বর্ষবরণে মেতেছে জেলার শহর-গ্রাম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বর্ষবরণের আনন্দে মেতেছে জেলাবাসী। আজ, শনিবার দিনভর নানা অনুষ্ঠান ও কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি সারা হয়েছে। শুক্রবার তারই ছবি চোখে পড়েছে। কোথাও চলেছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মহড়া, কোথাও বা কর্মসূচির শেষ প্রস্তুতি দেখে নিতে ব্যস্ত উদ্যোক্তারা। |
|
চড়ক ও গাজনের সং। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ ও কিংশুক আইচ। |
‘মেদিনীপুর ড্যান্সার্স ফোরামে’র উদ্যোগে নতুন বছরের প্রথম দিনই মেদিনীপুর শহরের কলেজ মোড়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সকাল থেকে শুরু হবে অনুষ্ঠান। নাম, ‘বৈশাখী ১৪১৯’। শহরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থা যোগ দেবে। শিশু সংগঠন ‘সব পেয়েছির আসরে’র মেদিনীপুর অঞ্চলও নানা আয়োজন করেছে। শহরের বিদ্যাসাগর হল-সংলগ্ন মাঠ থেকে শুরু হয়ে প্রভাতফেরি বিভিন্ন পথ-পরিক্রমা করবে। বিকেলে ওই মাঠেই হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আসরের উদ্যোগে শুক্রবার সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়েছিল। অঙ্কন প্রতিযোগিতায় শতাধিক ছাত্রছাত্রী যোগ দেয়। শনিবারের অনুষ্ঠান মঞ্চেই সফল প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। আসরের মেদিনীপুর অঞ্চল সংগঠক জীতেশ হোড় বলেন, “প্রতি বছরই আমার এই দিনটি উদ্যাপন করি।” সাংস্কৃতিক সংস্থা ক্যামেলিয়া-র উদ্যোগে শনিবার সন্ধ্যায় পঞ্চুর চকে আয়োজন করা হয়েছে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। সংস্থার পক্ষে অলোকবরণ মাইতি বলেন, “নতুন বছরের প্রথম দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতেই এই আয়োজন।”
খড়্গপুর, ঝাড়গ্রাম-সহ জেলার বিভিন্ন এলাকাতেই বর্ষবরণ উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠান ও কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। খড়্গপুর শহরের শরৎপল্লির সবুজ সঙ্ঘ ক্লাবের উদ্যোগে শনিবার সকালে এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। বিকেলে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ক্লাবের সদস্য গৌতম সেনগুপ্তের কথায়, “সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই আমাদের এই উদ্যোগ।”
|
তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বজ্রপাতে এবং ঝড়ে ছিড়ে পড়া বিদ্যুতের তারে তড়িদাহত হয়ে মারা গেলেন দু’জন। শুক্রবার সকালে দু’টি দুর্ঘটনাই ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ে। জরুরা গ্রামের বলাই জানা (৪২) অন্য দিনের মতো এ দিন সকালেও সাইকেলে দুধ বিক্রি করতে বেরিয়েছিলেন। সে সময়েই বজ্রাহত হয়ে মারা যান তিনি। নারায়ণবাড় গ্রামের স্বপন শাসমল (২৭) সকালে চাষের জমিতে গিয়েছিলেন। আগের রাতের ঝড়ে তার ছিড়ে পড়েছিল জমিতে। তড়িদাহত হয়ে মারা যান তিনি। কয়েক দিন ধরেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় সকাল-সন্ধ্যায় ঝড় ও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হচ্ছে। |
|