|
|
|
|
|
|
লক্ষ্য গ্র্যান্ডমাস্টার
|
জীবনযুদ্ধে রাজার চাল |
চন্দন রুদ্র |
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ডান হাত বাদ গিয়েছে বেশ কয়েক বছর আগেই। তার ফলে পুরোপুরি স্বাভাবিক নয় বাঁ হাতটিও। তবু সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি দাবা খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে চায় কুলতলির দশম শ্রেণির ছাত্র সমীর মণ্ডল। পা দিয়ে লেখে সে, খেলতে পারে দাবাও। সম্প্রতি বারুইপুর চেস অ্যাকাডেমির পরিচালনায় স্থানীয় মদারাট পপুলার অ্যাকাডেমিতে হয়ে গেল সারা বাংলা বয়স-ভিত্তিক দাবা প্রতিযোগিতা। লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করল বাংলার এক ঝাঁক প্রতিযোগী। সেরা দাবাড়ুর খেতাব জিতে নিল ঠাকুরপুকুরের দেবাঙ্কন ধাড়া। |
|
তৃতীয় বর্ষের এই সারা বাংলা দাবা প্রতিযোগিতায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া ছাড়াও প্রতিযোগীরা এসেছিল আসানসোল, খড়্গপুর ও নিউ জলপাইগুড়ি থেকে। প্রতিযোগিতা হয় পাঁচটি বিভাগে। অনূর্ধ্ব ৮, ১০, ১২, ১৪ ও ১৯ বিভাগে জয়ী হয় যথাক্রমে প্রীতম গায়েন, তমাল রায়চৌধুরী, নীলাঞ্জন চৌধুরী, দেবাঙ্কন ধাড়া ও সঙ্কলন ভারতী। শেষ দুই প্রতিযোগী কোনও ম্যাচ না হেরে জয়ী হয়। সফল প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন দাবাড়ু অতনু লাহিড়ী।
সেরা দাবাড়ু ঠাকুরপুকুর বিবেকানন্দ মিশন স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র দেবাঙ্কন। গত বছর টাউন হলে রাজ্য বয়স-ভিত্তিক দাবায় অনূর্ধ্ব ১৩ বছর বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয় সে। ১৯৯৭ রেটিং নিয়ে এগনো দেবাঙ্কনের লক্ষ্য গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়া। একই লক্ষ্য বারুইপুরের হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র, বারুইপুর চেস অ্যাকাডেমির শিক্ষার্থী, প্রতিযোগিতার রানার্স সঙ্কলন ভারতীরও। |
|
পুরস্কার হাতে সমীর মণ্ডল
|
আগামী ২৪ থেকে ২৭ মে আন্তর্জাতিক রেটিং দাবা প্রতিযোগিতার খবর জানিয়ে আয়োজক সংস্থার সম্পাদক সুস্মিতা মণ্ডল বলেন, “বারুইপুর অঞ্চলে আগে দাবাচর্চার সুযোগ তেমন ছিল না। ২০০৮-এ বারুইপুর স্টেশনের কাছে রেলের জায়গায় এই দাবা অ্যাকাডেমির সূচনা হয়। স্থানীয় ছেলেমেয়েরা দাবা শিখতে আসছে। এলাকার সাতটি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে সম্প্রতি স্কুল দাবার আয়োজন করেছি আমরা।”
|
ছবি: পিন্টু মণ্ডল |
|
|
|
|
|