নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের একটি বড় অংশ বিভিন্ন নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত। এই অবস্থায় নদীর ভাঙনকে জাতীয় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানালেন রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া।
বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “ভাঙনে মালদহ, মুর্শিদাবাদের অবস্থা খুব খারাপ। নদিয়া, বর্ধমানের খানিকটা অংশও খারাপ হচ্ছে। আমরা কেন্দ্রকে আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছি। মুখ্যমন্ত্রীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দেওয়া হবে।” ‘ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম’ বা বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পকে দ্বাদশ যোজনার অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সম্মতি জানিয়েছে বলেও এ দিন জানান মানসবাবু। তিনি বলেন, “ভাঙন নিয়ে আমরা সমীক্ষা শুরু করেছি। গঙ্গা, পদ্মার প্রবাহ অভূতপূর্ব আচরণ করছে। দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত মালদহ ও মুর্শিদাবাদের বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। খরা, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ক্ষতিপূরণ পান। আমাদের প্রশ্ন, ভাঙনকেও ক্ষতিপূরণের তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হবে না কেন?”
সাংবাদিক বৈঠকের আগে এ দিন বিধানসভায় মালদহের ফুলহার নদীর ভাঙন পরিস্থিতি নিয়ে সেচমন্ত্রীকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। মানসবাবু জানান, গত দু’বছরে ফুলহার নদীর ভাঙনে ৭৩.৫ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে ক্ষতি হয়েছে ১১৬টি কাঁচাবাড়ি, ১০টি পাকাবাড়ি, দু’টি মন্দির এবং চারটি মসজিদের। সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্লক মানিকচক, রতুয়া (১) এবং হরিশ্চন্দ্রপুর (২)। |