টুকরো খবর
সারেঙ্গায় গ্রেফতার ৬ দুষ্কৃতী
আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৬ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সারেঙ্গার তাঁতিডাঙার জঙ্গলে লুঠপাটের ঘটনায় এই চক্রই জড়িত ছিল বলে দাবি পুলিশের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম দুলাল শবর, বিশ্বনাথ শবর, পিন্টু শবর, মানিক শবর, মিঠুন শবর, অক্ষয় শবর। পশ্চিম মেদিমীপুরের লালগড় থানার ধানশোল গ্রামে তাদের বাড়ি। শনিবার রাতে সারেঙ্গার তাঁতিডাঙার জঙ্গল থেকে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বলেন, “পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়া জেলার কয়েকটি এলাকায় ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় একটি চক্র জড়িত। ওই চক্রের ৬ জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সারেঙ্গা এলাকায় রাস্তায় লুঠপাটের ঘটনায় ধৃতরা জড়িত ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে লুঠ হওয়া মালপত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।” প্রসঙ্গত, শুক্রবার ভোরে তাঁতিডাঙার জঙ্গলে পিড়রগাড়ি-সারেঙ্গা রাস্তায় গাছ ফেলে পরপর ৩ টি বাসে লুঠপাট চালানো হয়েছিল। ঘটনার পরেই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে প্রায় ৬ ঘন্টা রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিলেন আক্রান্ত যাত্রী ও বাসিন্দারা। এসপির আশ্বাসের পর অবরোধ ওঠে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে তাঁতিপাড়ার জঙ্গলে দুষ্কৃতীদের ধরার জন্য এসডিপিও (খাতড়া) নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী, সারেঙ্গা থানার আইসি বিপ্লব দে বিশাল বাহিনী নিয়ে গিয়ে ওত পেতেছিলেন। রাত ৮টা নাগাদ দুষ্কৃতীরা তাঁতিপাড়া জঙ্গলে জড়ো হতেই তাদের ঘিরে ধরে পুলিশ। রবিবার ধৃতদের খাতড়া আদালতে তোলা হলে ১০ দিন পুলিশ হেফাজত হয়।

বধূর মৃত্যু, অবরোধ
লরি চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক বধূর। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম করুণা মাহাতো (৩০)। বাড়ি পুরুলিয়া মফস্সল থানা এলাকার উকমানপুর গ্রামে। শনিবার রাতে পুরুলিয়া সদর থানা এলাকায় বেলগুমা-ভাটবাঁধ রাস্তায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন করুণাদেবী তাঁর স্বামীর বাইকে করে মকরসংক্রান্তির বাজার সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। কোলে চার বছরের শিশুসন্তান ছিল। হঠাতই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইকটি উল্টে যায়। করুণাদেবী রাস্তার উপরে ছিটকে পড়ায় তাঁর উপর দিয়ে একটি লরি চলে যায়। এর পরে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধ করেন। অভিযোগ, রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে গিয়েছে। যার ফলে প্রায়ই এই রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটছে। পরে প্রশাসনের অশ্বাসে অবরোধ উঠে যায়। অন্য দিকে, রবিবার সকালে কাশীপুর-লধুড়কা রাস্তায়, ধানাড়া গ্রামের অদূরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইক থেকে পড়ে গিয়ে দুই যুবক জখম হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে।

কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রশাসনের
পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা বন ও ভূমি সংস্কার স্থায়ী সমিতির এক কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দফতরের পুরুলিয়া জেলা অফিসে এ বিষয়ে সম্প্রতি শুনানি হয়েছে। সনাতন মাহাত নামে ওই কর্মাধ্যক্ষ শুনানিতে হাজির হননি। মানবাজার ব্লক অফিস সুত্রে জানা গিয়েছে, ভালুবাসা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দু’টি পুকুর নিজের নামে লিজ নিয়ে মাছ ব্যবসা করছিলেন সনাতনবাবু। একটি পুকুর ২০০৮-২০১২ ও অন্যটি ২০০৩-২০১৩ পযন্ত লিজ নেওয়া হয়েছিল। তৃণমূল নেতা শৈলেন মিশ্রের অভিযোগ, “সনাতনবাবু নিজের পদের প্রভাব খাটিয়ে দু’টি পুকুরের লিজ নিয়েছিলেন। রায়তি ওই দু’টি পুকুরের পুরো অংশ খাস বলে দেখান হয়েছিল, তা মিথ্যা। কর্মাধ্যক্ষ হিসাবে উনি ভাতা পান। এ বিষয়ে পঞ্চায়েতে অসম্পূর্ণ ও ভুল তথ্য দিয়েছেন। জেলাশাসকের কাছে সমিতির পদ থেকে অপসারণ ও সনাতনবাবুর শাস্তির দাবি জানিয়েছি।” জেলাশাসকের পক্ষ থেকে সনাতনবাবুকে পাঠানো চিঠিতে জানানো হয়েছে, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হয়ে এ ধরনের ব্যবসায় জড়িত থাকা বিধি সন্মত নয়। পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত আইনে (১৯৭৩) ‘৯৭ সি’ ধারায় অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁর সদস্য পদ হারাতে পারেন। মানবাজারের বিডিও সায়ক দেব বলেন সনাতন বাবু শুনানির দিন হাজির হননি। তাঁর বক্তব্য শোনার জন্য আর এক দিন সুযোগ দেওয়া হবে। কেন তিনি হাজির হননি তাও জানাননি। অপরাধ প্রমানিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সনাতনবাবু বলেন, “আমি অসুস্থ। এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করবো না।”

বিদ্যাপীঠে অনুষ্ঠান
নিজস্ব চিত্র।
স্বামী বিবেকানন্দের ১৫০তম জন্মতিথি উপলক্ষে রবিবার পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠে অনুষ্ঠান হয়েছে। মূল মন্দিরে ভোর ৫টায় মঙ্গলারতি ও বেদপাঠ দিয়ে শুরু হয় তিথি পুজোর অনুষ্ঠান। স্বামীজির বাণী ও জীবনাদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ স্বামী আত্মপ্রভানন্দ। এ ছাড়া, ভজন, হোম, প্রসাদগ্রহণ-সহ নানা অনুষ্ঠান ছিল।

কুচকাওয়াজে ডাক পঞ্চকন্যার
প্রজাতন্ত্র দিবসে কলকাতায় কুচকাওয়াজে থাকবে বিয়ে রুখে দেওয়া পুরুলিয়ার পাঁচ বিদ্রোহিনী। তারা হল, বীণা কালিন্দী, সুনীতা সিংহ সর্দার, মুক্তি মাঝি, আফসানা খাতুন, সঙ্গীতা বাউরি। তাদের মধ্যে সুনীতা ছাড়া বাকি চারজন ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিলের আমন্ত্রণে নয়া দিল্লির রাইসিনা হিলস থেকে ঘুরে এসেছেন। জেলার সহকারি শ্রম মহাধ্যক্ষ প্রসেনজিৎ কুণ্ডু এ কথা জানান। তিনি বলেন, “বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে আমাদের জেলার মেয়েরা সারা দেশে নজির তৈরি করেছে। তা আরও ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই তাদের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে ডাকা হয়েছে।” অন্য দিকে, রবিবার সুনীতা সিংহ-সহ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে নয়াদিল্লি রওনা হল পুরুলিয়ার আরও চার প্রতিবাদী মেয়ে। তাঁরা হল উত্তরা রায়, দীপালি কুমার, কবিতা কৈবর্ত ও আরফা খাতুন। এই প্রথমবার তাঁদের নয়া দিল্লি যাত্রা। জানিয়েছেন, এই পাঁচ জনের সঙ্গে আফসানা খাতুন, বীণা কালিন্দীও আবার যাচ্ছে।

আলোচনাসভা
মানভূম কলেজে ১১-১২ জানুয়ারি জাতীয় স্তরের আলোচনাচক্র হয়েছে। ছিলেন বিশ্বভারতীর অধ্যাপক মলয় মুখোপাধ্যায় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আশুতোষ বিশ্বাস প্রমুখ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.