ঝাড়গ্রামে বিশ্ব নাট্যদিবস পালন
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রাম মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সভাঘরে ‘সুর-সংলাপ-ছন্দ ও ছবির সমাহারে’ বিশ্ব নাট্য-দিবস উদ্যাপন করল ঝাড়গ্রামের ‘কথাকৃতি’। ১৯৬২ সালে ২৭ মার্চ দিনটি বিশ্ব নাট্য-দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এ বার বিশ্ব নাট্য-দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ। নাট্য দিবসের সন্ধ্যায় কথাকৃতির প্রথম নিবেদনে ছড়ার মাধ্যমে নাট্য-নির্মাণের গল্প শোনায় এক ঝাঁক খুদে শিল্পী। প্রদীপ জ্বালিয়ে ও প্রার্থনা-গানে প্রয়াত নাট্যপ্রেমী ও নাট্যকর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরিবেশিত হয় শিশুদের মায়েদের নিয়ে কথাকৃতি-র একটি ব্যতিক্রমী প্রযোজনা‘নিভৃত সংলাপ....অনেক দিনের আমার যে গান’। |
ছড়া দিয়ে নাট্য-নির্মাণ। মঙ্গলবার কথাকৃতির অনুষ্ঠানের ছবিটি তুলেছেন দেবরাজ ঘোষ। |
এর পর কথায়, গানে ও নাচে এবং ছবির সমাহারে আর একটি ব্যতিক্রমী প্রযোজনা‘নাটক: এক তিলোত্তমা শিল্প’ পরিবেশিত হয়। কবিতা পাঠ করেন প্রবীণ নাট্যব্যক্তিত্ব শ্রীকান্ত পাল। নাট্যাংশ পাঠে অংশ নেয় ঝাড়গ্রামের ‘রূপক’ গোষ্ঠী। সঙ্গীত পরিবেশন করেন কুনাল দে। সমগ্র অনুষ্ঠানটির গ্রন্থনা ও সংযোজনায় ছিলেন ‘কথাকৃতি’র কুন্তল পাল ও দেবলীনা দাশগুপ্ত। পৌরোহিত্য করেন মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক কুশল চক্রবর্তী।
|
শান্তিনিকেতনে বিশ্ব নাট্য দিবস
নিজস্ব সংবাদদাতা • শান্তিনিকেতন |
দেবতার গ্রাস নাটকের একটি দৃশ্য। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী। |
বিশ্ব নাট্য দিবসের ৫০ বছর উপলক্ষে বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবনে মঙ্গলবার হয়ে গেল নানা অনুষ্ঠান। উদ্যোক্তা সঙ্গীত ভবনের ড্রামা অ্যান্ড থিয়েটার আটর্স বিভাগ। সঙ্গীত ভবনের মঞ্চে এবং প্রাঙ্গণে দু’টি নাটক মঞ্চস্থ হয়। নাটক সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ছাত্রছাত্রী ও নাট্যপ্রেমীরা এলাকায় মিছিল করেন। শান্তিনিকেতন ও বোলপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় পথ নাটকও করা হয়। বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবনের উপাধ্যক্ষ তথা ড্রামা অ্যান্ড থিয়েটার আটর্স বিভাগের শিক্ষক তারক সেনগুপ্ত বলেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দেবতার গ্রাস’ কবিতা অবলম্বনে একটি নাটক মঞ্চস্থ হয়। পুঁজিবাদ নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে একটি নাটকও করা হয়েছে।” অনুষ্ঠানে ছিলেন সঙ্গীত ভবনের অধ্যক্ষা ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়-সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রী এবং নাট্যপ্রেমীরা।
|