কোনও দূরভিসন্ধি নিয়ে নিউ ইয়র্কের বিমানবন্দরে আটকানো হয়নি শাহরুখ খানকে। এমনকী তিনি বর্ণবৈষম্যের শিকারও নন। ঘটনাটি নিয়ে সাফাই দিতে গিয়ে এ কথা জানিয়েছেন মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র মার্ক টোনার।
গত কাল একটি বিবৃতিতে টোনার বলেছেন, “এই ঘটনার বিশেষ কোনও ধরন নেই। বরং দু’টি ঘটনাকেই (শাহরুখকে দু’বার আটকানো) আলাদা ভাবে দেখা উচিত।” টোনারের এই বিবৃতির সঙ্গে মার্কিন বিদেশ দফতর আরও একটি বিষয় পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিয়েছে। আর সেটি হল, গোটা ঘটনার পিছনে কোনও ভাবেই শাহরুখের পদবির সম্পর্ক নেই। এ প্রসঙ্গে টোনার বলেছেন, “এটা যে সেই ঘটনা (বর্ণবৈষম্য) নয়, তা সবাই জানেন বলেই আমার মনে হয়। রোজ হাজার হাজার মুসলিম হয় আমেরিকায় আসছেন, না
হলে এখান থেকে বিশ্বের অন্যত্র যাচ্ছেন। তাঁদের প্রত্যেককেই তো আর আটকানো হচ্ছে না।” অর্থাৎ বর্ণবৈষম্যের বিষয়টিও পরিষ্কার খারিজ করে দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। তবে বিমানবন্দরে শাহরুখের সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার যা হয়েছে, তার জন্য আর এক বার ক্ষমা চেয়েছেন টোনার। “ব্যক্তিগত ভাবে আমি শাহরুখ খানের কাছে ক্ষমা চাইছি। আমি নিশ্চিত যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ওঁর সঙ্গে এই ব্যবহার করা হয়নি।”
তা হলে কেন আটকানো হয়েছিল শাহরুখ খানকে? তা-ও আবার দু’ঘণ্টার জন্য? এ বিষয়টি যদিও সযত্নে এড়িয়ে গিয়েছেন টোনার। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, ভিসা সংক্রান্ত সমস্যার জন্যই আটকানো হয়েছিল শাহরুখকে। আদৌ শাহরুখের কাছে আমেরিকা সফরের জন্য সঠিক ভিসা ছিল কি না, তা নিয়ে মন্তব্য করতে চাইছে না মার্কিন প্রশাসন। এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগও। আমেরিকা আসার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা এড়ানোর উপায়ও বাতলেছেন টোনার। তিনি জানিয়েছেন, শাহরুখের মতো জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব নয়াদিল্লির মার্কিন দূতাবাসকে যদি তাঁর সফরসূচি আগাম জানিয়ে রাখেন, তা হলে এই ধরনের সমস্যা এড়ানো যায়।
বিমানবন্দরের বিষয়টি নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছেন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও। আজ সংবাদসংস্থা পিটিআইকে পাঠানো একটি ই-মেলে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন ইয়েলের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সংক্রান্ত সহসচিব জর্জ জোসেফ। তিনি লিখেছেন, “শাহরুখ থাকলে নিজেই বলতেন, তাঁর ছবিতে শুরুর থেকে শেষটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। হোয়াইট প্লেনস বিমানবন্দরে যে ভাবে গোটা জিনিসটা শুরু হয়েছিল, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তবে আমরা খুশি যে শেষ পর্যন্ত সব মিটমাট হয়ে গিয়েছে।” |