|
|
|
|
নেতি নয়, ইতির পাল্লাই ভারী |
|
অর্থনীতির ছবিটা ঈষৎ বিবর্ণ, কিন্তু সাহিত্য, শিল্প, রাজনীতি বা খেলা
বাঙালি অদম্য। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কথাই ভাবুন। প্রণব মুখোপাধ্যায় |
|
পশ্চিমবঙ্গের বঙ্গসমাজের অহঙ্কার এবং বেদনার হিসাব করতে বসলে প্রথমেই চোখে পড়ে, ষাটের দশকের গোড়ায়, চতুর্থ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সময় থেকেই রাজ্য পিছিয়ে পড়ছে। প্রফুল্লচন্দ্র সেন তখন মুখ্যমন্ত্রী। অর্থনৈতিক হতাশার চিত্রটি তখন থেকেই শুরু। যার জেরে আজও প্রথম সারির রাজ্যগুলির মাঝে আসতে পারেনি পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু অর্থনৈতিক হিসাবনিকাশটাই বোধহয় শেষ কথা নয়। সমস্ত নেতির বাতাবরণের মধ্যেও বাঙালির রক্তে যে আশ্চর্য এক বোধ সদা জেগে থাকে, প্রতিনিয়ত তার উদাহরণ আমাদের চারপাশে। বিভিন্ন পেশায় তার প্রকাশ। এটাই বোধহয় বাঙালির সবচেয়ে বড় অহঙ্কারের জায়গা। ভারতীয় ক্রিকেট যত দিন থাকবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অবদানকে কি অস্বীকার করতে পারবেন কেউ? তাঁর অবদান গোটা দেশের কাছে পশ্চিমবঙ্গের সেরা উপহার হয়ে থাকবে বলেই আমরা ধারণা।
বিজয়ী। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। |
সাহিত্য, শিল্প, ফিল্ম, নাটক, রাজনীতিবাঙালির উৎকর্ষ শতধারায় বয়ে গিয়েছে এবং এই ঐতিহ্যের ধারাটি ভবিষ্যতে নিশ্চিত ভাবেই বহমান থাকবে। পঞ্চাশের দশক থেকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ফিল্ম-বিশ্বে যে জয়যাত্রা করে গিয়েছেন সত্যজিৎ রায়, তার প্রভাবে লালিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হবে গোটা দেশের ফিল্ম প্রজন্ম। যে ভাবে দেশের অন্যতম সেরা রোমান্টিক জুটি হিসাবে থেকে যাবেন উত্তম-সুচিত্রাও।
ভারতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভ্যুত্থান নিঃসন্দেহে আর একটি বড় ঘটনা। সাধারণ বাঙালি মধ্যবিত্ত ঘর থেকে উঠে এসে একার ক্ষমতায় একটি রাজনৈতিক দল করা এবং ৩৪ বছরের সংগঠিত দলকে গদিচ্যুত করার ব্যাপারটা এক ঐতিহাসিক ঘটনা। প্রশাসক হিসাবে মমতা ভাল কি মন্দ সে প্রশ্ন স্বতন্ত্র, কিন্তু তাঁর একার চেষ্টায় পশ্চিমবঙ্গের এই বাঙালি রাজনৈতিক দলটি ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম নিয়ন্ত্রক শক্তি হয়ে উঠেছে তাতে সন্দেহ নেই। এটাও কি বাঙালিরই গর্ব নয়? |
|
|
|
|
|