|
|
|
|
ভা-ই-চুং, ভা-ই-চুং |
|
গর্জন করছে গ্যালারি। সৌরভ তো আছেনই, কিন্তু তাঁকে ছাড়া
বাঙালির খেলার আইকন? আছেন। কয়েক জন। ঝুলন গোস্বামী |
|
আমাদের বাংলার
খেলার মাঠের আইকন কে? নব্বই শতাংশ
উত্তর আসবে: দাদা। বাংলার খেলাধুলার চালচিত্রে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় অতুলনীয়। কিন্তু, দাদাকে আলোচনার বাইরে রেখেই আইকন বাছতে চাই যদি?
প্রশ্ন উঠবে, আইকন কে? যাঁকে আদর্শ করে কোনও প্রতিশ্রুতিমান এগোতে পারে, তিনিই আইকন। সে ক্ষেত্রে মাঠে এবং মাঠের বাইরে তাঁর লড়াইকে প্রধান্য দিতে চাই আমি। এই সূত্রে যে দু’জনের নাম আসে, তাঁরা ঠিক প্রথাগত অর্থে বঙ্গসন্তান নন। ভাইচুং ভুটিয়া এবং লিয়েন্ডার পেজ। আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্য লিয়েন্ডারের অনেক বেশি। অলিম্পিক, এশিয়াড, কমনওয়েলথ গেমস। উইম্বলডন, ইউ এস ওপেন-এর মতো টুর্নামেন্ট-এর ডাবলস-এর খেতাবগুলো তো আছেই। |
নায়ক। ভাইচুং ভুটিয়া। |
আবার, টেনিস ঠিক আম-আদমির খেলা নয়। বাংলায় ক্রিকেটের মতোই জনপ্রিয় ফুটবল। বার্সেলোনা, ম্যান ইউ প্রতি দিন টিভিতে দেখলেও ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচ-এ এখনও লাখ লোক হয়। ভাইচুং ভুটিয়া গত ১৬ বছর ধরে ক্লাব ও দেশের হয়ে এই খেলাটা খেলেছেন। দীর্ঘদিন জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করেছেন। তাঁর অধিনায়কত্বে এ এফ সি চ্যালেঞ্জার্স, নেহরু কাপ, সাফ কাপ জিতেছে ভারত। আইকন হিসাবে ভাইচুং-এর নাম উঠে আসতেই পারে।
আর যদি কোনও বঙ্গসন্তানকেই চান, তিন জনের নাম করতে পারি। সাঁতারু বুলা চৌধুরী, তিরন্দাজ দোলা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দাবাড়ু সূর্যশেখর গঙ্গোপাধ্যায়। সবার আগে হিন্দমোটরের বুলা। সাত সমুদ্র পেরিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ভারতীয় সাঁতারেরও রানি ছিলেন তিনি। বরানগরের মেয়ে দোলা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এশিয়াড, কমনওয়েলথ-সহ প্রচুর পদক তাঁর ঝুলিতে। গ্র্যান্ডমাস্টার সূর্যশেখরও দারুণ প্রতিভা। বিশ্বনাথন আনন্দের মতো কিংবদন্তির সঙ্গে কাজ করেছেন। এঁরাই প্রমাণ, বাধা যা-ই থাক, লড়তে জানলে সাফল্য পাওয়া সম্ভব। পুরনো একটা সংলাপ মনে পড়ে যায়। ফাইট, কোনি, ফাইট... |
|
|
|
|
|