|
|
|
|
এই যে দিব্য বাংলায় লিখছি |
|
এটাও তো গর্বের বিষয়। বিশেষত, গোলকায়নের এই যুগে।
তা ছাড়া, মর্জি-মেজাজ পাল্টালে গর্বও বদলায়। গৌতম ভদ্র |
|
গর্ব বোধ করা তো ততটা বিষয়-নির্ভর নয়, বরং ব্যক্তি বা সমাজের ‘মুড’ বা মেজাজ-নির্ভর। মেজাজ-মর্জি পাল্টালে গর্বও বদলে যায়। কিছু দিন আগেই তো লোকশ্রুতিতে চৌত্রিশ বছরের একটানা বামফ্রন্ট শাসনই বঙ্গভূমির ঐতিহাসিক গর্ব ছিল, আবার আজকে সেই দুঃশাসনের অবসানই গর্বিত বাংলার ললাটে বড় জয়তিলক। |
উজ্জ্বল। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। |
বাঙালির গৌরবের আদি ফিরিস্তিটা সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত আগেই তৈরি করে দিয়ে গেছেন, সেই ছক থেকে সময়োপযোগী বিষয় বেছে নিলেই কেল্লা ফতে। সে দিন চাঁদ-প্রতাপের হুকুমে দিল্লিনাথ পিছু হটেছিলেন, আর আজকে বাঙালি দিদির ইচ্ছায় দিল্লিতে রেলমন্ত্রী বরখাস্ত হন, আমজনতার জন্য ভাড়া কমে যায়, গর্বে খামতি থাকার কথা নয়। দিনে দিনে কলকাতা হয়ে উঠছে লন্ডন, আর হার্ভার্ড ও কেমব্রিজের ‘পক্ষশাতন’ করে আমাদের এই শহরে গড়ে উঠছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, এই সবও তো আজকের বাঙালির গর্ব। গর্ব করার ইচ্ছা থাকলে বিষয়ের কমতি নেই। যেমন, গোলকায়নের যুগে ও লিটারারি ফেস্টিভালের ধাক্কায় আজও বাঙালির নববর্ষে বাঙালি হয়ে বাংলার গর্বের কথা বাংলা ভাষায় লিখতে পারছি, মনে মনে অনুবাদ করতে হচ্ছে না এইটাকে। |
|
|
|
|
|