|
|
|
|
|
|
|
মনোরঞ্জন... |
|
তিন দোস্তির মস্তি |
ছ’ বছর পর মুক্তি। কেন?
খোঁজ করলেন ইন্দ্রনীল রায় |
বব বিশ্বাস আর সাব ইন্সপেক্টর রানা আবার একসঙ্গে।
না, ‘কহানি’ নয়। এ হল ‘তিন ইয়ারি কথা’।
বলিউডের ছোঁয়ায় টলিউড আবার? কিছুটা
তো বলাই যায়।
মনে করে দেখুন গত বছরের কথা। ‘দিল্লি বেলি’, ‘প্যার কা পাঞ্চনামা’, ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’, ‘গোলমাল ৩’। গত বছর এ সব ছবি নিয়েই বলিউড ছিল সরগরম। বক্স অফিসে দারুণ ব্যবসা তো করেছিলই। সঙ্গে বলিউডকে দিয়েছিল নতুন ভাবনাচিন্তার খোরাকও।
এ ধরনের ছবির নতুন নামকরণও হয়েছিল মুম্বইতে। ব্রোম্যান্স। মানে ব্রাদারলি রোম্যান্স। ছেলেদের মধ্যে বন্ধুসুলভ ভালবাসা।
সে ধারায় এবার টলিউডও যোগ দিতে চলেছে।
কী ভাবে? ‘তিন ইয়ারি কথা’র হাত ধরে।
৪ মে মুক্তি। তিন বন্ধু রুদ্রনীল ঘোষ, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, সুজন মুখোপাধ্যায়ের গল্প। সঙ্গে আছেন জুন আর বব বিশ্বাসমানে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। প্রযোজনায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়-অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের সংস্থা আইডিয়াজ। পরিবেশনায় সাহারা মোশান পিকচার্স। তবে ‘তিন ইয়ারি কথা’ কিন্তু আজকের ছবি নয়। সেই ২০০৬-এ তৈরি হয়েছিল এ ছবি।
তা হলে ছ’বছর ধরে ছবির দেখা পাওয়া যায়নি কেন? “২০০৬-এ দর্শক এই ধরনের ছবির জন্য তৈরি ছিল না। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। বুদ্ধিদীপ্ত, স্মার্ট ছবি এখন দর্শক নিচ্ছে। পরম, অপু (শাশ্বত) এদের একটা আলাদা বাজার তৈরি হয়েছে। সেই জন্যেই ‘তিন ইয়ারি কথা’ মুক্তি পাওয়ার এটাই সঠিক সময়। |
|
পরমব্রত, রুদ্রনীল আর সুজন |
ছবিতে যা উপাদান আছে, ইয়াংদের মধ্যে কিন্তু এ ছবি কাল্ট স্টেটাস পেয়ে যেতে পারে,” নিজের মেক-আপ ভ্যানে বসে বলছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। শুধু রিলিজ নয়, মার্কেটিংয়ের সঙ্গেও ভীষণভাবে জড়িয়ে পড়েছেন প্রসেনজিৎ। ছবির অভিনেতাদের সঙ্গে একটা মজার প্রোমো-ভিডিও শু্যট করেছেন। সেই ভিডিও আর কিছু দিনের মধ্যেই দেখা যাবে টিভির পর্দায়। এ ছাড়াও আরও কিছু চমকপ্রদ মার্কেটিং ক্যাম্পেনের চিন্তাভাবনা আছে।
একই কথা বলছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ও। “২০০৬-এর থেকে বাংলা সিনেমার দর্শক এখন অনেক লিবারল। তা ছাড়া ইন্ডাস্ট্রিতে আমি, অপুদা আর রুদ্র অভিনেতা হিসেবেও অনেকটা এগিয়েছি । তাই ‘তিন ইয়ারি কথা’র মতো ছবির মুক্তির জন্য এটাই সেরা সময়।”
তবে স্রেফ সঠিক সময়ের অপেক্ষায় থাকতেই যে ছ’ বছর দেরি হল ‘তিন ইয়ারি’র মুক্তির, তা কিন্তু নয়। সেন্সর বোর্ডের দিক থেকেও নানা সমস্যা এসেছিল। কেন? “আসলে ছবিটিতে বেশ কিছু গালাগালি ব্যবহার হয়েছে। ডায়ালগের কিছু অংশ নিয়েও সেন্সর বোর্ডের আপত্তি ছিল। কিন্তু ‘২২শে শ্রাবণ’-এর পর এখন পুরো ছবিটাই তো পাল্টে গেছে। দর্শকও এখন অনেক বেশি ম্যাচিওর,” বললেন পরিচালক সুদেষ্ণা রায়। ‘তিন ইয়ারি কথা’র অন্যতম পরিচালক। অন্যজন অভিজিৎ বসু। তাও ‘তিন ইয়ারি কথা’র তিনটি কমিটির অনুমোদন লেগেছে। সেন্সর সার্টিফিকেটে সই আছে আট থেকে ১০ জন সদস্যর। |
|
ফার্স্ট লুক |
কিন্তু এই ছ’ বছরে ছবিটির কিছু অংশ তো ইউটিউবেও ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। “হ্যাঁ, কিছু অংশ দেখা গিয়েছিল ঠিকই, তবে পুরো ছবিটি কখনওই আপলোড হয়নি। সবচেয়ে বড় কথা হল, ফাঁস হয়ে ভালই হয়েছে। ‘তিন ইয়ারি’র একটা আলাদা ফ্যান ফলোয়িং তৈরি হয়েছে,” বলছেন সুদেষ্ণা।
শেষ পর্যন্ত যে ‘তিন ইয়ারি কথা’ মুক্তি পেল, তা নিয়ে পরমব্রত, রুদ্রনীল, সুজনরাও বেশ উত্তেজিত। “এত দিন মুক্তি পায়নি ঠিকই, কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেকেই ‘তিন ইয়ারি কথা’র নাম জানেন। বিশেষ করে ১৬ থেকে ৩০ বছর বয়সীরা।
এটা হয়েছে ইউ টিউবের দৌলতেই। ছবিটিতে এমন কিছু জিনিস আছে, যার সঙ্গে কমবয়সীরা ভীষণভাবে আইডেন্টিফাই করবে। কোনও জ্ঞানের কচকচি কিন্তু নেই,” বলছেন রুদ্রনীল।
কিন্তু আই পি এলের বাজারে ছবির মুক্তি? এ সময় তো সব প্রযোজক হাত গুটিয়ে বসে থাকেন, হলে দর্শক হবে না বলে। তা নিয়ে অবশ্য মোটেই মাথা ঘামাচ্ছেন না প্রসেনজিৎ। “আইপিএলের সময়টাই তো এই ছবি রিলিজের জন্য আদর্শ। এই সময় সবার মনে একটা উৎসব-উৎসব ভাব থাকে। ছবিটার মুডটাও ফেস্টিভ। এই সময়ের সঙ্গে যেটা যায়। এ ছবি দেখতে দর্শক আসবেই,” প্রসেনজিতের উত্তর। |
|
|
|
|
|