শিবরামপুর
বেহাল বীথিকা
বাজারের অনেক জায়গায় দেওয়ালে ফাটল। স্টল সংলগ্ন বাজারের অনেক জায়গাতেই জানলা ভাঙা। জলের পাইপে ফাটল থাকায় সারাক্ষণই জল পড়ে সব্জি বিক্রেতাদের বসার জায়গা মাঝেমধ্যেই ভেসে যায়। অল্প বৃষ্টিতেই ছাদ থেকে জল চুঁইয়ে পড়ে। দোকানের স্টলগুলি এতটাই উঁচু যে অনেক বিক্রেতারই সেখানে উঠতে অসুবিধা হয়। শৌচাগারের বেসিনও ভাঙা। বাজারের যাবতীয় বর্জ্য বাজারের মধ্যেই ডাঁই করে রাখা। বাজারের সামনেই রয়েছে ভ্যাট। সেটি নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দরা। পাঁচ বছর আগে নির্মিত শিবরামপুর পৌর পণ্যবীথিকার হাল এখন এমনই।
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (বাজার) দেবাশিস কুমার বলেন, “বাজারটিতে কিছু কিছু সমস্যা রয়েছে। এই সমস্যার সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই আমি দফতরকে এই বিষয়ে জানিয়েছি।”
কলকাতা পুরসভার শিবারাম এলাকায় পুরসভার একটিই ‘পৌর পণ্যবীথিকা’ রয়েছে। বাজারে স্টলের সংখ্যা ৬৭। মাছ-মাংস ছাড়াও এই বাজারে নানা ধরনের সব্জি পাওয়া যায়। ২০০৭-এ তৎকালীন মেয়র বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এই বাজারের উদ্বোধন করেন। তার পরেই এখানকার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের স্টল হস্তান্তর করা হয়। যাঁরা এলাকার বাইরে থেকে এসে কাঁচামাল বিক্রি করে চলে যেতেন তাঁদের বাজারের পিছনে বসার ব্যবস্থা করেছেন পুর-কর্তৃপক্ষ। তাঁদের কাছ থেকে টাকাও
নেওয়া হয়।
বাজারের এই অংশে ফাইবার শিট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিক্রেতাদের অভিযোগ, সেটি পুরো ঘেরা না থাকায় বর্ষাকালে ফাঁকা অংশ দিয়ে প্রবল ঝাট আসে। বাজারের সব্জিবিক্রেতা হেমন্ত বারিকের কথায়: ‘‘নিকাশি পাইপ ঠিক না থাকায় মাঝেমধ্যেই সমস্যায় পড়তে হয়। জল দাঁড়িয়ে থাকে। এ ছাড়াও যে সমস্ত জানলা ভেঙে গিয়েছে সেগুলিও সারানো হয়নি। ফলে ফাঁকা জানলা দিয়ে বৃষ্টির জল ঢুকে কাঁচামাল নষ্ট হয়। ছাদ থেকেও চুঁইয়ে জল পড়ে।”
শিবরামপুর বাজার সমিতির সম্পাদক কৃষ্ণপদ মিদ্যে বলেন, “বাজারে জল পড়া অন্যতম সমস্যা। কোলাপসিবল গেটও অনেক সময় কাজ করে না। শৌচাগারের বেসিন অনেক দিনই ভেঙে পড়ে রয়েছে। পুরকর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে জানানো সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি।” স্থানীয় কাউন্সিলর শ্যামাদাস রায় বলেন, “বাজারের সমস্যার ব্যাপারে পুরকর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। গত পুরবোর্ড বাজারটি তাড়াহুড়ো করে নির্মাণ করার ফলেই এই অবস্থা।” তিনি জানান, বাজারের সামনে একটি ভ্যাট অনেক দিন ধরেই রয়েছে। সেখানেই বাজারের যাবতীয় বর্জ্য ফেলা হয়। আগে এই ভ্যাট থেকে জঞ্জাল পরিষ্কার অনিয়মিত ছিল। এখন দু’বেলাই এই ভ্যাট থেকে জঞ্জাল তোলা হচ্ছে। বাজারের সার্বিক পরিকাঠামো উন্নতির ব্যাপারে দ্রুত কাজে হাত দেওয়া হবে।
ছবি: পিন্টু মণ্ডল




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.