টুকরো খবর
তৃণমূল কৃষক ফ্রন্টের নয়া সাজ
পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের কৃষক সংগঠনকে নতুন করে গড়ছে তৃণমূল। চলতি মাসেই কৃষক ও খেতমজুরদের নিয়ে সংগঠন তৈরির কাজ শুরু হতে চলেছে। প্রাথমিক ভাবে সংগঠনের নাম স্থির হয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কৃষক ও খেতমজুর কংগ্রেস।’ শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর কথায়, “সংগঠনের নাম চূড়ান্ত করবেন আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামে কৃষিজমি রক্ষার আন্দোলনের সময়ে তৃণমূলের নেতৃত্বে গঠিত ‘কৃষিজমি, জীবন ও জীবিকা রক্ষা কমিটি’র মূল আহ্বায়ক ছিলেন পূর্ণেন্দুবাবুই। দলের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য কমিটির এখন তিনিই চেয়ারম্যান। কৃষক ও খেতমজুরদের নিয়ে নতুন করে সংগঠন গড়ার দায়িত্বও পূর্ণেন্দুবাবুকেই দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। কৃষক মৃত্যু থেকে শুরু করে ধানের দাম নিয়ে বিরোধীদের আন্দোলনের মোকাবিলা করতেই কৃষক, খেতমজুরদের নিয়ে দলের এই সংগঠন নতুন করে গড়া হচ্ছে বলে তৃণমূলের একটি সূত্রের বক্তব্য। দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, “আমাদের কৃষক সংগঠন আছে। কিন্তু সংগঠনের কার্যকারিতা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সিপিএম ও বামপন্থী কৃষক সংগঠনগুলির মোকাবিলা করতেই দলনেত্রীর নির্দেশে আমাদের সেই রুগ্ণ সংগঠনকে চাঙ্গা করতে হবে।” তবে পূর্ণেন্দুবাবুর দাবি, “সরকারের কাজে কৃষক ও খেতমজুরেরা যাতে সহায়ক ভূমিকা নিতে পারেন, তার জন্যই আমরা সংগঠন মজবুত করে গড়ছি। সেই সঙ্গে শিল্প ও কৃষির যুগপৎ বিকাশ এবং গ্রামীণ তথা কৃষকদের সামগ্রিক উন্নয়নেও আমাদের সংগঠন কাজ করবে।” এ মাসের ২৫ তারিখে সল্টলেকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ‘অসংগঠিত শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রয়াস’ কর্মসূচি রয়েছে। সেখানে প্রধান বক্তা মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়ে আপাতত ব্যস্ত শ্রমমন্ত্রী। তার পরেই কৃষক ও খেতমজুরদের নিয়ে সংগঠন তৈরির কাজ পুরোদমে শুরু হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

আমরা ভাল কাজ করছি, মন্ত্রিসভায় বললেন মমতা
সরকার চালানোর প্রায় ন’মাসের মাথায় নিজের মন্ত্রিসভার সদস্যদের কাজের প্রশংসা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে নিজেই প্রসঙ্গটি তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। গত ২০ মে সরকার গঠনের পরে কোনও কোনও মন্ত্রীর কাজকর্মে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মমতা। কিন্তু এ দিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে সব মন্ত্রীকে আশ্বস্ত করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা ভাল কাজ করছি।” সেই সঙ্গেই ওই বৈঠকে মমতা অভিযোগ করেন, কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ‘সিন্ডিকেট’ করে সরকারের বিরোধিতায় নেমেছে। মন্ত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এ-সবে কান দেওয়ার দরকার নেই। আপনারা নিজেদের কাজ করে যান। আমাদের দ্রুত কাজ করতে হবে।” জয় বালাজি: মন্ত্রিসভার এ দিনের বৈঠকে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে বালাজি সংস্থার ইস্পাত প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণের জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রসঙ্গও ওঠে। জয় বালাজির ওই প্রকল্পের জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৪.৯৭ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে বলে বামফ্রন্টের আমলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই অনুসারে জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরুও হয়ে যায়। ইতিমধ্যে জমির মালিকদের শুনানির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু অধিগ্রহণ আইন মেনে জমির ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ হয়নি। এ দিন রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ শুরু করার জন্য ‘অ্যাওয়ার্ড’ ঘোষণার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়েছে। সরকারের এক মুখপাত্র জানান, ওই জমির ক্ষতিপূরণের জন্য দু’কোটিরও বেশি টাকা মজুত রয়েছে। তবে বালাজির ইস্পাত প্রকল্পের জন্য তৃতীয় পর্যায়ে জমি অধিগ্রহণ করা হবে কি না, তা এখনও ঠিক করেনি রাজ্য।

বুদ্ধ-বিমান কাঠগড়ায়
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও দলের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসুর বাচনভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন উঠল সিপিএমের রাজ্য সম্মেলনে। সম্মেলনে একাধিক জেলার প্রতিনিধিরা বললেন, সংবাদমাধ্যমের সামনে কী ভাবে কথা বলা উচিত, বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র তার উদাহরণ হওয়া উচিত। বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাজনৈতিক সাংগঠনিক খসড়া রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন প্রতিনিধিরা। বর্ধমান জেলার এক প্রতিনিধি বলেন, সংবাদ মাধ্যমের সামনে যে ভাবে বিমানবাবু কথা বলেন, তা নিয়ে অনেক সময়েই জনমানসে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়, যা বাঞ্ছনীয় নয়। তাঁকে সমর্থন করেন আরও কয়েক জন। এই সূত্র ধরেই সূর্যবাবুর বাক্সংযমের প্রশংসা করেন একাধিক প্রতিনিধি। সমালোচনার থেকে বাদ যাননি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যও। মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ে শিল্পায়নের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে একাধিক বার বুদ্ধবাবু বলেছেন, আমি এমন দল করি যাঁরা বন্ধ, ধর্মঘট করে। সেই সূত্রে ধরেই সম্মেলনে প্রতিনিধিরা প্রশ্ন তোলেন, কমিউনিস্ট পার্টির এক জন নেতা কী ভাবে এ কথা বলতে পারেন?



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.