কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তায় ত্রিপুরায় এক বছর বয়স পর্যন্ত সকল শিশুকে বিনামূল্যে হেপাটাইটিস-বি টিকাকরণ কর্মসূচির আওতায় আনা হচ্ছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের ‘মা ও শিশু টিকাকরণ’ কর্মসূচির ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক আশিস দাশগুপ্ত জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলা, মহকুমা হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে এই কাজ চলবে।
এই প্রকল্প রূপায়ণের ‘এজেন্সি’ হিসেবে কাজ করবে ত্রিপুরা সরকারের স্বাস্থ্য দফতর।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তপন চক্রবর্তী জানান, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরকে রাজ্য সরকার সাত আট বছর আগে থেকেই এই প্রকল্প চালুর করার অনুরোধ জানিয়ে আসছে। ত্রিপুরা সরকারের দাবি ছিল, সারা দেশে পাল্স পোলিও টিকাকরণের মতোই রাজ্যে হেপাটাইটিস-বি টিকারকরণের অভিযান শুরু হোক। অবশেষে এতদিনে কাঙ্ক্ষিত প্রকল্পটি চালু হচ্ছে।
আপাতত প্রতি বছর রাজ্যের প্রায় পঞ্চাশ হাজার শিশুকে এই প্রকল্পের আওতাধীন করা যাবে বলে জানান আশিস বাবু। মূলত ‘কোহর্ট গ্রুপ’-এর শিশুদের জন্যই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। শিশু জন্মানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হেপাটাইটিস-বি’র প্রথম ডোজ তাকে দেওয়া হয়। তারপর ছ’ সপ্তাহ বাদে একটি ডোজ, দশ সপ্তাহ বাদে আরও একটি। ১৪ সপ্তাহ বাদে শেষ ডোজটি দোওয়া হয়ে থাকে। সারা জীবনে আর এই টিকা নেওয়া প্রয়োজন হয় না। কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুসারে এ ভাবেই শিশুদের হেপাটাইটিস-বি টিকাকরণ করা হবে। সমস্ত ডোজই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে সরবরাহ করা হবে। দেবেন রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মীরা। যে শিশু বাড়িতে জন্মাবে, সে-ও এই সুযোগ পাবে।
এক বছরের বেশি বয়সের আরও বেশি সংখ্যক শিশু সহ বয়স্ক মানুষকে যাতে হেপাটাইটিস-বি টিকা দেওয়া যায়, সে জন্য রাজ্যের একটি বেসরকারি সংস্থা ত্রিপুরার হেপাটাইটিস ফাউন্ডেশন ত্রিপুরা সরকারের সহায়তায় স্বল্পমূল্যে এই টিকাকরণ কর্মসূচি চালাচ্ছে। যৌথ উদ্যোগের টিকাকরণ কর্মসূচির সাফল্যের জন্য সচেতনামূলক আলোচনা সভা শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে। এই কর্মসূচিতে সামিল করা হয়েছে রাজ্যের সমস্ত হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য দফতরকে। ত্রিপুরা হেপাটাইটিস ফাউন্ডেশনের দাবি, ত্রিপুরায় প্রতি একশো জনের মধ্যে চার জন হেপাটাইটিস-বি রোগের ভাইরাস বহন করছেন। |
