ে, ২০০টি। জেলার এই এলাকায় ৩ হাজারেরও বেশি লোধা পরিবারের বাস। এ ছাড়া, খড়্গপুর-১ ব্লকে ১১০টি, খড়্গপুর-২ ব্লকে ৫০টি, ঝাড়গ্রামে ১৩০টি, বিনপুর-১ ব্লকে ২৫টি ও বিনপুর-২ ব্লকে ৫০টি, ডেবরায় ৬০টি বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। এর মধ্যে প্রথম ধাপে খড়্গপুর-২ নম্বর ব্লকে ১০টি, খড়্গপুর-১ নম্বর ব্লকে ৭৪টি, নারায়ণগড়ে ৬১টি, নয়াগ্রামে ৭৪টি, কেশিয়াড়িতে ৩৪টি বাড়ি তৈরি হওয়ার কথা। লোধা-শবর কল্যাণ সমিতির অভিযোগ, বাড়ি তৈরির বিশেষ-প্রকল্পে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কাজ শুরুই হয়নি। লোধাদের এই অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এখন পিছিয়ে পড়া এলাকার উন্নয়নের জন্য নির্দিষ্ট আইএপি প্রকল্পেও লোধাদের বাড়ি তৈরি হচ্ছে। আইএপি প্রকল্পে জেলায় আপাতত ৫৮টি বাড়ি তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে সাঁকরাইলে ৩৮টি ও শালবনিতে ২০টি বাড়ি তৈরি হবে। লোধা-শবর কল্যাণ সমিতির অবশ্য বক্তব্য, এত প্রকল্প, এত আশ্বাস। কিন্তু কাজের কাজই হচ্ছে না! তাদের অভাব-অভিযোগ জানিয়ে ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চিঠি লিখে জানিয়েছে সমিতি।
চিত্র প্রদর্শনী। রবিবার খড়্গপুর শহরের তালবাগিচায় ‘কালার ক্যানভাস’-এর উদ্যোগে আয়োজিত হল চিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতা। প্রদর্শনীতে ১৩ জন শিল্পীর চিত্র প্রদর্শিত হয়। প্রতিযোগিতায় তিনটি বিভাগে ৬০ জন ছাত্রছাত্রী যোগ দিয়েছিল। ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। |
|
|
|
|
|