বারোটা বাজলেই ভাল্লাগে

জার্মানি
অন্য সব দেশের মতো এখানেও নববর্ষের দিন যেমন হই-হল্লা হওয়ার, তেমনটাই হয়, কিন্তু সব্বার মন পড়ে থাকে একটা মোমবাতি আর এক কল ঠান্ডা জলের ওপর। কেন? কারণ সেই তো বলে দেবে আগামী দিনের রিপোর্ট কার্ড। দেখুন কোনও রকমের ধাতু মোমবাতির ওপর ধরে গলিয়ে, সেটিকে ঠান্ডা জলে ফেললেই, ওটি এক বিশেষ রকম অবয়ব ধরবে। এ বার জার্মান’রা বিশ্বাস করেন যে, সেটি যদি ধরে হৃদয়ের শেপ, তার মানে বিয়ে হতে পারে, জাহাজ মানে জার্নি রয়েছে ভাগ্যে আর শুয়োরের মতো দেখতে হলে, বোঝা যাবে হেঁসেল টইটম্বুর থাকছে আসছে বছর।

মায়ানমার
ভাবুন তো নববর্ষের ভোর, বেশ ফুরফুরে ফ্রেশ ফ্রেশ লাগছে, হঠাৎ বলা নেই কওয়া নেই গায়ে এক গামলা ঠান্ডা জল এসে পড়ল। মায়ানমারে থাকলে ভেঙে পড়বেন না। ওখানে এ ভাবেই বর্ষবরণ হয়। থিয়োরি হচ্ছে, এমনটি করলে পরের মরশুমের ভারী বৃষ্টি গ্যারান্টি করা যায়। চমৎকার বৃষ্টি মানেই অপূর্ব ফসল আর সেখান থেকেই তো প্রফিট, আনন্দ, সুখ। তা ছাড়া ওই জল তো আপনার যাবতীয় পাপও ধুয়ে মুছে সাফ করে দেবে। কোনও দক্ষযজ্ঞ নয়, জাস্ট এক বালতি জলেই পাপ ফিনিশ। এর পরেও নাক কুঁচকোবেন?

জাপান
ওশোগাৎসু বা জাপানি নববর্ষের দিন দুম করে ওখানে গিয়ে পড়লে, প্রবল চমকে যাবেন। সারা দেশটিকেই লাফিং ক্লাব মনে হবে। সত্যি। ও দেশের মানুষ মনে করেন, নববর্ষের দিন পেটে খিল ধরিয়ে হাসাহাসি করলে সারা বছর অমনই খোশমেজাজে কাটবে। অনেকে আবার সারা ঘরে নানা সাইজের কাগজের লবস্টার টাঙিয়ে দেন। চিংড়ির ঘুরে যাওয়া বা নুয়ে পড়া কোমর ওঁদের মনে করায় কোনও বৃদ্ধ আত্মীয়ের কথা। সেই বৃদ্ধদের কথা, যাঁরা নুয়ে পড়লেও টিকে থাকেন, ভেঙে পড়েন না। তাই নববর্ষের দিন, ওঁদের সামনে রেখেই চলে, দীর্ঘায়ুর কামনা।

ওয়েল্স
এখানে নতুন বছরের দিন একটু রাত থাকতেই সব বাচ্চারা বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ে। তার পর চটপট রেডি হয়ে দে দৌড়। জমায়েতে পৌঁছতে লেট হয়ে যাবে নয়তো! এক জায়গায় সব্বাই জড়ো হয়ে, এ বার ওরা ছেয়ে যাবে পাড়াময়। অনেকটা আমাদের প্রভাতফেরির মতো ওরা মজার মজার গান গেয়ে যায়, এ বাড়ি সে বাড়ি। কেউ ওদের চকলেট দেয় তো কেউ মিষ্টি, আপেল। আর ওরা বদলে, সব্বার মাথায় একটা সরু গাছের ডাল দিয়ে জল ছিটোয়। তবেই তো নয়া বছর জুতসই কাটবে।

হাঙ্গেরি
যে ছবিটি দেখছেন, সেটিকে হাঙ্গেরিতে বলা হয় জ্যাক স্ট্র। নববর্ষের দিন, খর বা অন্য যত পুরনো কাপড়চোপড় দিয়ে ঠাসা এই পুতুলকে প্রথমে সমস্ত পাড়ায় ঘোরানো হয়। আর তার পর অসম্ভব উল্লাসের সঙ্গে জ্যাক স্ট্র’কে পুড়িয়ে ফেলা হয়। ও দেশের মানুষ মনে করেন যে, এই জ্যাক স্ট্র আসলে গত বছরের পাপ, দুঃখ, অশান্তি, ময়লার প্রতীক। ফলে আপদ গেলে বাঁচা যায়, আর তার পরই তো মন খুলে শুরু করা যাবে একটা নতুন ইনিংস।

কোরিয়া
কোরিয়ায় নতুন বছরকে বলা হয় সোল নাল। তবে এর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় আগের রাত থেকেই। প্রত্যেক বাড়ির দেওয়াল দরজা বড় বড় জাল দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়। লাগুক দেখতে উদ্ভট, কিন্তু এতে যে শয়তান প্রেতাত্মার বাড়িতে ঢোকা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়! আর জানেন, নববর্ষের দিন প্রত্যেক কোরিয়ানের জন্মদিন? বিশ্বাস না হলে খোঁজ নিয়ে দেখুন, ওঁরা এই দিনই নিজেদের বয়স প্লাস ১ করে বাড়িয়ে নেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.