|
|
|
|
|
|
|
কার্ড ভরে বকুন |
|
• নতুন পৃথিবীতে প্রত্যেক পাড়ায় পাড়ায় সরকারি ‘ফুডহাব’ তৈরি হবে। সেখানে ছোটদের মনের মতো খাবার থাকবে, প্রত্যেকে সেখানে খাবে। বাড়িতে কোনও রান্না হবে না। জ্বালানি সাশ্রয় হবে। রান্নার সময়টা উন্নতর কাজে ব্যয় করা যাবে।
• প্রতি শহরের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা রোপওয়ের মাধ্যমে করা হবে।
• প্রতিটি মানুষকে নিজের জন্মদিনে অন্ততপক্ষে ১০টি করে গাছ লাগাতে হবে।
• জেলা বা রাজ্য অনুযায়ী সমস্ত নারী-পুরুষের একই রকম ইউনিফর্ম হবে। সাত দিনে সাত রকম। এতে মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ থাকবে না, ইউনিটি বাড়বে।
• নতুন পৃথিবীতে ছাত্রছাত্রীদের বকা বা শাস্তি দেওয়া একেবারে নিষিদ্ধ। ছাত্ররা শিক্ষকদের মূল্যায়ন করবে।
দেবস্মিতা দাস।
ষষ্ঠ শ্রেণি, বহরমপুর মহারানি কাশীশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় |
• পৃথিবী হবে শুধুমাত্র ছোটদের। সেখানে রাতের আকাশে পরীরা চাঁদের চার পাশে ঘুরে বেড়াবে আর নেটের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে।
• আমাদের দেশ বেলুনের পাঁচিল দিয়ে সীমানা করা থাকবে, সেখানে সাধারণ জনগণের মতো টেডিবিয়াররা
রাস্তায় অবাধ ঘোরাফেরা করবে প্রত্যেকটি টিভি চ্যানেলে ওরাই খবর পড়বে।
• দিন শুরু হবে পাখির গান শুনে, ভোরের আলতো সূর্য গায়ে মেখে। নতুন বছরের ক্যালেন্ডারে দিনগুলিতে লাল রঙের তারিখ বেশি থাকবে।
• বড়দের হিংসা, রাজনীতির ঝামেলা মোটেই থাকবে না, কোনও গম্ভীর মানুষ থাকা নিষেধ।
• পৃথিবী হবে শান্তি, ভালবাসায় গড়া, মজায় ভরা।
সান্বয়ী ঘোষ।
সপ্তম শ্রেণি, বৈদ্যবাটী চারুশীলা বসু বালিকা বিদ্যালয় |
|
|
• গাছেদের জন্য এমন এক ট্রান্সলেটার তৈরি হবে যার দ্বারা আমরা তাদের কথা বুঝতে ও শিখতে পারব।
• বাঘ ও মানুষের মধ্যে টাইগার প্রিমিয়ার লিগ শুরু হবে।
• বিশ্বকর্মা পুজোর ১৫ দিন আগে থেকে মানুষ ও প্রজাপতির মধ্যে হবে ঘুড়ি ওড়ানোর কম্পিটিশন।
• প্রতি মাসে পেঙ্গুইন আমাদের আঁকা শেখাতে আসবে এবং বছরের শেষে পেঙ্গুইন ও আমাদের মধ্যে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা হবে।
• যত পশু আছে তাদের সঙ্গে ছ’মাস অন্তর একটা ফ্রেন্ডশিপ সাফারি হবে জঙ্গলে। তারাই হবে আমাদের গাইড।
রুদ্রনীল চট্টোপাধ্যায়।
শ্রেণি ষষ্ঠ, মাহেশ শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় |
|
|
• নতুন পৃথিবীর সব জায়গা তুলোর মতো নরম হবে,
পড়ে গেলে কারও ব্যথা লাগবে না।
• খেলনার দোকানে গেলেই বিনা পয়সায় খেলনা পাওয়া যাবে।
• সোনার দাম হবে লজেন্সের মতো।
• ইস্কুলে খিচুড়ির (মিড-ডে মিল) বদলে ফুচকা দেওয়া হবে।
• সপ্তাহের ছ’দিন রবিবার হবে।
কণাদীপা চক্রবর্তী।
পঞ্চম শ্রেণি, হারাণচন্দ্র শরৎচন্দ্র
শ্রীকৃষ্ণ বালিকা বিদ্যাপীঠ, নদিয়া |
• বাংলায় কথা বলতে বলতে বিলিতি শব্দ ব্যবহার করা যাবে না।
• শীতকালে কেউ আইসক্রিম খেলে বকা চলবে না।
• ছোটদেরকে বকতে গেলে বড়দের টক টাইম কার্ড ভরাতে হবে। ভ্যালিডিটি শেষ হলেই বকা খতম।
• শীতকালে পর পর তিন দিন স্নান করা যাবে না। জলের ভাণ্ডার সীমিত।
• পলিউশন বাড়ছে; শুদ্ধ অক্সিজেন কমছে। অতএব অক্সিজেন নিলে লাইসেন্স লাগবে।
দীক্ষা দত্ত।
নবম শ্রেণি, সিস্টার নিবেদিতা গার্লস স্কুল |
|
|
• নতুন অভিধান লিখতে হবে, যাতে ‘হোমওয়ার্ক’, ‘পরীক্ষা’, ‘প্রস্তুতি’ শব্দগুলো বাদ যায়। সিলেবাসে ফেলুদা, কাকাবাবু, টিনটিন, হ্যারিপটার, অ্যাস্টেরিক্স সকলের সম্পর্কে রচনা শেখা মাস্ট করতে হবে। রাগী টিচারদের ক্লাসের শেষ পাঁচ মিনিট জোকস বলা কম্পালসারি করতে হবে। খুব দুষ্টুমিতে সুড়সুড়ি বা কাতুকুতু দেওয়ার শাস্তি চলতে পারে।
• গরম কালে সকালে সূর্যকে আটটা আর শীতকালে ন’টার আগে উঠতে দেওয়া যাবে না। রাত্রিতে শুয়ে শুয়ে গল্পের বই পড়ার জন্য সময় দিতে হবে, যদি টিভিতে কার্টুন শো থাকে আলাদা কথা।
• সকালে দুধের মতো বিশ্রী জনিস জলখাবারে না দিয়ে চা আর চিপস আর ক্রিম বিস্কুট দিতে হবে। আর বিরিয়ানি, চিলিচিকেন, ফ্রায়েডরাইস রোজ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে মেনুতে থাকবে, রোজ দুটো আইসক্রিম আর বিকেলের জলখাবারে ফুচকা দিতেই হবে।
• রঙের খরচ বাঁচানোর জন্য ঘরের দেওয়ালে মনের আনন্দে পেন্ট করতে দিতে হবে।
• বড়দের জন্য সাবধানবাণী: এটা ছোটদের বই, মোবাইল, ভিডিয়ো গেম হাত দেবেন না। ছোটদের টিভি চ্যানেল যখনতখন চেঞ্জ করা যাবে না। প্রিয়ম চক্রবর্তী।
পঞ্চম শ্রেণি, পাঠভবন |
|
|
জিনিয়াস জিন্দাবাদ |
ওরে বাবা, মে মাস যে চলে এল। তার মানে তো শুরু হয়ে যাবে সেই অসহ্য গরম।
আচ্ছা কখনও কি ভেবে দেখেছ, এই গরমকে আসলে কেমন দেখতে? ঠান্ডাবুড়োর
কথা তো আমরা শুনেছি, কিন্তু গরমকে যে চিনি না। গরম কি হাত-পা’ওলা মানুষ,
নাকি কিম্ভূত একটা জীব? ইয়ং, রাগী, পেটুক, টিঙটিঙে রোগা? ভাবো তো একটু,
আর তার পর এঁকে পাঠিয়ে দাও আমাদের গরমের ছবি।
পাঠিয়ে দাও ১২ মে’র মধ্যে। খামের উপর লেখো
মে’র জিনিয়াস জিন্দাবাদ,
রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০০১ |
|
|
|
|
|
|
|