নতুন ভোটার তালিকা অনুযায়ী কালীঘাট মন্দির কমিটির নির্বাচনের উপরে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কালীঘাট মন্দিরের এক সেবায়েত অশোক মুখোপাধ্যায় হাইকোর্টে মামলা করে জানান, বিগত সবক’টি নির্বাচনে ভোটার তালিকায় তাঁর নাম ছিল। কিন্তু এ বার বাদ দেওয়া হয়েছে। তাঁর মতো এমন অনেক সেবায়েতের নামই বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এর পরে বিচারপতি সৌমেন সেন নতুন তালিকার উপরে স্থগিতাদেশ দেন। ফলে সব বৈধ সেবায়েতকে ভোটার তালিকায় রেখেই নির্বাচন করতে হবে। আদালত সূত্রে খবর, মন্দির কমিটির নির্বাচন নিয়ে সেবায়েতদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। দুই সেবায়েত সুশীল কুমার চট্টোপাধ্যায় ও কাশীনাথ হালদার আলিপুর আদালতে মন্দির কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, কলকাতা হাইকোর্টের বেঁধে দেওয়া গাইডলাইন অমান্য করে নির্বাচন হচ্ছে। আগামী ১০ এপ্রিল ওই মামলার শুনানি হবে।
অন্য দিকে, সুরভি ঘোষ ও সমীর ঘোষ নামে এক দম্পতি কালীঘাট মন্দিরের পবিত্রতা, পরিচ্ছন্নতা এবং ভক্তেরা যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে পুজো দিতে পারেন তার জন্য আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন। সেই মামলার সূত্রেই হাইকোর্ট কিছু নির্দেশ দেয়। কিন্তু রায়ের ছ’মাস পরেও অবস্থা বিশেষ বদলায়নি।
এর মধ্যে ওই দম্পতি প্রধান বিচারপতিকে একটি চিঠি লিখে দ্রুত মামলা শেষ করে চূড়ান্ত রায়ের আবেদন জানান। কালীঘাট মন্দিরের অব্যবস্থা দূর করার আবেদন জানিয়ে প্রধান বিচারপতিকে আরও কয়েকটি চিঠি লেখা হয়। প্রধান বিচারপতি নিজেও পুজো দিতে গিয়ে মন্দিরের হাল স্বচক্ষে দেখে আসেন। এজলাসে বসে যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। প্রধান বিচারপতি ব্যক্তিগত ভাবে আদিগঙ্গার সংস্কার ও কালীঘাট মন্দিরে ভক্ত সহায়ক পরিবেশ তৈরির জন্য আগ্রহী। |