ভাড়াটেদের সচিত্র পরিচয়পত্র-সহ বিস্তারিত তথ্য জানাতে হবে পুর-কর্তৃপক্ষকে। সেক্ষেত্রে ঘর ভাড়া দেওয়ার জন্য বাড়তি পুরকরের মাসুলও গুনতে হবে বাড়িওয়ালাদের। বহরমপুর পুরসভা এলাকার ২৫টি ওয়ার্ডে বাড়ি রয়েছে প্রায় ৩২ হাজার। তার মধ্যে আবাসন যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে মেস, পেয়িং গেস্ট, হোটেল ও নার্সিংহোম।
বহরমপুরের পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্য বলেন, “ভাড়াটেদের সম্বন্ধে কোনও খোঁজ-খবর না নিয়েই, তাঁদের কথায় বিশ্বাস করে মোটা টাকায় দিনের পর দিন ঘর ভাড়া দেন বাড়ির মালিকেরা। কিন্তু এত বড় শহরে কেউ নাম-ঠিকানা গোপন রেখে ঘর ভাড়া নিয়ে কোনও সমাজবিরোধী কাজ করলে তার দায় বাড়ির মালিক ও পুর-কর্তৃপক্ষের উপরে এসে পড়বে। তাই সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসেবে ভাড়াটেদের সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে পুরসভায় তা জমা দেওয়ার জন্য বোর্ড অফ কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” তাঁর কথায়, “ ব্যবসায়িক কাজে বাড়ি ব্যবহারের জন্য ওই বাড়ির মালিকের কাছ থেকে কমার্শিয়াল হারে পুরকর নেওয়া হবে।”
তবে পুরবোর্ডে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে মাস ছ’য়েক আগে। তবে ওই সিদ্ধান্ত এখনও কার্যকরী করা হল না কেন? পুরপ্রধান বলেন, “২৫টি ওয়ার্ডের প্রতি বাড়ি ঘুরে সমীক্ষা চালানোর সময়ে বিস্তারিত তথ্য নথিভুক্ত করে রাখা হয়েছে। কিন্তু অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে শহরের যানজট কমানো থেকে সৌন্দর্যায়নের উপরে জোর দিতে গিয়ে ওই কাজ করা সম্ভব হয়নি।” তবে মাইক নিয়ে প্রচার চালিয়ে, লিফলেট বিলি করে এবং প্রতি পাড়ায় জনচেতনতা গড়ে তুলে অবিলম্বে ওই কাজ করা হবে বলেও পুরসভার পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
পুরপ্রধান বলেন, “ নাগরিকদের যাতে শান্তি বিঘ্নিত না হয়, এ জন্য বাড়ি বা অফিস যাদের ভাড়া দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের সম্বন্ধে খুঁটিনাটি তথ্য আমরা নিজেদের কাছে রাখব। গোটা বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের নজরে থাকবে।”
একই কথা বলেন জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীরও। তিনি বলেন, “যাদের বাড়ি বা অফিস ভাড়া দেওয়া হবে, তাদের সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য বাড়ির মালিক পুলিশ প্রশাসনের কাছে জমা দেবেন। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নোটিশ দিয়ে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।” এ দিকে শহরের আইনশৃঙ্খলার অবনতি রুখতে এবং কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে দুষ্কৃতীরা পালাতে না পারে, এ জন্য বহরমপুরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ৫০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানোর ব্যাপারে জেলা পুলিশ প্রশাসন বিশেষ উদ্যোগ করেছে। |