সঙ্গীতাচার্য সুখেন্দু গোস্বামীর জন্মশতবর্ষে সম্প্রতি শিশির মঞ্চে যে বর্ণময় শাস্ত্রীয়সঙ্গীতের অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় তা শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। প্রথমে আচার্যের সুরে তাঁর ছাত্রছাত্রীরা একটি সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করলেন। পরে দু’টি ভজন ‘সাধো দেখো জলমে মছলি পিয়াসী’, ‘চলো মন গঙ্গা যমুনা তীর’ পরিবেশন করেন তন্দ্রা রায়। তাঁর সুরেলা কণ্ঠের ভজন শ্রোতাদের কাছে বিশেষ ভাবে সমাদৃত হয়। অরুণাশিসের কণ্ঠে পরিবেশিত খেয়াল ঠুংরি মনে রাখার মতো। কৌশিক মুখোপাধ্যায়ের সরোদ বাদন অনুষ্ঠানটিকে একটি আলাদা মাত্রা এনে দেয়।
|
সম্প্রতি রবীন্দ্রসদনে আবৃত্তিশিল্পী কাজল সুরের পরিচালনায় অংশগ্রহণ করেন ‘স্মৃতি-শ্রুতি’র প্রায় অর্ধশতাধিক শিল্পী। আবৃত্তিতে ঊষসী সেনগুপ্ত, অনিন্দিতা মিত্র, শম্পা পাল চৌধুরীর পরিবেশন অত্যন্ত গুণমানের। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প অবলম্বনে কাজল সুরের নাট্যরূপ ‘কিন্নর দল’ শ্রুতিনাটকটি মনে রাখার মতো । যেখানে অনন্যা ঘোষ, স্নিগ্ধা চট্টোপাধ্যায় উল্লেখযোগ্য। জগন্নাথ বসু, ঊর্মিমালা বসু ও শর্মিষ্ঠা অংশগ্রহণ করেন ‘সবুজদ্বীপ’ ও ‘পার্টনার’ শ্রুতিনাটকে। কাজল সুরের অভিনয়ও অনবদ্য।
|
সম্প্রতি অরবিন্দ ভবনে কল্যাণ গুহ আয়োজন করেছিলেন ব্রহ্ম সঙ্গীতানুষ্ঠান। সুব্রতা পালের পরিচালনায় ‘আনন্দ গান’ শোনাল ‘প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে’। পরে সোহিনী সেনগুপ্ত ও আনন্দধারার নিবেদন মন্দ নয়। এ দিন সংঘমিত্রা চক্রবর্তী শোনালেন ‘বিপুল তরঙ্গ রে’, ভাস্বতী দত্ত গাইলেন ‘মধুর মধু ধ্বনি’। বন্দনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় শোনা গেল ‘মহাবিশ্বে, মোরা সত্যের পরে’। নূপুরছন্দা ঘোষের ছাত্রছাত্রীরা শোনালেন দ্বিজেন্দ্রলাল, রজনীকান্ত, অতুলপ্রসাদের গান। অনুষ্ঠান শেষ হয় ‘আহা কী করুণা তোমার’ শুনিয়ে। |