বিধাননগরে সম্পত্তিকরের যে বিল সম্প্রতি ছাড়া হয়েছিল, তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য। ওই বিল বাসিন্দাদের মেটাতে হবে না। বুধবার মহাকরণে সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এ দিন মহাকরণে বিধাননগর পুরকর্তৃপক্ষ, আবাসিক সংগঠন বিধাননগর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুরমন্ত্রী। বৈঠক শেষে তিনি জানান, যে বিল নিয়ে বিভ্রান্তি, তা আর নেওয়া হবে না। পুরনো মূল্যায়নের (২০০৫-এর ৩০ জুন পর্যন্ত) ভিত্তিতেই সম্পত্তিকর নির্ধারিত হবে। যাঁরা এখনও কর দেননি, তাঁরা ওই সংশোধিত বিল পাবেন। যাঁরা ইতিমধ্যেই বিল বাবদ টাকা জমা করেছেন, পরবর্তী বিল থেকে তা বাদ যাবে। এ দিন পুরমন্ত্রী বলেন, “সরকার অযথা কর চাপানোর বিরুদ্ধে। তাই আজ এই সিদ্ধান্ত হয়।” পাশাপাশি তিনি জানান, পরবর্তীকালে বিধাননগরে নতুন করে সম্পত্তির মূল্যায়ন হবে।
সম্প্রতি বাড়ি বাড়ি পাঠানো করের বিল নিয়ে অনেকের অভিযোগ, বার্ষিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বৈষম্য হয়েছে। ফলে কারও করের পরিমাণ কমেছে, কারও অনেকটাই বেড়েছে। বাম জমানাতেও একই সমস্যা হয়েছিল। এতে বাসিন্দাদের বিভ্রান্তি বাড়ে। বিধাননগরে দীর্ঘদিন সম্পত্তিকর আদায় স্থগিত থাকায় এক দিকে যেমন টাকার অভাবে উন্নয়ন আটকে গিয়েছিল, তেমনই বাসিন্দাদের উপর করের বোঝাও চেপে বসে। সম্পত্তিকর বাবদ বকেয়া কুড়ি কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায় বলে পুরসভা সূত্রে খবর। তাই বর্তমান পুর-কর্তৃপক্ষ সম্পত্তিকর পুনরায় চালু করতে উদ্যোগী হন। পুরসভার দায়িত্ব পাওয়ার কুড়ি মাস বাদে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এ বার অনেকে যেমন ইতিমধ্যেই সম্পত্তিকর দিয়েছেন, তেমনই অনেকে দেননি। করের বিল নিয়ে তাঁদের বিস্তর অভিযোগ। সমস্যা সমাধানে রাজ্য উদ্যোগী হয়। মহাকরণে বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, “আমরা মানুষকে বিপদে ফেলতে চাই না। সম্পত্তিকর না পেলে পরিষেবা দেওয়া মুশকিল। তবে কাজ করতে গেলে ভুলও হয়। তাই ভুল সংশোধন করছি।” রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বৈঠকে উপস্থিত আবাসিক সংগঠন। |