কোতোয়ালি থানা স্থানান্তরের ভাবনা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পরিদর্শনে এসে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানায় বেশ কিছু পরিকাঠামোগত ত্রুটি নজরে পড়ল আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) গঙ্গেশ্বর সিংহের। সোমবার তিনি কোতোয়ালি থানা ও খড়্গপুর এসডিপিও-র দফতর পরিদর্শন করেন। সঙ্গে ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠি। কোতোয়ালি থানায় অভিযুক্তদের রাখার ‘সেল’ ঘিঞ্জি বলে অভিযোগ। পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদেরও এখানেই রাখা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, শহরের পটনাবাজারে কোতোয়ালি থানা স্থানান্তরের চিন্তাভাবনা চলছে। এ জন্য জায়গাও নির্দিষ্ট করা হয়েছে। আইজি বলেন, “এখন যেখানে থানা রয়েছে, তার চারপাশে পর্যাপ্ত জায়গা নেই। পটনাবাজারে থানা স্থানান্তরিত হলে আর এই সমস্যা থাকবে না।” পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, “এমন পরিদর্শন চলেই। জঙ্গলমহলে অশান্তির জন্য মাঝে থানা পরিদর্শন করা যায়নি।” |
|
কোতয়ালি থানায় আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) গঙ্গেশ্বর সিংহ।নিজস্ব চিত্র। |
সোমবার সকালে প্রথমে খড়্গপুর এসডিপিও-র দফতরে পৌঁছে কিছু বিভাগীয় কাগজপত্র তলব করেন আইজি। কথা বলেন এসডিপিও দীপক সরকার-সহ পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীদের সঙ্গে। দফতরের সব ঠিকঠাক রয়েছে কি না খতিয়ে দেখেন। দুপুরে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানায় পৌঁছন তিনি। আইজি আসছেন বলে থানা-চত্বর সাফসুতরো করা হয়েছিল। নতুন রং-ও করা হয়েছিল। পুলিশকর্মীরাও বাড়তি ‘সতর্ক’ ছিলেন। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে থানার সব কিছু খতিয়ে দেখেন আইজি। আইসি জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কাগজপত্র চেয়ে পাঠান। পুলিশকর্মীদের থাকার ঘর ঘুরে দেখেন। অভিযুক্তদের রাখার ঘিঞ্জি ‘সেল’ও আইজি-র চোখে পড়ে। অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক তথা মানবাধিকারকর্মী জগবন্ধু অধিকারী বলেন, “কোতোয়ালি থানায় ধৃতদের ঘিঞ্জি জায়গাতেই রাখা হয়। এ নিয়ে আগেও অভিযোগ করা হয়েছে।” শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়েও এ দিন পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইজি। তাঁর মতে, ট্রাফিক ব্যবস্থা ঢেলে সাজতে হবে। |
|