শিলিগুড়িতে অভিযোগ ফোরামের
শিক্ষায় সন্ত্রাসে সরব শিক্ষকেরা
রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে মারধরের ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে কেন সেই প্রশ্ন তুললেন অবাম শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নাম করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের উপরে হামলার প্রতিবাদে তাঁদেরই কেউ কেউ তৃণমূল শিক্ষা সেল থেকে পদত্যাগ করলেও সিপিএম ঘটনাটি নিয়ে যেভাবে ‘রাজনীতি’ করছে সেটা দুভার্গ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন ডেমোক্রেটিক টিচার্স ফোরাম ফর অটোনমি অ্যান্ড অ্যাকাডেমিক ফ্রিডম’-এর সদস্যরা। রায়গঞ্জ কলেজে হামলার প্রতিবাদ করতে শনিবার শিলিগুড়িতে এবিটিএ এক সভার আয়োজন করে। ওই সভায় যোগ দেন রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজের শিক্ষক দিলীপ দে সরকার। ফোরামের অভিযোগ, রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজের ঘটনা শিক্ষায় লাগামহীন রাজনীতির পরিমাণ, বাম আমলে যার শুরু। রায়গঞ্জের ঘটনা নিয়েও সিপিএম রাজনীতি করতে চাইছে। দিলীপ দে সরকারও ওই রাজনীতির শরিক হয়েছেন। ফোরামের কোর কমিটির সদস্য দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, “তৃণমূলের সঙ্গে জড়িত থেকেও হামলার দিনই কলেজে দাঁড়িয়ে আমি প্রতিবাদ করি। এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি হোক সেটা চাইনি। দিলীপবাবু এবিটিএ-র সভায় যোগ দিয়ে সিপিএমকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করছেন। এটা দুভার্গ্যজনক। ছাত্র রাজনীতি দূষিত হওয়ার জন্য এই ধরনের শিক্ষকেরাই দায়ী।” হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে। বাম আমলে সেটাও হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি। তবে এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্যই করতে চাননি দিলীপবাবু। তিনি বলেন, “এঁরা যা বলছেন, বলুন। আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না।”
গত ৫ জানুয়ারি রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিগ্রহের ঘটনার জন্যও দিলীপ দে সরকারকেই দায়ী করেছেন ফোরামের সদস্যরা। দেবাশিসবাবু বলেন, “মনোনয়নপত্র বিলি নিয়েই কলেজে গোলমালের জেরে ওই হামলা হয়। মনোয়নপত্র বিলির ক্ষেত্রে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ভুমিকা নিরপেক্ষ ছিল না। নিরপেক্ষ হলে এই ঘটনা এড়ানো যেত।” ফোরামের আর এক সদস্য কার্শিয়াং কলেজের শিক্ষক প্রকাশ মুহুরি অভিযোগ করেন, এখনও রাজ্যের বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষরা সিপিএমের শাখা সম্পাদকের ভুমিকা পালন করছেন। দিলীপবাবুও তাঁর ব্যতিক্রম নন।
তিনি বলেন, “রাজ্যে বহু নজির রয়েছে যেখানে অধ্যক্ষরা চেয়ারে বসে বাম ছাত্র সংগঠনকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন। দিলীপবাবু এবিটিএ-র সভায় যোগ দিয়ে তাঁর সিপিএম ঘনিষ্ঠতা প্রমাণ করে দিয়েছেন। মানুষ কিন্তু অধ্যক্ষদের নিরপেক্ষ ভুমিকায় দেখতে চান।” এ দিন শিলিগুড়িতে পান্থ নিবাসে ফোরামের সভা হয়। সেখানে দিলীপ দে সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সভায় শিলিগুড়ি কমার্স কলেজের সন্দীপন ভট্টাচার্য, বালুরঘাট কলেজের শিক্ষক প্রণব ভট্টাচার্য, গাজল কলেজের মিঠু দেব, বীরপাড়া কলেজের হৃদকমল সরকার এবং তুফানগঞ্জ কলেজের হরিগোপাল মল্লিক উপস্থিত ছিলেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.