মস্কোয় প্রকাশ পাবে ‘গীতাঞ্জলি’
দেশে-বিদেশে
গীতাঞ্জলি-র জার্মান অনুবাদের একটি পাণ্ডুলিপি এসেছে কুর্ট ভোল্ফ ভেরলাগ-এর দফতরে। কিন্তু না, প্রকাশনা-প্রতিষ্ঠানের দুই নির্বাচক মনে করলেন এ বই পাঠককে টানবে না, কারণ এর লেখক সম্পর্কে জার্মানরা কিছুই জানেন না। অতএব এক কর্মীর উপর দায়িত্ব পড়ল বইটি ফেরত পাঠাবার। ডাকঘর থেকে ফেরার পথে সে দিনের খবরের কাগজ দেখেই তাঁর আক্কেল গুড়ুম, এ বইটাই এ বার নোবেল পেয়েছে! ফের তিনি ছুটলেন ডাকঘরে, পোস্টমাস্টারকে বলেকয়ে ফেরত আনলেন পাণ্ডুলিপি। গল্পটা গল্পই, কিন্তু ভারি রোমাঞ্চকর কুর্ট ভোল্ফ-এর (১৮৮৭-১৯৬৩) সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের সম্পর্কটা। রবীন্দ্রনাথের নানা বইয়ের জার্মান অনুবাদ প্রকাশিত হয় কুর্ট ভোল্ফ ভেরলাগ থেকেই। ১৯১৪-’২২ আট বছরে জার্মানিতে রবীন্দ্রগ্রন্থ বিক্রি হয়েছিল প্রায় আট লক্ষ কপি। কুর্টের স্ত্রী মার্ক পরিবারের সদস্যা এলিজাবেথ ভোল্ফ-মার্ক অনুবাদ করেন চিত্রা। এই সব নিয়ে একটি আলোচনাসভা আগামী কাল, ম্যাক্সমুলার ভবনে সাড়ে ছ’টায়। বলবেন প্রকাশনা সংস্থাটির তথা মার্ক গ্রুপের তরফে কার্ল লিডউইগ, জন বামার এবং মার্টিন কেম্পশেন।
জার্মানিতে রচিত রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইবেন প্রমিতা মল্লিক। আয়োজনে ‘মার্ক ইন্ডিয়া’ এবং ‘গ্যেটে ইনস্টিটিউট’। সঙ্গের ছবিতে রবীন্দ্রনাথ ও কুর্ট ভোল্ফ। এ দিকে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মস্কো-য় রুশ ভাষায় প্রকাশিত হচ্ছে ‘গীতাঞ্জলি’। মূল উদ্যোক্তা কলকাতার বিশ্বরূপ সান্যাল, মস্কোয় তাঁর তিন বাংলাদেশি বন্ধুকে নিয়ে তৈরি করেছেন বঙ্গসমাজ, তাঁদেরই উদ্যোগে ওরিয়েন্টাল লিটারেচার পাবলিশিং হাউস থেকে বেরোচ্ছে এটি। বিশ্বরূপ সবান্ধবে ‘গীতাঞ্জলি’-র ষাটটি কবিতার রুশ তর্জমা করেন প্রথমে, যেগুলি গানও বটে। ইরিনা প্রোকোফিয়েভা সেগুলিকে পদ্যছন্দে কবিতার আকার দেন। এ ছাড়াও সংকলনে আছে ওই ষাটটি গানের তাতিয়ানা মরজোভা-কৃত ইউরোপিয়ান নোটেশন, সংকলনের শুরুতেও তাঁরই দীর্ঘ একটি প্রবন্ধ রবীন্দ্রগানে প্রেমভাবনা ও ঈশ্বরচিন্তার বিবর্তন নিয়ে।

হীরকজয়ন্তী
দ্য ডোভার লেন মিউজিক কনফারেন্স ষাট বছর ধরে কলকাতার মানুষকে উচ্চাঙ্গ সংগীত শুনতে উৎসাহ জুগিয়ে আসছে। ‘পাড়ার’ জলসা থেকে সারা দুনিয়ার শ্রোতার কাছে উচ্চাঙ্গ সংগীতের পীঠস্থান হিসেবে আজ পরিচিত ‘ডোভার লেন’। এ বারের ৬০তম বার্ষিক অধিবেশনটি সার্ধশত জন্মবর্ষে স্বামী বিবেকানন্দের স্মৃতির প্রতি নিবেদিত। হীরকজয়ন্তী বছরের শিল্পী-তালিকায় প্রবীণ থেকে নবীন সকলেই উপস্থিত। ‘সঙ্গীত সম্মান-২০১২’ পুরস্কারে ভূষিত হবেন কণ্ঠশিল্পী গিরিজা দেবী। বিশেষ সম্মান প্রাপক: তানপুরা কারিগর অশীতিপর বিমল বিশ্বাস। প্রকাশিত হচ্ছে নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ’৮০-তে ‘ডোভার লেন’ মঞ্চে পরিবেশিত রাগ ‘শ্যামকল্যাণ’-এর আলাপ ও জোড়-এর একটি অডিয়ো সিডি। সংস্থার সম্পাদক বাপ্পা সেন জানালেন, ২২ জানুয়ারি সন্ধে ৭টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকবেন স্বামী গীতাত্মানন্দজি মহারাজ, কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি সচিব জহর সরকার, লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটির নিবেদনে ‘দেশ’ পত্রিকা।

নিভৃতে
নিভৃতে নিজের পড়ার ঘরে একের পরে এক পরিশ্রমী গবেষণা চালিয়ে যেতেন তিনি। এই সে দিনও চলছিল অমল হোমকে নিয়ে তেমনই একটি কাজ। আকস্মিক মৃত্যু যতি টেনে দিল সেই গবেষণায়। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব বসুকে নিয়ে যে কটি গবেষণামূলক বই রেখে গিয়েছেন সমীর সেনগুপ্ত (১৯৪০-২০১১) তার জন্য উত্তরকাল নিশ্চয় মনে রাখবে তাঁকে। জন্ম বরিশালে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্য পড়েছেন বুদ্ধদেব বসু, সুধীন্দ্রনাথ দত্তের কাছে। সমকাল ও রবীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথের আত্মীয়স্বজন, রবীন্দ্রসূত্রে বিদেশিরা, গানের পিছনে রবীন্দ্রনাথ, প্রতিবিম্বিত রবীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রগদ্যের উদ্ধৃতিসংগ্রহ, স্মৃতিকথায় রবীন্দ্রনাথ, বুদ্ধদেব বসুর জীবন, কবি শক্তি, বন্ধু শক্তি-এর মতো বইয়ের পাশাপাশি ছোটদের জন্য লিখেছেন ও অনুবাদ করেছেন গল্প, জীবনী। তাঁর বেশ কয়েকটি বই এই বইমেলায় প্রকাশিতব্য।

ব্রহ্মসঙ্গীত
‘একবার মাঘোৎসবে সকালে ও বিকেলে আমি অনেকগুলি গান তৈরী করিয়াছিলাম। তাহার মধ্যে একটি গান ‘নয়ন তোমারে পায়না দেখিতে, রয়েছ নয়নে নয়নে।’ জীবনস্মৃতিতে লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু ব্রহ্মসঙ্গীত মানেই রবীন্দ্রনাথের গান নয়। ব্রাহ্মসমাজের সেই মেজাজকে ফিরিয়ে আনতে এ বার এক আসরে শোনা যাবে ত্রৈলোক্যনাথ সান্যাল, অতুলপ্রসাদ সেন, রামমোহন রায়, উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, কালীনারায়ণ গুপ্ত প্রমুখের লেখা ব্রহ্মসঙ্গীত। ১৮২তম মাঘোৎসব স্মরণে হরিনাভি ব্রাহ্ম সমাজের আয়োজনে জি ডি বিড়লা সভাগারে আগামিকাল, মঙ্গলবার গাইবেন অনিন্দ্যনারায়ণ বিশ্বাস, সৈকত শেখরেশ্বর রায়, অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়, স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। পাঠে সুবীর মিত্র। এ দিকে বহু ব্রহ্মসঙ্গীত-সহ সরলা দেবীর স্বরলিপি করা শতগান নতুন করে প্রকাশ করেছে সুবর্ণরেখা। ১৯০১-এ প্রথম প্রকাশিত সে বইয়ে সর্বাধিক গান রবীন্দ্রনাথের, মোট কুড়িটি। এ ছাড়া স্বর্ণকুমারী দেবী, সরলা দেবীর গান তো আছেই, আছে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ, ইন্দিরা দেবী, বঙ্কিমচন্দ্র, বিহারীলাল চক্রবর্তী, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, অতুলপ্রসাদ সেনের গানও। ঐতিহাসিক বইটির এই নতুন সংস্করণে স্বরলিপিগুলির সম্পাদনা ও আকারমাত্রিকে রূপান্তর করেছেন কুমকুম ভট্টাচার্য। ভূমিকা লিখেছেন অরুণকুমার বসু।

বিজয়-স্মরণ
বাংলার লোককবি, নিজের সম্পর্কে বলতেন ‘পাগলা বিজয়’। বাংলাদেশে ওঁর গানের জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। শিল্পী বিজয় সরকারের জন্ম অবিভক্ত বাংলার যশোহরের ডুমদি গ্রামে ১৩০৯ বঙ্গাব্দে। নিম্নমধ্যবিত্ত কৃষক পরিবার থেকে ম্যাট্রিক পাশ করে শিক্ষকতা শুরু। সঙ্গে যাত্রায় অভিনয় এবং গান লেখা। বিখ্যাত কবিয়াল মনোহর সরকারের গানে প্রভাবিত হয়ে তাঁর দলে যোগ দেন। পৈতৃক পদবি অধিকারী বদলে হন ‘সরকার’। তাঁর গান বহু বিদগ্ধজনকে মুগ্ধ করেছে। মারা যান ১৩৯২-এর ১৮ অগ্রহায়ণ। শেষ দিকে ছিলেন ব্যারাকপুরের কেউটিয়াতে। সেখানে ফেব্রুয়ারিতে আয়োজিত হয় ওঁর নামাঙ্কিত মেলা। ২০ জানুয়ারি সন্ধে ছ’টায় জীবনানন্দ সভাঘর-এ ওঁর জীবন ও সৃষ্টি নিয়ে আয়োজিত হয়েছে ‘লোককবি বিজয় সরকার স্মরণ সন্ধ্যা’। সহায়তায় বাংলা আকাদেমি।

সংস্কৃত চর্চা
পঁচাত্তর বছর পূর্ণ করল ‘হাওড়া সংস্কৃত সাহিত্য সমাজ’। সংস্কৃত ভাষা শিক্ষা ও ভারতীয় সংস্কৃতি প্রচারের উদ্দেশ্যে ১৯৩৭-এ হাওড়ার ১ নবকুমার নন্দী লেনে ওই সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৫৪-এ হাওড়া কোর্ট অঞ্চলে নতুন ভবনে উঠে আসে সমাজ। বর্তমানে সংস্কৃতের পাশাপাশি জার্মান ভাষা ও সঙ্গীতশিক্ষার আয়োজনও আছে। সমাজের গ্রন্থাগারে রয়েছে প্রায় দশ হাজার প্রাচীন পুথি। সংস্কৃত নাটক জনপ্রিয় করার জন্য সমাজের উদ্যোগে হাওড়া শহরে প্রথম সংস্কৃত নাটক মঞ্চস্থ করা আরম্ভ হয়। নিজস্ব ভবনে তৈরি হয় ‘রামগোপাল মঞ্চ’। ওই মঞ্চে প্রায় ৭৫টি সংস্কৃত নাটক অভিনীত হয়েছে নানা সময়ে। সেখানেই গত নভেম্বর থেকে আরম্ভ হয়েছে ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান। ডিসেম্বরের ১৩-১৬ ছিল সংস্কৃত নাট্যমেলা। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের সংস্কৃত পণ্ডিতদের উপস্থিতিতে আগামী ২১-২৩ অনুষ্ঠিত হবে নিখিল ভারত সংস্কৃত সম্মেলন।

স্মারক বক্তৃতা
বাঙালির চিন্তার জগৎকে মুক্ত করে দেওয়ার ক্ষেত্রে হাতে গোনা যে কয়েক জন কাজ করে গিয়েছেন শিবনারায়ণ রায় তাঁদের অন্যতম। নিজে চিরকাল স্রোতের বিপরীতে চলেছেন অনমনীয় দৃঢ়তা নিয়ে আর সেই চিন্তাধারা অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে প্রকাশ করেছিলেন ‘জিজ্ঞাসা’ পত্রিকা। তিনি নিজে বাইশ বছর সম্পাদনা করেছিলেন পত্রিকাটি, পরে সেটি সহযোগীদের সম্পাদনায় ‘নবপর্যায় জিজ্ঞাসা’ নামে প্রকাশিত হচ্ছে। তাঁর ৯২তম জন্মদিন উপলক্ষে শিবনারায়ণ রায় স্মারক সমিতি এবং বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ-এর যৌথ উদ্যোগে ১৮ জানুয়ারি বিকেল পাঁচটায় পরিষদ সভাঘরে আয়োজিত স্মরণসভায় শিবনারায়ণ রায় স্মারক বক্তৃতা দেবেন অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত। থাকবেন রমাকান্ত চক্রবর্তী, শঙ্খ ঘোষ।

রবীন্দ্র গ্রন্থপঞ্জি
রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে কত ভাষায় কত কী-ই না লেখা হয়েছে। গবেষকরা আফশোস করেন, আহা, হাতের কাছে যদি এর একটা তালিকা পাওয়া যেত! শেষ পর্যন্ত কবির সার্ধশতজন্মবর্ষ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের নানা পরিকল্পনার মধ্যে এটিও ঠাঁই পায় এবং, কী আশ্চর্য, এর দায়িত্বে থাকা রাজা রামমোহন রায় লাইব্রেরি ফাউন্ডেশন সেই ওয়েব-বিবলিয়োগ্রাফি তৈরিও করে ফেলেছে। এ দেশে এমন কাজ এই প্রথম। ফাউন্ডেশনের অধিকর্তা কিশোরকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ৪২টি ভাষায় প্রকাশিত ৯,০০০-এরও বেশি বই এতে জায়গা পেয়েছে, আরও কাজ চলছে। বিষয়-শিরোনামে পঞ্জি সাজানো হয়েছে। (www.rrrlf.gov.in> Tagore Bibliography)। এ দিকে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকেরই সহায়তায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদে রবীন্দ্রনাথের সার্ধশতজন্মবর্ষ উপলক্ষে ২১ জানুয়ারি বিশেষ প্রদর্শনী, ৫টায় উদ্বোধন করবেন শঙ্খ ঘোষ। থাকছে পরিষৎ-সংগ্রহ থেকে বহু রবীন্দ্রগ্রন্থের প্রথম সংস্করণ, চিঠি-পাণ্ডুলিপি-অলংকরণ, এবং দুর্লভ পত্রপত্রিকা। ২২ জানুয়ারি দুটো থেকে আলোচনাসভা: রবীন্দ্রনাথ সম্পাদিত ও সংশ্লিষ্ট পত্র-পত্রিকা।

দুর্লভ
স্বামী বিবেকানন্দের সার্ধশতজন্মবর্ষে নানা অনুষ্ঠানের পাশাপাশি শুরু হয়ে গিয়েছে তাঁর নানা স্মৃতিচিহ্নকে তুলে আনার উদ্যোগও। এমটা কোল লিমিটেড-এর ডায়েরিতে (সঙ্গের ছবি সেখান থেকেই, শিলঙে স্বামীজি, ১৯০১), কিংবা ডিপিএসসি-র টেব্ল ক্যালেন্ডারে ধরা রইল স্বামীজির জন্ম থেকে প্রয়াণ পর্যন্ত বহু দুর্লভ আলোকচিত্র (অদ্বৈত আশ্রমের সংগ্রহ থেকে), আর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইতিহাসের বয়ান। পেগাসাস অ্যাডভাইসরি-গ্র্যাফাইটের রূপায়ণ অভিনন্দনযোগ্য।

নতুন চোখে
স্বামী বিবেকানন্দের সার্ধশত জন্মবার্ষিকীর পাশাপাশি এই বছরই শ্রীরামকৃষ্ণদেবের ১৭৫ তম জন্ম-জয়ন্তী। এই উপলক্ষে রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির-এর উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে এক আন্তর্জাতিক আলোচনা সভা। বিষয় ‘শ্রীরামকৃষ্ণের আদর্শ ও উপদেশাবলী এবং বর্তমান প্রেক্ষিত’। রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচার এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি আয়োগ-এর সহযোগিতায় ১৯-২১ জানুয়ারি এটি অনুষ্ঠিত হবে বেলুড় মঠে। প্রতিষ্ঠানের সন্ন্যাসীদের পাশাপাশি থাকবেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক, গবেষক, ছাত্র-ছাত্রী এবং অনুরাগীরা। আলোকপাত করা হবে শ্রীরামকৃষ্ণ ও তাঁর সমসাময়িক কাল, শ্রীরামকৃষ্ণ-জীবনী, শ্রীরামকৃষ্ণ: মানবত্ব ও তাঁর ব্যক্তিত্ব, শ্রীরামকৃষ্ণের আদর্শ, শ্রীরামকৃষ্ণ ও বর্তমান সময় ইত্যাদি বিষয়ে।

নেতাজি-চর্চা
নেতাজির শতবর্ষেই তাঁকে নিয়ে চর্চার জন্য গড়ে উঠেছিল নেতাজি সুভাষ ফাউন্ডেশন। এ বার সল্টলেকের ডিডি ২৬এ-তে দশ কাঠা জমির উপর তৈরি হল তাদের স্থায়ী কেন্দ্র। পাঁচ তলা এই বাড়িতে প্রেক্ষাগার ইত্যাদি ছাড়া থাকছে গ্রন্থাগার, গবেষকদের জন্য নানা সুযোগসুবিধে, জানালেন সম্পাদক সুব্রত বসু। থাকছে নেতাজির জীবন ও কর্মকাণ্ড নিয়ে স্থায়ী প্রদর্শনীও। ২৩ জানুয়ারি নেতাজির ১১৫তম জন্মদিনে বিকেল ৪টেয় এটি উদ্বোধন করবেন অশোক ঘোষ। নেতাজির উপর স্বামী বিবেকানন্দের প্রভাব বিষয়ে বলবেন স্বামী দেবসম্পূর্ণানন্দ।

অনুপম
কুড়ি কুড়ি বছরের পার। মাত্র সাঁইত্রিশ টাকা পকেটে নিয়ে মুম্বইয়ে পা দিয়েছিলেন অনুপম খের। কখনও স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে, কখনও বা তেঁতুলপাতায় সুজনের মতো পাঁচজনের সঙ্গে ছোট্ট এক ঘরে কেটেছে তাঁর দিনগুলি-রাতগুলি। তার তিন বছর পরে, ১৯৮৪-তে তাঁর প্রথম ছবি, ‘সারাংশ’। তার পরে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। বলিউডের এই বিশিষ্ট অভিনেতা এ বার কলম ধরেছেন। নিজের লড়াইয়ের জীবনকে সম্বল করে লিখেছেন একটি প্রেরণামূলক বই, দ্য বেস্ট থিং অ্যাবাউট ইউ ইজ ইউ (হে হাউস)। সে বইয়ে সমসময়কে নিজের আয়নায় দেখা। ‘উই আর অল আনহ্যাপি’, ‘দি অ্যাঙ্গার সিনড্রোম’, ‘ডিসকনটেন্ট ইজ আ ডিজিজ’-এর মতো পরিচ্ছেদগুলি অভিনেতার আয়নায় জীবনকে দেখা। সম্প্রতি প্রকাশিত বইটি থেকে পড়লেন অনুপম, এই শহরের গ্রন্থবিপণি ক্রসওয়ার্ড-এ।

সম্মান
চার দশক পরে যেন কিছুটা আলোতে ফিরলেন তিনি, কবি দেবদাস আচার্য। কবিতার নাগরিক চটক নেই তাঁর কাব্যশরীরে, একান্ত গ্রামীণ পটভূমিতে দাঁড়িয়ে জলঙ্গি নদীর তীরে তিনি লিখেছিলেন,
আর কোনো আকাঙ্ক্ষা নেই, শুধু
আমার সন্তানের জীবন
আর একটু সুন্দর হোক, শোনো
হে গণদেবতা
আমার প্রার্থনা তুমি রেখো।

কবিতার সহজ এই উচ্চারণ নিয়েই ১৯৭০-এ প্রকাশিত হয়েছিল দেবদাস আচার্যের প্রথম কবিতার বই কালক্রম ও প্রতিধ্বনি। তার পরে এই সময় পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে নানা কাব্যসংকলন মৃৎশকট, মানুষের কীর্তি, ঠুঁটো জগন্নাথ, উৎসবীজ, আচার্যর ভদ্রাসন, তর্পণ, অনুসূচিত কবিতা, সুভাষিতম, রসাতল থেকে ফিরে, যে আছো অন্তরে, তিলকমাটি ইত্যাদি। সম্পাদনা করেছেন ‘ভাইরাস’ নামে একটি পত্রিকাও। জন্ম ১৯৪২-এর জুলাই মাসে, তৎকালীন কুষ্ঠিয়ার অন্তর্গত বন্ডবিল গ্রামে। বাবা দয়াময় ও মা আশালতা আচার্য। কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। তার পরে সরকারি কর্মচারীর ছকে-বাঁধা জীবন। কিন্তু কবিতার সঙ্গ করে গিয়েছেন দেবদাস আচার্য, করে চলেছেন এখনও। সেই সাধনাকেই সম্মান জানাল পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি, আলপনা আচার্য স্মারক পুরস্কারে। প্রকাশিত হয়েছে তাঁকে নিয়ে ছোট একটি পুস্তিকাও। প্রচারের আলোর আড়ালের এই কবির সেই সম্মানসন্ধ্যায় প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছিল তাঁর প্রথম দিকের কবিতারই পংক্তি ক’টি: ‘আমি জেনেছি এই বিশ্বের পারদ উষ্ণ হচ্ছে/ আমি জেনেছি পৃথিবীর ফুসফুস অপারেশন থিয়েটারে আনা হয়েছে।’
   


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.