শহরের প্রাণকেন্দ্রে অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা। আর সেই রাস্তার দু’পাশে ছাগল, ভেড়া বেচাকেনা চলছে। এ ছবি পুরুলিয়া শহরের রেডক্রশ রোডের। সপ্তাহে দু’দিন এখানে পশুহাট বসে। যার জেরে বাসিন্দা ও পথচলতি মানুষ বেজায় সমস্যায় পড়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, সব জেনেও প্রশাসন উদাসীন।
এই রেডক্রশ রোড এলাকাতেই পুরুলিয়া শহরের বাসস্ট্যান্ড ও পুরভবন। রাস্তার এক দিকে বাসস্ট্যান্ড, অন্য দিকে পুরভবন। পুরভবনের পাশেই জেলা পরিষদের কার্যালয়। তার কাছেই রয়েছে জুবিলি ময়দান। সেখানে প্রায়শই নানা সংগঠন ও সংস্থা সভা করে। এই এলাকাতেই রয়েছে রবীন্দ্রভবন ও শহরের অন্যতম প্রধান প্রেক্ষাগৃহ হরিপদ সাহিত্য মন্দির। কাছেই রয়েছে পুরুলিয়া সদর হাসপাতাল ও বিমা সংস্থার অফিস। রয়েছে ব্যাঙ্ক ও নার্স হস্টেল। এ ছাড়া রাস্তার পাশে দোকানপাট রয়েছে। ফলে এই এলাকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। দিনের বেশির ভাগ সময় এই রাস্তায় ভিড় লেগেই থাকে। তার উপর প্রতি সোমবার ও শুক্রবার রাস্তা জুড়ে পশুহাট বসে। এর ফলে সপ্তাহের ওই দু’দিন এই রাস্তায় যাতায়াত করতে পথচারীদের খুব অসুবিধায় পড়তে হয়। |
সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এই পশুহাট চলে। এলাকার দোকানদার তপন মাহাতো ও নন্দলাল কর্মকারের অভিযোগ, “রাস্তায় মানুষের থিকথিকে ভিড় থাকে। অনেক সময় ছাগল, ভেড়া দোকানের ভিতরে ঢুকে পড়ে। সে সব সামলাবো না ব্যবসা করব? বছরের পর বছর এই হাট বসলেও প্রশাসন তা অন্যত্র সরাচ্ছে না।” স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কাছেই শিশুদের একটি স্কুল রয়েছে। হাটের দিনগুলিতে শিশুদের ওই রাস্তা দিয়ে স্কুলে নিয়ে যেতে অভিভাবকদের সমস্যা হয়। শহরের বাসিন্দা তথা প্রাক্তন পুরপিতা গোবিন্দ মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওই পশুহাট সরানোর পরিকল্পনা অনেকদিনের। কিন্ত উদ্যোগের অভাবে তা হয়নি। উল্টে দিন দিন যানজট আরও বাড়ছে।” পুরুলিয়ার পুরপ্রধান তৃণমূলের তারকেশ চট্টোপাধ্যায়ের আশ্বাস, “পশু হাট নিয়ে সমস্যার কথা জানি। এ ব্যাপারে আলোচনা করে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করব।” মহকুমাশাসক (সদর পূর্ব) সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, “ওই রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই পশুহাটটি সরানোর জন্য পুরসভা আমাদের সাহায্য চাইলে তা দেখা হবে।” |