খোদ পুলিশ কমিশনারকে কলকাতা হাইকোর্টের এজলাসে হাজির হয়ে বিচারপতিদের তিরস্কার শুনতে হয়েছিল। শুনতে হয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, পুলিশ অকর্মণ্য। মূলত যে-থানার একটি ঘটনাকে ঘিরে এই ভর্ৎসনা, পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে সেই আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার ওসি ইন্দ্রজিৎ ঘোষদস্তিদারকে অবশেষে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মানিকতলা থানার ওসি বিকাশ গুহকে। পুলিশি সূত্রের খবর, কলকাতার পুলিশ কমিশনার রঞ্জিতকুমার পচনন্দার নির্দেশে বুধবার সন্ধ্যায় ইন্দ্রজিৎবাবুকে রিজার্ভ ফোর্সে বদলি করা হয়েছে।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি আমহার্স্ট স্ট্রিট থানা এলাকায় একটি পথ-দুর্ঘটনার কেস ডায়েরি নির্দিষ্ট দিনে কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেননি ওসি। তার জেরেই ওসি-কে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশি সূত্রের খবর। গত ৫ মার্চ সংশ্লিষ্ট থানাকে ওই দুর্ঘটনার কেস ডায়েরি হাইকোর্টে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু ওসি তা জমা দেননি। পরের দু’দিন, অর্থাৎ ৬ ও ৭ মার্চ ফের কেস ডায়েরি চেয়ে পাঠানো হয়। তা সত্ত্বেও থানার তরফে সেটি জমা দেওয়া হয়নি।
৭ মার্চ ইন্দ্রজিৎবাবুর পরিবর্তে ওসি (এফএসটিপি) কেস ডায়েরি নিয়ে আদালতে হাজির হন। আদালত চাওয়া সত্ত্বেও কেন ওসি সময়মতো কেস ডায়েরি পাঠাননি, পুলিশ কমিশনারকে তার তদন্ত করে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেয় বিচারপতি কল্যাণজ্যোতি সেনগুপ্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ। ১৯ মার্চ হাইকোর্টে সিপি-র যে-রিপোর্ট জমা পড়ে, তাতে দেখা যায়, সিপি-র পরিবর্তে ঘটনার তদন্ত করেছেন ডিসি (নর্থ)। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে সিপি-কে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। ২১ মার্চ আদালতে হাজির হয়ে সিপি-কে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়। তার পরেই, মঙ্গলবার সকালে সদলবল থানায় গিয়ে ওসি-র সঙ্গে দেখা করেন সিপি। |