|
|
|
|
সব পেয়েছি... |
|
নন্দন-অ্যাকাডেমি চত্বর। তর্ক থেকে প্রেম। অন্য এক কলকাতা।
রূপা গঙ্গোপাধ্যায়
খোলা হাওয়া। নন্দন-চত্বর। |
|
আমি এক জন শিল্পী। অভিনেত্রী। সেই জন্যই হয়তো বাঙালি হিসেবে আমার খুব বড় একটা অহঙ্কারের জায়গা নন্দন-অ্যাকাডেমি চত্বর।
ইদানীং খুব একটা যাওয়া হয় না। আগে যখন নিয়মিত যেতাম তখন দেখতাম লিটল ম্যাগাজিন হাতে অখ্যাত কোনও কবির জ্বলজ্বলে মুখ। নাটক নিয়ে চায়ের কাপ হাতে তর্ক করা তরুণতরুণী। |
খোলা হাওয়া। নন্দন-চত্বর। |
আন্তর্জাতিক ছবির জন্য সিনেমা-পাগল বাঙালির মাতামাতি। বিদেশেও লোকে প্রশ্ন করেছে নন্দন চত্বর আর তার ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল নিয়ে। খুব গর্ব হয়েছে। আমি নিজে তখন সেই চলচ্চিত্র উৎসবের সঙ্গে খুব জড়িয়ে ছিলাম বলেই হয়তো। এই চত্বরের অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসে ছবির প্রর্দশনী বা বাংলা অ্যাকাডেমির বিভিন্ন আলোচনা সভা, আর রবীন্দ্রসদন, শিশির মঞ্চের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কী অসাধারণ মান সে সব অনুষ্ঠানের। আমি নিজে যে কত বার ওই চত্বরটায় বসে গলা ছেড়ে রবীন্দ্রনাথের গান গেয়েছি। এই চত্বরটায় এমন অনেক কবি আছেন যাঁদের সঙ্গে আড্ডা মারতে গিয়ে বুঝেছি বাংলা সাহিত্য সম্বন্ধে তাঁদের কী অপরিসীম জ্ঞান। সিনেমা নিয়েও দেখেছি কত চোখে কত স্বপ্ন! ছবি বানাতে চায়, অভিনয় করতে চায়। আন্তর্জাতিক ছবি নিয়ে কত পড়াশোনা, বাংলা ছবি নিয়ে কত পরিকল্পনা।
শেষ কথাটা হল, নন্দন-অ্যাকাডেমি চত্বরের প্রেম। আমাদের শহরটায় প্রেম করার জায়গা বিশেষ নেই তো। ছেলেমেয়েগুলো কী সুন্দর পুকুরের ধারে, রেলিংয়ের ওপরে, গাছের তলার বেঞ্চে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে প্রেম করে দেখতে যে কী ভাল লাগে। সব মিলিয়ে বাঙালি যা যা চায়, যা যা ভালবাসে, যা যা আমাদের গর্ব সব আছে ওই ছোট্ট জায়গাটার মধ্যে। |
|
|
|
|
|