ছ’টি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় শনিবার রাজ্যের পাঁচ জেলায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হন অন্তত ৪১ জন।
এর মধ্যে হাওড়ার উলুবেড়িয়াতেই দু’টি দুর্ঘটনা ঘটে। সকালে ঘোষালচকের পাঁচলা-বাউড়িয়া রোডে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় গণেশ দাস (৩৮) নামে এক সাইকেল আরোহীর। তিনি ওই এলাকারই বাসিন্দা। অন্য দুর্ঘটনায় পাঁচলা মোড়ের কাছে মুম্বই রোডে গাড়ির সঙ্গে লরির সংঘর্ষে মৃত্যু হয় গাড়ির আরোহী শাহানারা বেগমের (২৪)। জখম হয় দু’টি শিশু-সহ তিন জন। পুলিশ জানিয়েছে, হতাহতেরা সকলেই উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের ন’পাড়ার বাসিন্দা। গাড়িটি দিঘা থেকে ফিরছিল।
দুপুরে একটি দুর্ঘটনা ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ার নজরনগরে হাড়োয়া সেতুতে। উল্টো দিক থেকে আসা মাটি বোঝাই লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় ঝন্টু মোল্লা (২৮) নামে এক মোটরবাইক আরোহীর। তাঁর বাড়ি স্থানীয় শঙ্করপুর গ্রামে। জনতা লরিটিতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। দুপুরেই নদিয়ায় গাংনাপুরের পাটুলি পালপাড়ায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে পাট বোঝাই লরির ধাক্কায় জয়শ্রী পাল (৬) নামে প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়। সে ওই এলাকারই বাসিন্দা। প্রতিবাদে স্থানীয় লোকজন পথ অবরোধ করেন। এ দিন সন্ধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের ফতেপুরে দিঘা থেকে পাহাড়পুরগামী একটি বেসরকারি যাত্রীবাহী বাস উল্টে অন্তত ৩৫ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে ১২ জনের আঘাত গুরুতর। সকালে একই সড়কে খেজুরির হেঁড়িয়ার কাছে ট্রেকারের সঙ্গে একটি মোটরবাইকের ধাক্কা লাগে। দুই মোটরবাইক আরোহী গুরুতর আহত হন। পুরুলিয়ার বান্দোয়ানেও গাড়ির ধাক্কায় সুলেখা মাহাতো নামে পাঁচ বছরের এক স্কুল ছাত্রী গুরুতর জখম হয়। |